ইউরোপকে কে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার দিয়েছে?

সিরিয়ার সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে প্রশ্ন তুলেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে দামেস্ক। সিরিয়া সরকার বলেছে, নির্বাচনের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেশটির সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে ইউরোপ।

ইউরোপকে কে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার দিয়েছে?
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর আসাদ সমর্থকদের উল্লাস
সিরিয়ার সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে প্রশ্ন তুলেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে দামেস্ক। সিরিয়া সরকার বলেছে, নির্বাচনের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেশটির সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে ইউরোপ।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ সিরিয়ায় গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে ‘অবৈধ’ বলে উল্লেখ করেছে। এটি দাবি করেছে, সিরিয়ার নির্বাচনি আইনের কারণে বিরোধীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর বেশিরভাগ মানুষ ভোট দিতে পারে নি।

সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইইউ’র এ মন্তব্য আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রকাশ্য হস্তক্ষেপ। দামেস্ক আরো বলেছে, গণতন্ত্রের প্রাথমিক আইন এবং নিজেদের নেতা নির্বাচন করার যে অধিকার জাতিগুলোর রয়েছে তার সঙ্গে ইইউ’র অবস্থান সাংঘর্ষিক। ইউরোপকে সিরিয়ার জনগণ এ ধরনের হস্তক্ষেপ করার অধিকার দেয়নি বলে দামেস্ক মন্তব্য করেছে।

গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর এক কোটি দুই লাখ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ শতকরা ৮৮ ভাগ ভোট পেয়ে আগামী সাত বছরের জন্য পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। সিরিয়ার নির্বাচন কমিশন বলেছে, দেশটির এক কোটি ৫৮ লাখ ভোটারের শতকরা ৭৩ ভাগ মঙ্গলবারের নির্বাচনে ভোট দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এ ঘোষণার পর হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস প্রকাশ করে এবং প্রেসিডেন্ট আসাদের সমর্থনে শ্লোগান দেয়।
 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন