যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ’র রাশিয়ার কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ’র রাশিয়ার কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা
ব্রাসেলসে শলা-পরামর্শ করছেন ইইউ'র পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা
রাশিয়া ও ইউক্রেনের অন্তত ২১ জন পদস্থ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ক্রিমিয়ার জনগণ রোববার অনুষ্ঠিত গণভোটে রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দেয়ার পক্ষে ভোট দেয়ার পর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।
ওই গণভোট অনুষ্ঠানে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। ইউক্রেনের পাশ্চাত্যপন্থী সরকার, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ গণভোটকে ‘অবৈধ’ বলে উল্লেখ করেছে।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইইউ’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠক থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। লিথুয়ানিয়ার পরর্রাষ্ট্রমন্ত্রী লিনাস লিংকেভিচ এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আগামী কয়েকদিনের এ ধরনের আরো কিছু ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকালের গণভোটের জের ধরে ক্রিমিয়ার পার্লামেন্ট স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। ইউক্রেনের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলটির পার্লামেন্ট একইসঙ্গে উপদ্বীপটিকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভূক্ত করার জন্যও মস্কোর কাছে আবেদন জানিয়েছে।
মার্কিন সরকার বলেছে, দেশটি রাশিয়ার সাত শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ও সংসদ সদস্য এবং ক্রিমিয়া-ভিত্তিক ইউক্রেনের চার ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ নেতার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে উপেক্ষা করার কারণে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- ক্রিমিয়ার ভারপ্রাপ্ত নেতা সের্গেই আকসিওনভ, রুশ উপ-প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি রোগোজিন এবং রুশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের প্রধান ভ্যালেন্তিনা ম্যাতভিয়েনকো।
অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া রুশ কর্মকর্তাদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। মঙ্গলবার এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে তাদের নাম জানানো হবে বলে সংবাদদাতারা জানিয়েছেন। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি ইউক্রেনকে কিছু অর্থনৈতিক সুবিধাও দিয়েছে ইইউ। এখন থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত ইউক্রেনের সব ধরনের পণ্য বিনা শুল্কে ইউরোপের বাজারে প্রবেশ করতে পারবে।
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন