মার্কিন বার্ষিক প্রতিবেদনে ইরানের ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য

মার্কিন বার্ষিক প্রতিবেদনে ইরানের ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য

মার্কিন, মানবাধিকার , মার্কিন, জন কেরি , ইরান, আমেরিকা, মুসলিম, গোয়েন্দা, Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী সাকি
মানবাধিকার বিষয়ে মার্কিন বার্ষিক প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশিত হয়েছে। বরাবরের মত এবারের প্রতিবেদনেও যেসব দেশ মার্কিন নীতির বিরোধী কেবল সেসব দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রতি বছরের মত এবারও ইরানে মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে প্রতিবেদনে বিরূপ মন্তব্য করা হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ওই প্রতিবেদনে ইরানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে দাবি করেছেন, সরকার পরিবর্তনের পরও ইরানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিবেদনে বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সম্মান দেয়া, তাদের অধিকার রক্ষা, সব ঐশী ধর্মের অনুসারীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার রক্ষার কথা বলা হয়েছে। দ্বন্দ্ব-সংঘাত, রক্তপাত ও সহিংসতায় জর্জরিত মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে একমাত্র ইরানে বিভিন্ন ধর্ম ও গোত্রের লোকজনের বসবাস থাকলেও তারা শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাস করছে। ইরানের প্রতিটি অঞ্চলে বসবাসকারী বিভিন্ন ধর্ম ও গোত্রের লোকজন পূর্ণ নাগরিক সুবিধা পাচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার অনেক মিত্র দেশের সরকার ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের প্রাথমিক অধিকারও মেনে চলছে না। কিন্তু ইরানের সংবিধানে মুসলিম অমুসলিম প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার রয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে ইরানে ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণের অভিযোগ আনা হয়েছে অথচ আমেরিকাতেই সরকার সেদেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাবৃত্তি করছে।

এ ছাড়া মার্কিন প্রতিবেদনে ইরানে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের অপব্যবহারেরও অভিযোগ তোলা হয়েছে। অথচ ইরান অনেক বছর ধরে প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশ থেকে আসা লাখ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। মানবাধিকার বিষয়ে মার্কিন বার্ষিক প্রতিবেদনে ইরানে নারী ও শিশুদের অধিকার নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মোটকথা মার্কিন এ প্রতিবেদনে ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ওয়াশিংটনের বিদ্বেষী নীতি ও হস্তক্ষেপের চিত্র ফুটে উঠেছে।

বাস্তবতা হচ্ছে, মানবাধিকার বিষয়ে মার্কিন এ প্রতিবেদনে আমেরিকার মিত্র দেশগুলোতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো সম্পূর্ণ চেপে যাওয়া হয়েছে। অথচ তারা মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে গণতান্ত্রিক দেশ ইরানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং ইরানকে অগণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের পরমাণু নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটানোর জন্য চলমান আলোচনা প্রক্রিয়া ইরান ও আমেরিকার মধ্যে আলোচনার পথকে সুগম করেছে। এ অবস্থায় ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাল্পনিক অভিযোগ থেকে প্রমাণিত হয়, ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন বিদ্বেষী নীতি বজায় রয়েছে এবং তারা মানবাধিকারের বিষয়টিকে ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করছে।

সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন