ভারত ও আফগানিস্তানে ক্ষমতা বদল

ভারত ও আফগানিস্তানে ক্ষমতা বদল

hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, সাকিফা, বণী সায়াদা, সাহাবী, হিজবুল্লাহ, ইসরাইল, ড্রোন, বিমান, হাসান নাসরুল্লাহ , লেবানন, ইরান,  চীন, মালয়েশিয়া,  স্যাটেলাইট, কুয়ালালামপুর, বেইজিং, ভিয়েতনাম, মার্কিন, গোয়েন্দা, ইরাক, সিরিয়া, মিশর, আল কায়েদা, তাকফিরী, ইখওয়ানুল মুসলেমিন, বাংলাদেশ, ভারত, জিহাদ, ফিলিস্তিন, ইহুদি, গাজা, শহীদ, জিহাদ, ক্ষেপণাস্ত্র, দূতাবাস, সৌদি আরব , কুয়েত, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা, ভিয়েনা, পরমাণু, বাহারাইন, আফগানিস্থান, থাইল্যান্ড, হজরত ফাতিমা, মার্জিয়া, সিদ্দিকা, মোহাদ্দেসা, বাতুল, উম্মে আবিহা, যাহরা, মুবারেকা, যাকিয়া, তাহেরা, রাযিয়া, জিহাদুন নিকাহ, পোপ, পাদ্রি, বাইতুল মোকাদ্দাস, ওহাবী, সালাফি, মুফতি, ড্রোন, পাকিস্থান,
পাকিস্তানের শীর্ষ কর্মকর্তারা জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক এক বৈঠকে আঞ্চলিক ও অভ্যন্তরীণ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং ভারতের সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন দিক নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। বৈঠকে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডার জেনারেল রাহিল শরিফ কাবুলে তার একদিনের সফর এবং সেখানে পাক-আফগান ও ন্যাটোর মধ্যকার ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন তুলে ধরেছেন।

উল্লেখ করা যায়, ভারতের সংসদ নির্বাচনে উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির বিপুল ভোটে বিজয় ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতা গ্রহণ এবং আফগানিস্তানে দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যেখানে আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে-আঞ্চলিক এ দু’টি ঘটনা এ ইসলামাবাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ভারতের সংসদ নির্বাচন এবং আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পাকিস্তানের কাছে এ জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে, এ দু’টি দেশই পাকিস্তানের প্রতিবেশী এবং বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের সঙ্গে পাকিস্তানের রয়েছে দীর্ঘ দিনের বিরোধ। এ অবস্থায় নয়া দিল্লী ও কাবুলের ক্ষমতায় কারা আসবে এবং তাদের পররাষ্ট্র নীতি কি হবে তা ইসলামাবাদের জন্য ভাববার বিষয়। আফগানিস্তান ও ভারতে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসায় এবং পাকিস্তানের সঙ্গে এ দুদেশের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের কারণে পাকিস্তান সরকার জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে জরুরী বৈঠক ডেকেছে এবং সেখানে প্রতিবেশী দেশগুলোতে রাজনৈতিক পরিবর্তনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত ও আফগানিস্তানের নির্বাচনের ব্যাপারে পাক সরকারের প্রতিক্রিয়া থেকে বোঝা যায়, ইসলামাবাদ এ দুদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিকে নয়াদিল্লি ও কাবুলের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার কাজে ব্যবহার করতে চায়। ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ এবং আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরাপত্তা বিধানে সহযোগিতা করতে পাক সরকারের প্রতিশ্রুতি থেকে বোঝা যায়, পাকিস্তান কাবুল ও নয়াদিল্লীর সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা ও বিরাজমান উত্তেজনা দূর করার চেষ্টা করছে।

পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ গত বছরের জুনে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসেন এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিস্তারের বিষয়টি তার পররাষ্ট্র নীতিতে অগ্রাধিকার পাবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ আশা করছেন, ভারত ও আফগানিস্তানে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার ফলে এ দু’দেশের সঙ্গে ইসলামাবাদের বিরাজমান উত্তেজনা দূর হবে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পাবে।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন