জয়নাব (সা.আ.)’র মাজারের অলৌকিক ঘটনা ও গির্জার বিজ্ঞান-বিরোধিতা
জয়নাব (সা.আ.)’র মাজারের অলৌকিক ঘটনা ও গির্জার বিজ্ঞান-বিরোধিতা
দামেস্কের উপকণ্ঠে নবী-নাতনী হযরত জাইনাব (সা. আ.)'র পবিত্র মাজার (ফাইল ফটো)
আজ হতে ২৮৩ সৌর বছর আগে খ্রিস্টিয় ১৭৩১ সালের এই দিনে ইন্তিকাল করেন সিরিয়ার বিশিষ্ট হানাফি আলেম ও ফিকাহবিদ আবদুল ঘানি আন নাবলুসি। তিনি একইসঙ্গে কাদিরিয়া ও নাকশবান্দি সুফি তরিকা অনুসরণ করতেন।
একবার দামেস্কের উপকণ্ঠে হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)’র বোন ও কারবালার মহাবিপ্লবের ঘটনার অন্যতম প্রচারক এবং এর বিপ্লবী চেতনার সংরক্ষক মহীয়সী বীর নারী হযরত জাইনাব (সালামুল্লাহি আলাইহা)’র পবিত্র মাজার পরিদর্শন বা জিয়ারতের পর নাবলুসির মনে এই সন্দেহ জাগে যে এই মাজার হযরত জাইনাবের (সা. আ.) প্রকৃত মাজার নাও হতে পারে।
এই ভাবনা বা সন্দেহ নিয়ে মাজার প্রাঙ্গণ ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গে নাবলুসি তার ঘোড়া থেকে পড়ে যান এবং তার পা ভেঙ্গে যায়।
এ অবস্থায় তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারেন এবং প্রচণ্ড ব্যথা সত্ত্বেও সঙ্গে সঙ্গে এক পায়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে ফিরে যান ওই পবিত্র মাজারের সামনে। সেখানে নাবলুসি আবৃত্তি করেন:
‘জাইনাব বিনতে হাইদার, মা’দান আল-ইলম ওয়াল হুদা
ইন্দাহা বাব হিত্তা, ফাআদখুলু আল বাব সুজ্জাদা।’
অর্থাৎ, ‘জাইনাব হাইদারের (তথা আলী-আ.’র) কন্যা, জ্ঞান ও হেদায়াতের খনি
বাব হিত্তা তাঁর (মাজার) প্রাঙ্গণের প্রবেশ-পথ, তাই প্রবেশ কর এ দরজা দিয়ে (সম্মানার্থে) সিজদারত অবস্থায়।‘
এই আবৃত্তি শেষ হওয়ার পর পরই নাবলুসি অনুভব করেন যে তার ভাঙ্গা পা এমনভাবে ভালো হয়ে গেছে যে যেন তার পায়ে কিছুই ঘটেনি এবং কোনো ব্যথা ছাড়াই তিনি উঠে দাঁড়ান।
আজ হতে ৩৯৮ সৌর বছর আগে খ্রিস্টিয় ১৬১৬ সনের এই দিনে জ্যোতির্বিদ ও বিজ্ঞানী কোপার্নিকাসের লেখা বই ‘মহাকাশ বা তারকা জগতে বিপ্লব’ (On the Revolutions of the Celestial Spheres) নিষিদ্ধ করে খ্রিস্ট ধর্মের ক্যাথলিক চার্চ।
কোপার্নিকাসের মৃত্যুর ৭৩ বছর পর ঘটে এই ঘটনা।
এই বইয়ে উল্লেখিত বৈজ্ঞানিক সত্য বা তথ্যগুলো খ্রিস্ট ধর্মের প্রতি খ্রিস্টানদের বিশ্বাসকে প্রশ্নের মুখোমুখি করতে পারে-এমন আশঙ্কার কারণেই চার্চ ওই সিদ্ধান্ত নেয়।
কোপার্নিকাস ইরানের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী আবু রায়হান বিরুনিসহ মুসলিম বিজ্ঞানীদের লেখা বই থেকে নতুন বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করতেন।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন