হিন্দু নেতা তোগাড়িয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর

হিন্দু নেতা তোগাড়িয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর

Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী সাকিফা, বণী সায়াদা, সাহাবী, হিজবুল্লাহ, ইসরাইল, ড্রোন, বিমান, হাসান নাসরুল্লাহ , লেবানন, ইরান,  চীন, মালয়েশিয়া,  স্যাটেলাইট, কুয়ালালামপুর, বেইজিং, ভিয়েতনাম, মার্কিন, গোয়েন্দা, ইরাক, সিরিয়া, মিশর, আল কায়েদা, তাকফিরী, ইখওয়ানুল মুসলেমিন, বাংলাদেশ, ভারত, জিহাদ, ফিলিস্তিন, ইহুদি, গাজা, শহীদ, জিহাদ, ক্ষেপণাস্ত্র, দূতাবাস, সৌদি আরব , কুয়েত, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা, ভিয়েনা, পরমাণু, বাহারাইন, আফগানিস্থান, থাইল্যান্ড, হজরত ফাতিমা, মার্জিয়া, সিদ্দিকা, মোহাদ্দেসা, বাতুল, উম্মে আবিহা, যাহরা, মুবারেকা, যাকিয়া, তাহেরা, রাযিয়া, জিহাদুন নিকাহ, পোপ, পাদ্রি, বাইতুল মোকাদ্দাস, ওহাবী, সালাফি, মুফতি, ড্রোন,
মুসলমানদের সম্পত্তি কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ডাক দেয়ায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে গুজরাট পুলিশ। সেইসঙ্গে তোগাড়িয়ার মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্যের সিডি চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তোগাড়িয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, শনিবার ভাবনগরের মেঘানি সার্কেলে এক মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ করতে বেশ কয়েকজন সমর্থকদের নির্দেশ দেন তিনি।

গুজরাটের ভাবনগরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার পি কে সোলাঙ্কি জানান, প্রবীণ তোগাড়িয়ার ভাষণের রেকর্ডিং শুনে এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কমিশন।

সম্প্রতি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়া রাজকোটে একটি জনসভায় বলেছেন, হিন্দু প্রধান এলাকা ছেড়ে মুসলমানদের চলে যেতে হবে। এমনকি, হিন্দু এলাকায় মুসলিমদের জমি-বাড়ি কেনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির কথাও বলেছেন তিনি।

রাজকোটের মেঘানি সার্কেলে এক মুসলিম ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের সদস্যদের উপস্থিতিতে এক সভায় তোগাড়িয়া ওই পরিবারকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেন। এর মধ্যে যদি তারা বাড়ি খালি না করেন তবে, জোর করে তাদের উচ্ছেদ করে সেখানে বজরং দলের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি। দরকার হলে অস্ত্র নিয়ে চড়াও হওয়ার কথা শোনা গেছে তার গলায়। তোগাড়িয়ার মতে, “দু'ভাবে এই ধরনের লেনদেন বন্ধ করা যায়। এক, রাজ্য সরকারকে উপদ্রুত সংক্রান্ত আইন বলবৎ করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পত্তি কেনা-বেচা করানো। অথবা, জোর করে বাড়ির দখল নেয়া। তার পর বছরের পর বছর ধরে চলুক মামলা। এর মধ্যে কোনো অন্যায় নেই। রাজীব গান্ধীর খুনীদেরও ফাঁসি হয়নি। ফলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি অতীতেও এ ধরনের কাজ করেছি, যেখানে মুসলমানরা তাঁদের সম্পত্তি ও টাকা দুইই হারিয়েছে। নির্বাচনের আগেই কংগ্রেস বা বিজেপি প্রত্যেক দলের উপর চাপ তৈরি করার আদর্শ সময়। হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য কাজ করতে হবে।”

তোগাড়িয়ার এ ধরনের সাম্প্রদায়িক বক্তৃতা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। এনডিএ’র শরিক শিরোমণি অকালি দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতীয় সমাজে এ ধরণের ব্যক্তির জায়গা নেই।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল বলেছেন, তোগাড়িয়া বরাবরই বিষ ছড়াতে ওস্তাদ। তিনি তোগাড়িয়াকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলেও মন্তব্য করেন।

কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা রশিদ আলভির মতে, তোগাড়িয়া মানসিক রোগী। অবিলম্বে তার চিকিত্সার প্রয়োজন।

ফতেহপুরি মসজিদের মুফতি মুকাররামের দাবি, তোগাড়িয়াকে এই মুহূর্তে গ্রেফতার করা দরকার।

তোগাড়িয়ার উগ্র মন্তব্যে দেশজুড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলেও অবিচল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)। সংগঠনের মুখপাত্র রাম মাধবের দাবি, তোগাড়িয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য নয়। কোনো স্বয়ংসেবক এমন বিভাজনের কথা বলতে পারেন না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন