সিরিয়া ও লেবাননে ইসরাইলের বিমান হামলা

সিরিয়া ও লেবাননে ইসরাইলের বিমান হামলা

সিরিয়া, লেবানন, ইসরাইল, ইহুদি, বিমান, ফিলিস্তিন, Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী সাকিফা, বণী সায়াদা, সাহাবী
ইহুদিবাদী ইসরাইল নতুন করে আবারো এ অঞ্চলে যুদ্ধের পায়তার করছে। এরই অংশ হিসেবে ইসরাইলি বিমান লেবাননে বোমা বর্ষণ করেছে। ইসরাইলের জঙ্গি বিমানগুলো লেবাননের সীমান্ত এলাকায় হামলা চালানোর একই সঙ্গে সিরিয়া সীমান্তেও হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, লেবানন ও সিরিয়া সীমান্তেও ইসরাইল ব্যাপক সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে। সামরিক মহড়ার কথা বলে ইসরাইল এসব সীমান্তে সেনা সংখ্যা বৃদ্ধি করে চলেছে।

এর আগেও ইহুদিবাদী ইসরাইলের আচরণে প্রমাণিত হয়েছে হত্যা, সহিংসতা ও যুদ্ধই তাদের একমাত্র চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের কুখ্যাতি সবারই জানা আছে। ইসরাইল সবসময়ই কোনো না কোনো অজুহাতে মধ্যপ্রাচ্যে তার আগ্রাসী লক্ষ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ইহুদিবাদী ইসরাইল লেবানন ও সিরিয়ায় বিমান হামলা চালালেও ইসরাইলি কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে এখনো মুখ খোলেননি। এ থেকে বোঝা যায়, তারা চায় না বিমান হামলা নিয়ে গণমাধ্যম হৈচৈ করুক। তাদের এ অবস্থান থেকে এ অঞ্চলের সংগ্রামী জনতার কাছে ইসরাইলের একের পর এক ব্যর্থতার চিত্রই ফুটেছে।

আসলে ইসরাইল ২০০৬ সালে লেবাননের বিরুদ্ধে ৩৩ দিনের যুদ্ধে এবং ২০০৯ সালে গাজায় ২২ দিনের ও ২০১২ সালে আট দিনের যুদ্ধে লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হওয়ার পর সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার সাহস তাদের এখন আর নেই। এসব যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর ইসরাইল নানা উপায়ে এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করছে যে, তাদের শক্তি এখনো আগের মতই অটুট আছে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের পরিবর্তিত পরিস্থিতি থেকে বোঝা যায়, ইসরাইল তার শক্তিমত্তা প্রমাণের চেষ্টাতেও ব্যর্থ হয়েছে।

এদিকে, ইসরাইল বার বার লেবানন ও ফিলিস্তিনে ব্যাপক হামলা চালানোর হুমকি দিলেও ওই হুমকি বাস্তবায়নের সাহস তারা দেখাতে পারছে না এবং সীমিত আকারে হামলা চালানোর মধ্যেই তারা সীমাবদ্ধ রয়েছে। এ থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের হতাশার চিত্রই ফুটে উঠেছে।

এ অবস্থায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরাইলি কর্মকর্তারা নতুন করে যে সামরিক তৎপরতা শুরু করেছে এবং হুমকি দিচ্ছে তার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ জনমতকে তারা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। কারণ গত কয়েক মাসে ইসরাইলে অর্থনৈতিক সংকট তীব্রতর হওয়ায় এবং সামাজিক সংকট ও রাজনৈতিক উত্তেজনা এতটাই বেড়ে গেছে যে, ইসরাইলি কর্মকর্তারা এ থেকে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা নতুন করে সামরিক উত্তেজনা সৃষ্টির মাধ্যমে ইসরাইলি নাগরিকদের সরকার বিরোধী আন্দোলন থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরাইলি কর্মকর্তাদের আচরণ ও কর্মকাণ্ড যৌক্তিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত নয় এবং তারা হতাশাগ্রস্ত ও দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে পড়েছে। বিশেষ করে এ অঞ্চলের সংগ্রামী জনতার কাছে তারা পরাজিত হওয়ায় এখন অন্যের সহযোগিতা পাওয়ার চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে অত্যন্ত জরুরী।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন