ইরান মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে ত্রাণ পাঠাবে

ইরান মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে ত্রাণ পাঠাবে

ইমাম হাদী, মহানবী, আহলে বাইত, মুসলমান, জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দানশীলতা, সদাচরণ, অধ্যবসায়, জিহাদ, ইমাম, জাফর, সাদিক, যুরারা ইবনে আয়ান, মুহম্মাদ ইবনে মুসলিম, মুমীন তা’ক, হিশাম ইবন আল-হাকাম, আবান ইবনে তাগলিব, হিশাম ইবনে সালিম, নুরাইজ, হিশাম আল-কালরিয়ান নাসাবাহ, জাফর সাদিক, আল্লামা শিবলী নোমানী, হাদিস, ফিকাহ, তাফসীর, মারওয়ান, যায়নুল আবেদীন, ইমাম মাহদী, শিয়া, শেখ সাদুক, মুসা কাজিম, জাফর, হুসাইন, খলিফা, আলী, বিশ্বনবী
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান খুব শিগগিরই যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে (সিএআর) ত্রাণ সামগ্রী পাঠাবে। ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বার্তা সংস্থা ইরনা’র সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন।

আমির-আব্দুল্লাহিয়ান আরো বলেছেন, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যা ঘটছে তা ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্রেরই অংশ। দেশটির আভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে বছরের পর বছর ধরে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিরাজ করছিল। কিন্তু ইসলামভীতি তথা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের কারণে এখন সেখানে নিরপরাধ মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে খ্রিস্টান ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের উগ্রবাদের নিন্দা জানাই।’

গত ডিসেম্বর খ্রিস্টান জঙ্গিরা সুসংগঠিতভাবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা শুরু করে। প্রধানত মুসলমানদের নিয়ে গঠিত সেলেকা গেরিলারা ২০১৩ সালের মার্চ মাসে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের তৎকালীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। ডিসেম্বরে সেলেকা সরকার পদত্যাগ করার পরপরই মুসলমানদের ওপর গণহত্যা অভিযান শুরু হয়। হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে এরইমধ্যে প্রায় ১০ লাখ মুসলমান দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

উগ্র খ্রিস্টানদের হাতে নিহত হয়েছেন অন্তত ১,০০০ মানুষ। জাতিসংঘের অনুমোদন নিয়ে ডিসেম্বরেই ফ্রান্স দেশটিতে ১,৬০০ শান্তিরক্ষী মোতায়েন করলেও তারা দাঙ্গা বন্ধের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে হীরকসহ আরো বেশ কিছু মূল্যবান খনিজ সম্পদ রয়েছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ফ্রান্স এসব সম্পদের লোভে দেশটিতে সেনা পাঠিয়েছে; মুসলমানদেরকে দাঙ্গাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে নয়।
সূত্রঃ তেহরান রেডিও

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন