পাকিস্তানে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সফর

পাকিস্তানে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সফর

পাকিস্তান, চীন, ইসলামাবাদ, এশিয়া, আমেরিকা, জঙ্গি বিমান , ক্ষেপণাস্ত্র, Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী সাকিফা,
চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চ্যাং ওয়ানকুয়ান এবং পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ রাওয়ালপিন্ডিতে এক বৈঠকে দু’দেশের সামরিক সহযোগিতা আরো বাড়ানোর উপায় নিয়ে মতবিনিময় করেছেন। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুই মন্ত্রীর বৈঠকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিনিময়, নৌ-সহযোগিতা, যৌথ সামরিক মহড়া এবং প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এর আগে বহুবার বলেছেন, পররাষ্ট্র ক্ষেত্রে ইসলামাবাদ-বেইজিং সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত অর্ধ শতকের বেশি সময় ধরে চীন ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক থেকেই পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এ বক্তব্যের গুরুত্ব উপলব্ধি করা যায়। চীন দক্ষিণ এশিয়ায় তার নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা শক্তি বজায় রাখার চেষ্টা করছে অন্যদিকে, পাকিস্তানেরও বিরাট স্বার্থ রয়েছে। এ কারণে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চ্যাং ওয়ানকুয়ান বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে তার দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আমেরিকা যদি পাকিস্তানের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালায় তাহলে নিঃসন্দেহে চীনও এ অঞ্চলে মার্কিন আগ্রাসী লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে। চীন সরকার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন, উন্নত ট্যাংক নির্মাণ, জঙ্গি বিমান তৈরি, ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যাপক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এ ছাড়া, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রেও ব্যাপক সহযোগিতা রয়েছে। পাকিস্তানের জ্বালানি, অবকাঠামো নির্মাণ, কৃষি উন্নয়ন ও শিক্ষা খাতেও দু’দেশের মধ্যে সম্প্রতি বেশ কিছু চুক্তি সই হয়েছে।

আমেরিকা গত দুই দশক ধরে বিভিন্ন ইস্যুতে পাকিস্তানের ওপর ব্যাপক চাপ দিয়ে আসায় বেইজিং ও ইসলামাবাদ নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক সহযোগিতা গড়ে তুলেছে। এদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন বিশেষ করে এ অঞ্চলে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করাকে চীন তার দায়িত্ব বলে মনে করে। দীর্ঘ দিন ধরে চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক বজায় থাকলেও গত তিন বছরে তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক উন্নয়ন ও সহযোগিতা বিস্তারে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। এ থেকে তাদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থার প্রমাণ পাওয়া যায়।

এদিকে, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের ভয়াবহ বিস্তার ঘটায় চীনের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক ও সহযোগিতাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং নানা কারণে এ সহযোগিতা চীনের জন্যও খুবই জরুরী। পাকিস্তান এখনো সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য হতে পারেনি। কিন্তু চীন ও পাকিস্তানের মধ্যকার প্রতিরক্ষা, সামরিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৌশলগত সহযোগিতা অব্যাহত থাকায় পাকিস্তানের জন্য সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য হওয়ার পথ সুগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবেলায় চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে সহযোগিতা এবং দু’দেশের মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়া থেকে বোঝা যায়, পাকিস্তানের নিরাপত্তা চীনের নিরাপত্তা হিসেবে বিবেচিত হয়।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন