ইসরাইল ইরানের সঙ্গে চূড়ান্ত পরমাণু চুক্তি বানচাল করতে তৎপর হয়ে উঠেছে

ইসরাইল ইরানের সঙ্গে চূড়ান্ত পরমাণু চুক্তি বানচাল করতে তৎপর হয়ে উঠেছে

আলী, ফাতিমা, হাসান, হুসাইন, সাজ্জাদ, ইমাম, খেলাফত, ইমামত, মদীনা, জান্নাতুল বাক্বি, মোহাম্মাদ বাকের, বাকেরুল উলুম, Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, hussain, mohammad, imam mahdi, ইমাম সাদিক, বাকের, শিয়া, সুন্নী, ইসলাম, মূসা কাযিম, ইমাম রেযা, মাশহাদ, আমেরিকা, ইসরাইল, ই
ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তির ব্যাপারে ইহুদিবাদী ইসরাইল বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে। এরই অংশ হিসেবে আমেরিকা, ইউরোপ ও ইসরাইলি কর্মকর্তাদের মধ্যে সম্প্রতি কূটনৈতিক তৎপরতা অনেক বেড়ে গেছে।

ইরানের সঙ্গে ছয় জাতিগোষ্ঠীর পরমাণু আলোচনায় মার্কিন প্রতিনিধি ও দেশটির সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যান তেলআবিবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাত শেষে এখন তিনি সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন। এদিকে, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলও ইসরাইল সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী ছয় জাতিগোষ্ঠী ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকার মেনে নেয়ায় নেতানিয়াহু খুবই ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়ে পড়েছেন। তিনি জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচিকে বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছেন।

এদিকে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের একটি সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এবং অর্থমন্ত্রী জ্যাক লু ইসরাইল-মার্কিন স্বার্থ রক্ষাকারী যৌথ কমিটি আইপ্যাকের বার্ষিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেবেন। এ ছাড়া, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও ওই বৈঠকে বক্তব্য দেবেন বলে কথা রয়েছে। আগামী সপ্তাহে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

কয়েকটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইসরাইলি কর্মকর্তারা ইরান বিরোধী তৎপরতা চালাচ্ছেন। প্রথমত, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে ইসরাইলই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং দ্বিতীয়ত, আমেরিকা ও ইউরোপকে এটা বোঝানো যে, ইসরাইল চাইলে ইরানের সঙ্গে চূড়ান্ত পরমাণু চুক্তির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমন সময় ইসরাইল ইরান বিরোধী এ ধরণের তৎপরতা চালাচ্ছে যখন এ অঞ্চলে ইসরাইলের অবস্থান অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির ব্যাপারে তাদের অবস্থানকে কেউ তেমন আমলে নিচ্ছে না।

বর্তমানে ইসরাইল এ জন্য চিন্তিত যে, আন্তর্জাতিক সমাজের দৃষ্টি ইরান থেকে সরে এসে এখন ইসরাইলের পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডারের দিকে নিবদ্ধ হচ্ছে। কারণ মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র ইসরাইলের হাতে রয়েছে পরমাণু অস্ত্র এবং ইরানও মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্ব থেকে পরমাণু অস্ত্র মুক্ত করার ওপর জোর দিয়ে আসছে। ইসরাইল ও আমেরিকা এতদিন ধরে ইরান বিরোধী তৎপরতা চালিয়ে আসলেও এখন তারা অচলাবস্থার সম্মুখীন হয়েছে। মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যান স্বীকার করেছেন, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকার ছিনিয়ে নেয়াটা অযৌক্তিক। এ ছাড়া, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে চলমান আলোচনা প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করাও কারো উচিত হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এদিকে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে সন্দেহ দূর করার জন্য ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের পরমাণু আলোচনা চলার একই সময়ে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র সঙ্গেও তেহরানের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, পরমাণু বিষয়ে আলোচনা কঠিন হলেও তা এখন সঠিক ও যৌক্তিক পন্থায় এগিয়ে চলেছে এবং ২০শে জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানো যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর এটাই ইসরাইলের জন্য সবচেয়ে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন