মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: ভিয়েনায় ইরানের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা গঠনমূলক ছিল

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: ভিয়েনায় ইরানের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা গঠনমূলক ছিল

ভিয়েনা, মার্কিন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পরমাণু, ইরান, ইমাম হাদী, মহানবী, আহলে বাইত, মুসলমান, জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দানশীলতা, সদাচরণ, অধ্যবসায়, জিহাদ, ইমাম, জাফর, সাদিক, যুরারা ইবনে আয়ান, মুহম্মাদ ইবনে মুসলিম, মুমীন তা’ক, হিশাম ইবন আল-হাকাম, আবান ইবনে তাগলিব, হিশাম ইবনে সালিম, নুরাইজ, হিশাম আল-কালরিয়ান নাসাবাহ, জাফর সাদিক, আল্লামা শিবলী নোমানী, হাদিস, ফিকাহ, তাফসীর, মারওয়ান, যায়নুল আবেদীন, ইমাম মাহদী, শিয়া, শেখ
পরমাণু বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছার জন্য ভিয়েনায় ছয় জাতিগোষ্ঠী ও ইরান আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে তারা ব্যাপকভিত্তিক পরমাণু আলোচনার কাঠামো চূড়ান্ত করেছে। ভিয়েনায় তিনদিন ধরে আলোচনার পর ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি এ কথা জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেন, আগামী ১৭ই মার্চ ফের ভিয়েনায় পরমাণু আলোচনা শুরু হবে এবং ২০শে মার্চ পর্যন্ত তা চলবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মরি হারেফও বলেছেন, নিঃসন্দেহে এবারের আলোচনা অত্যন্ত গঠনমূলক ছিল। বর্তমান সমঝোতা গত ২৪ নভেম্বর স্বাক্ষরিত প্রাথমিক পরমাণু চুক্তির ভিত্তিতে হয়েছে। এ ছাড়া এ চুক্তি অনুযায়ী একদিকে ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা পাঁচে নামিয়ে এনেছে অন্যদিকে পাশ্চাত্যও ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা পর্যায়ক্রমে তুলে নেয়ার কাজ শুরু করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত চুক্তি সম্পাদনের জন্য নির্ধারিত আগামী ২০শে জুলাইয়ের আগেই এ চুক্তি সইয়ের একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে দু’পক্ষেরই রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন রয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফও বলেছেন, নির্ধারিত ছয় মাসের মধ্যে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছানো অসম্ভব কিছু নয়।

উল্লেখ করা যায়, গত ২৪ নভেম্বর স্বাক্ষরিত চুক্তি পরমাণু আলোচনা অব্যাহত রাখার পথকে আরো সহজ করে দিয়েছে। ওই চুক্তিতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তিতে উপনীত হওয়ার কথা বলা হলেও পরে তা এক বছরের মধ্যে সমাধানেরও সুযোগ রাখা হয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে বিশেষজ্ঞরা মতবিনিময় করার সুযোগ পাবে। এ সময়ের মধ্যে তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের জন্য সেন্ট্রিফিউজের ব্যবহার এবং আরাকে হেভিওয়াটার নির্মাণ প্রকল্পের ব্যাপারে তদন্ত চালাবেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান আলোচনা প্রক্রিয়া যদিও বেশ জটিল ও কঠিন হবে কিন্তু তারপরও এখন পর্যন্ত গঠনমূলকভাবেই সংলাপ এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে পাশ্চাত্যের সন্দেহেরও অবসান ঘটবে। এ ছাড়া, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাশ্টোনের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা ও যৌথ সংবাদ সম্মেলন থেকেও আলোচনায় অগ্রগতির প্রমাণ পাওয়া যায়।

এদিকে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের পরমাণু আলোচনা চলার একই সময়ে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র সঙ্গেও ইরানের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

পাশ্চাত্যের কোনো কোনো মহল ইরানে হামলার হুমকি দিয়েছে এবং তারা এখন ইরানের পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি বন্ধের বিষয়টি আলোচনার টেবিলে রাখার জন্য চাপ দিচ্ছে। অথচ ইরানের পরমাণু ইস্যুতে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে আলোচনা চলছে তারাই ইরানের পরমাণু অধিকারের বিষয়টি ঠিক করবে। ভিয়েনায় যে আলোচনা চলছে এবং সম্প্রতি যেসব সমঝোতা হয়েছে তারই আলোকে বিষয়টি মূল্যায়ন করতে হবে।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন