মোহাম্মদ মুরসির অপসারণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এরদোগান

মোহাম্মদ মুরসির অপসারণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এরদোগান

মোহাম্মদ মুরসির অপসারণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এরদোগান

মোহাম্মদ, মোহাম্মদ মুরসি, এরদোগান, মুরসি,  তুরস্ক , তুর্কি, ফেরাউন,  পাকিস্তান,  ইরান , জেইশুল, ইসলামাবাদ, বালুচিস্তান, তেহরান, shia, sunni, ahle bait, islam, iran, ahle sunnat, তেলআবিব,নারী, বালিকা,
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রজব তাইয়্যেব এরদোগান আবারো মিশরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির অপসারণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এরদোগান মুরসির পতনের ঘটনাকে সামরিক অভ্যুত্থান হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, তিনি এখনো মুরসিকে মিশরের বৈধ প্রেসিডেন্ট বলে মনে করেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মুরসির প্রতি সমর্থন এবং কায়রোর বর্তমান সরকারের প্রতি তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর এ সমালোচনা কায়রো-আঙ্কারা সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। অবশ্য মিশরের প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই তুরস্ক ও মিশরের সম্পর্কে উত্তেজনা বজায় রয়েছে। বলা যায়, মিশরের সেনা সমর্থিত বর্তমান সরকারের প্রতি তুর্কি প্রধানমন্ত্রী এরদোগানের কঠোর সমালোচনার পর দু’দেশের সম্পর্কে ব্যাপক অবনতি ঘটে।

রজব তাইয়্যেব এরদোগান মিশরের বর্তমান সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেছিলেন, মিশরে আরেক জন মুসা নবীর প্রয়োজন রয়েছে যাতে নব্য ফেরাউনদের মোকাবেলা করা যায়। তিনি আরো বলেছিলেন, ইতিহাস একদিন মিশরের শেইখ আল আজহারের মত ব্যক্তিকে ঘৃণা করবে ও অভিশাপ দেবে। যেমনটি অতীতেও তার মত নেতাদেরকে মানুষ ঘৃণা করেছে। তুর্কি প্রধানমন্ত্রী এমন সময় আবারো মিশরের বর্তমান সরকার ও দেশটির পরিস্থিতির কঠোর সমালোচনা করলেন যখন তুরস্কের কোনো কোনো গণমাধ্যম এরদোগানের প্রতি মিশরের জনগণের ক্ষোভের কথা জানিয়ে বলেছেন, এ ধরনের ক্ষোভ মিশরের ইতিহাসে নজীরবিহীন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিশরের সেনা সমর্থিত বর্তমান সরকারের অবস্থান নজিরবিহীন এবং সম্পর্কের এতটাই অবনতি ঘটেছে যে, কূটনৈতিক সীমাও এখন আর কেউ মানছে না। মিশর প্রেসিডেন্টের তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা আহমদ মুসালমানি তার দেশের ব্যাপারে তুর্কি প্রধানমন্ত্রীকে চুপ থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, তুরস্ক সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার মত আমাদেরও অনেক কথা জমা হয়ে আছে।

মধ্যপ্রাচ্যের অনেক গণমাধ্যম জানিয়েছে, মিশরের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে তুরস্ক সরকারের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে মিশর এরই মধ্যে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে বহিস্কার করেছে। এদিকে এ অঞ্চলের কয়েকটি দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে তুরস্ক সরকারের হস্তক্ষেপের ব্যাপারে সেদেশের অভ্যন্তরেও সরকার ব্যাপক বিরোধিতার সম্মুখিন হয়েছে। তুরস্কের জনগণ সরকারের এ ধরণের হস্তক্ষেপকে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা কমিয়ে আনার নীতির পরিপন্থী বলে মনে করছে।

তুরস্কের অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক এরদোগানকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এ ধরণের পদক্ষেপ দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে সরকারের ভাবমূর্তীকে ক্ষুন্ন করতে পারে। তুরস্কের জনগণ আশা করে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলার পাশাপাশি এ অঞ্চলের সব দেশের ঘটনাবলীর ব্যাপারে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু এত বিরোধিতা সত্ত্বেও তুর্কি প্রধানমন্ত্রী এরদোগান মিশরের ব্যাপারে তার অবস্থানে অনড় রয়েছেন এবং তিনি বলেছেন, মিশরের বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে নির্বাচিত হয়ে যিনিই প্রেসিডেন্ট হন না কেন তার প্রতি আঙ্কারা সমর্থন দেবে না।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন