নজিব রাজ্জাক: নিখোঁজ বিমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল করা হয়েছিল'

নজিব রাজ্জাক: নিখোঁজ বিমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল করা হয়েছিল'

নজিব রাজ্জাক, Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী সাকিফা, বণী সায়াদা, সাহাবী, হিজবুল্লাহ, ইসরাইল, ড্রোন, বিমান, হা
সংবাদ সম্মেলনে নাজিব রাজ্জাক (মাঝে)
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ যাত্রীবাহী বিমানটির যোগাযোগ ব্যবস্থা ইচ্ছা করেই অচল করে রাখা হয়েছিল বলে খবর দিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাক।

তিনি আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, কৃত্রিম উপগ্রহ ও রাডার থেকে সংগৃহিত তথ্য-প্রমাণে দেখা যাচ্ছে, কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরও এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটটি আরো সাত থেকে আট ঘন্টা আকাশে উড়েছিল। এর ফলে বোঝা যায়, বিমানের ভেতর থেকে পাইলট বা অন্য কেউ এ কাজটি করেছিল।

গত ৭ মার্চ মধ্যরাতে ২৩৯ আরোহী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় বিমানটি। কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর থেকে আকাশে উড্ডয়নের প্রায় এক ঘন্টা পর দক্ষিণ চীন সাগরের আকাশে থাকা অবস্থায় এটির সঙ্গে সর্বশেষ কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, উপগ্রহ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে ‘অতি উচ্চমাত্রার যে সম্ভাবনা’ দেখা যাচ্ছে তা হলো- মালয়েশিয়ার পূর্ব উপকূলে পৌঁছার পরপরই বোয়িং ৭৭৭ বিমানটির যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল করে ফেলা হয়েছিল। একটি সামরিক রাডারের তথ্যমতে, এরপর বিমানটি তার নির্ধারিত গতিপথ বদলে মালয়েশিয়ার আকাশে ফিরে আসে এবং এরপর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়।

নাজিব রাজ্জাক এমন সময় এ সংবাদ সম্মেলন করলেন যখন মালয়েশিয়ার কোনো কোনো গণমাধ্যম দাবি করেছে, নিখোঁজ বিমানটি ছিনতাই এবং অক্ষত অবস্থায় ভূপৃষ্ঠের কোথাও অবতরণ করে থাকতে পারে।

রাডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার প্রায় সাত ঘন্টা পর একটি উপগ্রহে বিমানটি থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাঠানো সংকেত ধরা পড়েছে। নাজিব রাজ্জাক জানান, কিন্তু ওই সময়ে বিমানটি ঠিক কোন জায়গায় অবস্থান করছিল তা সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বশেষ এ তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তারা শেষ মুহূর্তে বিমানটির দু’টি সম্ভাব্য গতিপথ সনাক্ত করেছেন। এর একটি হচ্ছে থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চল দিয়ে কাজাখস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের সীমান্ত এবং অন্যটি হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া থেকে ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ অংশ।

বিমানটি ছিনতাই হয়েছে কি-না এমন এক প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে নাজিব রাজ্জাক বলেন, “আমরা এমএইচ৩৭০’র নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সব আশঙ্কাকে সামনে রেখে তদন্ত চালাচ্ছি।”

বিমানটির আরোহীদের স্বজনরা গত ৮ মার্চের প্রথম প্রহর থেকে এখন পর্যন্ত উদ্বিগ্নচিত্তে আপনজনদের ভাগ্য জানার জন্য অপেক্ষা করছেন। বর্তমানে নিখোঁজ বিমানটির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ১৪টি দেশের ৪৩টি জাহাজ ও ৫৮টি বিমান।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন