অ্যাসাঞ্জের বাকি জীবন কাটবে দূতাবাসে!
অ্যাসাঞ্জের বাকি জীবন কাটবে দূতাবাসে!
ইকুয়েডরের দূতাবাসে দাঁড়িয়ে অ্যাসাঞ্জের সংবাদ সম্মেলন; বাইরে ব্রিটিশ পুলিশ (ফাইল ছবি)
অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে বাকি জীবন হয়তো লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে কাটাতে হবে। ব্রিটেনে নিযুক্ত ইকুয়েডরের রাষ্ট্রদূত জুয়ান ফ্যালকনি পুইগ এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরো বলেছেন, অ্যাসাঞ্জকে আজীবন লন্ডন দূতাবাসের আশ্রয়ে রাখার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ইকুয়েডর সরকার।
সুইডেনে ফেরত পাঠানোর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ২০১২ সালের ১৯ জুলাই লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। সে সময় তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়ার ঘোষণা দেয় দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর।
মার্কিন কূটনৈতিক বার্তা এবং গোপন সামরিক তথ্য প্রকাশের দায়ে ওয়াশিংটন অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাবৃত্তির অভিযোগ এনেছে। আর এ পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাসাঞ্জ আশঙ্কা করেন সুইডেনে ফেরত পাঠানো হলে তাকে আমেরিকার হাতে তুলে দেয়া হবে।
রাষ্ট্রদূত পুইগ জোর দিয়ে বলেন, অ্যাসাঞ্জ কোনো পলাতক আসামি নন এবং মানবিক কারণে তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া।
এদিকে, অ্যাসাঞ্জের আশ্রয় নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ পুলিশ ইকুয়েডর দূতাবাসের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। অ্যাসাঞ্জ যাতে ব্রিটেন থেকে পালিয়ে যেতে না পারেন সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে লন্ডনের মেট্রোপলিটান পুলিশ। ফলে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এ খাতে লন্ডন পুলিশকে ৬০ লাখ পাউন্ড ব্যয় করতে হয়েছে। লন্ডন পুলিশের মুখপাত্র গত এপ্রিলে এ ঘোষণা দেন।
ব্রিটেনের করদাতা জনগণের অর্থ এভাবে ব্যয় প্রসঙ্গে ইকুয়েডরের রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটি মোটেই তার দেশের সমস্যা নয়। এ ব্যয় সম্পর্কে কিছু কিছু লেখা তার নজরে এসেছে তবে এ খাতে সত্যিকার অর্থে কি পরিমাণ অর্থ ব্রিটিশ সরকার ব্যয় করেছে তা তার জানা নেই।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন