জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার ফিলিস্তিনে শপথ নিল

জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার ফিলিস্তিনে শপথ নিল

hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, সাকিফা, বণী সায়াদা, সাহাবী, হিজবুল্লাহ, ইসরাইল, ড্রোন, বিমান, হাসান নাসরুল্লাহ , লেবানন, ইরান,  চীন, মালয়েশিয়া,  স্যাটেলাইট, কুয়ালালামপুর, বেইজিং, ভিয়েতনাম, মার্কিন, গোয়েন্দা, ইরাক, সিরিয়া, মিশর, আল কায়েদা, তাকফিরী, ইখওয়ানুল মুসলেমিন, বাংলাদেশ, ভারত, জিহাদ, ফিলিস্তিন, ইহুদি, গাজা, শহীদ, জিহাদ, ক্ষেপণাস্ত্র, দূতাবাস, সৌদি আরব , কুয়েত, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা, ভিয়েনা, পরমাণু, বাহারাইন, আফগানিস্থান, থাইল্যান্ড, হজরত ফাতিমা, মার্জিয়া, সিদ্দিকা, মোহাদ্দেসা, বাতুল, উম্মে আবিহা, যাহরা, মুবারেকা, যাকিয়া, তাহেরা, রাযিয়া, জিহাদুন নিকাহ, পোপ, পাদ্রি, বাইতুল মোকাদ্দাস, ওহাবী, সালাফি, মুফতি, ড্রোন, পাকিস্থান, এজিদ, মাবিয়া, আবু সুফিয়ান, আলী আকবর, হুসাইন,
শপথ অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করছেন মাহমুদ আব্বাস
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ফাতাহ আন্দোলনকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার শপথ নিয়েছে। এর ফলে জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকার মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে যে বিরোধ ছিল তার অবসান হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

২০০৬ সালে ফিলিস্তিনে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে হামাস বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছিল। কিন্তু আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের চাপের মুখে ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ২০০৭ সালে প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়ার নেতৃত্বাধীন হামাস সরকারকে বরখাস্ত করে। এরপর হামাস গাজা উপত্যকার ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে সেখান থেকে ফাতাহ’কে বের করে দেয়। তখন থেকে পশ্চিম তীরে ফাতাহ এবং গাজায় হামাসের সরকার প্রতিষ্ঠিত ছিল।

আজ (সোমবার) রামি হামদুল্লাহ’র নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্যরা পশ্চিম তীরের রামাল্লায় স্বশাসন কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তরে শপথ নেন। শপথ অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ফিলিস্তিনের জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার শপথ গ্রহণের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেছে।

এদিকে হামাসের উপস্থিতির কারণে ফিলিস্তিনের জাতীয় সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। এ ছাড়া, হামাসের মন্ত্রিদেরকে শপথ নেয়ার জন্য অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে পশ্চিম তীরে যাওয়ারও অনুমতি দেয়নি তেল আবিব।

নয়া মন্ত্রিসভায় রামি হামদুল্লাহ প্রধানমন্ত্রী এবং মুহাম্মদ মুস্তফা অর্থনীতি বিষয়ক উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া, জিয়াদ আবু ওমর রাজনৈতিক বিষয়ক উপ প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতিমন্ত্রী, রিয়াদ আল-মালিকি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রুলা মুয়ায়িয়াহ পর্যটনমন্ত্রী, শুকরি বাশারাহ অর্থমন্ত্রী, খুলাহ শাখশির শিক্ষামন্ত্রী, হাইফা আল-আগা নারী বিষয়ক মন্ত্রী, জাওয়াদ আওয়াদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সেলিম আস-সাকা বিচারমন্ত্রী, মুফিদ হাসাইনা গৃহায়ন ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী, ইউসুফ দাইস ওয়াক্‌ফমন্ত্রী, নায়েফ আবু খালাফ স্থানীয় সরকারমন্ত্রী, আলম মুসা টেলি যোগাযোগমন্ত্রী, শুকি আল-ঈসা কৃষ্টিমন্ত্রী এবং আদনান আল-হুসাইনি আল-কুদস বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন।

গত ২৩ এপ্রিল হামাস ও ফাতাহ জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার গঠনের ব্যাপারে একটি সমঝোতা চূড়ান্ত করে। ওই সমঝোতায় সরকার গঠনের পাশাপাশি এ সরকারের অধীনে আইনসভা ও স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন