ইরান: ব্রিটেনে নিয়মিত সংখ্যালঘু ও অভিবাসীদের অধিকার লঙ্ঘিত হয়
ইরান: ব্রিটেনে নিয়মিত সংখ্যালঘু ও অভিবাসীদের অধিকার লঙ্ঘিত হয়
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ইরানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারজিয়ে আফখাম ওই প্রতিবেদনকে পক্ষপাতদুষ্ট হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, কিছু পশ্চিমা দেশ মানবাধিকারকে তাদের অশুভ রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ গত বৃহস্পতিবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এ প্রতিবেদনে অন্তত ২৮টি দেশের মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, লিবিয়া, ইরাক, ইরান, সিরিয়া, ইয়েমেন, সুদান ও দক্ষিণ সুদান।
মারজিয়ে আফখাম যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টলে গত বছর একজন প্রতিবন্ধী ইরানি নাগরিকের হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে বলেন, ওই অসহায় ব্যক্তিকে মিথ্যা অভিযোগে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। তিনি বলেন, “ব্রিটেনে যেভাবে নিয়মিত সংখ্যালঘু, মুসলমান ও অভিবাসীদের অধিকার লঙ্ঘন করা হয় তাতে দেশটি নিজেকে মানবাধিকারের রক্ষক বলে দাবি করতে পারে না।”
ইরান সম্পর্কে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবদেনে বলা হয়েছে, তেহরান বিগত মাসগুলোতে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
ওদিকে ব্রিটেনভিত্তিক আইনি সহায়তাদানকারী সংস্থা সিএজিই বলেছে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। সিএজিই’র মুখপাত্র থমাস-জনসন বলেছেন, “ঠিক গত সপ্তাহেই সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার স্বীকার করেছেন, সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের জিজ্ঞাসাবাদের নামে চরম নির্যাতনের ঘটনায় তার দেশ জড়িত ছিল। ব্রিটেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গোপন কারাগার স্থাপনের মাধ্যমে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ যে নির্যাতন চালাতো তাতে সহযোগিতা দিয়েছে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআইসিক্স। টনি ব্লেয়ার এ বিষয়টি স্বীকার করে কার্যত প্রমাণ করেছেন, তার দেশ চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।”
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন