সুইস সরকার ভারতীয় মালিকদের কালো টাকার তালিকা হস্তান্তর করবে

সুইস সরকার ভারতীয় মালিকদের কালো টাকার তালিকা হস্তান্তর করবে

hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, সাকিফা, বণী সায়াদা, সাহাবী, হিজবুল্লাহ, ইসরাইল, ড্রোন, বিমান, হাসান নাসরুল্লাহ , লেবানন, ইরান,  চীন, মালয়েশিয়া,  স্যাটেলাইট, কুয়ালালামপুর, বেইজিং, ভিয়েতনাম, মার্কিন, গোয়েন্দা, ইরাক, সিরিয়া, মিশর, আল কায়েদা, তাকফিরী, ইখওয়ানুল মুসলেমিন, বাংলাদেশ, ভারত, জিহাদ, ফিলিস্তিন, ইহুদি, গাজা, শহীদ, জিহাদ, ক্ষেপণাস্ত্র, দূতাবাস, সৌদি আরব , কুয়েত, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা, ভিয়েনা, পরমাণু, বাহারাইন, আফগানিস্থান, থাইল্যান্ড, হজরত ফাতিমা, মার্জিয়া, সিদ্দিকা, মোহাদ্দেসা, বাতুল, উম্মে আবিহা, যাহরা, মুবারেকা, যাকিয়া, তাহেরা, রাযিয়া, জিহাদুন নিকাহ, পোপ, পাদ্রি, বাইতুল মোকাদ্দাস, ওহাবী, সালাফি, মুফতি, ড্রোন, পাকিস্থান, এজিদ, মাবিয়া, আবু সুফিয়ান, আলী আকবর, হুসাইন, শাবান, আমল, শবে বরাত, রমজান, দায়েশ, তাকফিরী, তালেবান,
সুইস ব্যাংকে যেসব ভারতীয় কালো টাকা জমা রেখেছেন, তাদের নামের তালিকা তৈরি করে তা দিল্লির হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুইজারল্যান্ড সরকার। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ভারতীয়দের রাখা মোট অর্থের পরিমাণ ১৪ হাজার কোটি রুপি।

সুইস সরকারের এক শীর্ষ কর্মকর্তা সংবাদ সংস্হাকে জানিয়েছেন, "তালিকায় সুইস ব্যাংকগুলোতে ব্যক্তিগত আমানতকারী হিসাবে যাদের নাম রয়েছে, তাদের এবং সংস্থা বা ট্রাস্টের নামে থাকা অ্যাকাউন্টগুলোর ব্যাপারে নজরদারি চালানো হচ্ছে। অ্যাকাউন্টে নাম থাকা এইসব ব্যক্তি বা সংস্থার আড়ালে প্রকৃতপক্ষে কারা রয়েছেন এবং কারা লাভবান হচ্ছেন, তা খুঁজে বের করাই এই নজরদারি উদ্দেশ্য।"

তবে, ব্যক্তিগত আমানতকারী হিসেবে সুইস ব্যাংকগুলোতে যাদের নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছেন ওই কর্মকর্তা। এমনকি সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা ট্রাস্টের নামও প্রকাশ্যে আনতে চাননি তিনি। মুখ খোলেননি গোপন অ্যাকাউণ্টগুলোতে তাদের লুকিয়ে রাখা টাকার পরিমাণ নিয়েও।

তালিকাটি ভারতের হাতে তুলে দেয়া হবে কি না, তা জানতে চাওয়া হলে ওই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, এই নিয়ে ভারতের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করবে সুইজারল্যান্ড। সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের লুকোনো কালো টাকা নিয়ে ভারতের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে সুইস সরকার যথেষ্ট আগ্রহী বলেও তিনি জানান।

দু'দিন আগে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় সরকারি ব্যাংক ‘সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক' ওই দেশের ব্যাংকগুলোতে ভারতীয়দের লুকিয়ে রাখা কালো টাকার পরিমাণ প্রায় দুই বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ বা ভারতীয় মুদ্রায় ১৪ হাজার কোটি রুপি। এর মধ্যে ভারতীয়রা সুইস ব্যাংকে সরাসরি জমা রেখেছেন ১.৯৫ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ। বাকি ৭৭.৩ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ তাঁরা রেখেছেন ‘সম্পদ ব্যবস্থাপকের' (ওয়েলথ ম্যানেজার) মাধ্যমে। সুইজারল্যান্ডের মোট ২৮৩টি ব্যাংকে এইসব কালো টাকা গচ্ছিত রয়েছে। ২০১৩ সালে ভারতীয়দের জমা অর্থের বৃদ্ধির হার আগের বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) আমানতকারীদের জমা অর্থসংক্রান্ত যে তালিকা প্রকাশ করে, তাতে ভারতীয়দের লুকনো টাকার পরিমাণ হিসাবে এ তথ্য দেয়া হয়।

ক্ষমতায় এসেই কালো টাকা উদ্ধারের জন্য সাবেক বিচারপতি এম বি শাহর নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করে মোদী সরকার। নরেন্দ্র মোদীর আগের জমানাতেও বিদেশের ব্যাংকে গচ্ছিত কালো টাকা উদ্ধারে সক্রিয় হয়েছিল ইউপিএ সরকার। বিরোধী দলনেতা থাকাকালীন লালকৃষ্ণ আদভানি কালো টাকা নিয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিলেন। তার অন্যতম সদস্য ছিলেন অজিত দোভাল। যিনি এখন মোদী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। এই টাস্ক ফোর্সের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা অনুসন্ধান করে জেনেছে সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের গচ্ছিত কালো টাকার পরিমাণ প্রায় ২৫,০০০ লাখ কোটি টাকা! যদিও সে ব্যাপারে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের দাবি জানিয়ে রীতিমতো রথযাত্রাও করেন আদভানি।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন