ওহাবীদের কোরআনের বীপরিত চিন্তা চেতনা
ওহাবীদের কোরআনের বীপরিত চিন্তা চেতনা: খোদা পরিচিতি
কোরআনে বর্ণিত হয়েছেঃ
وَ هُوَ مَعَكمُْ أَيْنَ مَا كُنتُم
তিনি তোমাদের সাথে আছেন তোমরা যেখানে থাক। (সুরা হাদীদ-৪)
ُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْ حَبْلِ الْوَرِيد
আমি তার গ্রীবাস্থিত ধমনীর চেয়েও অধিক নিকটবর্তি। (সুরা কাফ- ১৬)
وَ كَانَ اللَّهُ بِكلُِّ شىَْءٍ محُِّيطًا
সব বস্তু আল্লাহর মুষ্টি বলয়ে।(নিসা- ১২৬)
فَأَيْنَمَا تُوَلُّواْ فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ وَاسِعٌ عَلِيم
অতএব তোমরা যেদিকে মুখ ফিরাও, সেদিকেই আল্লাহ বিরাজমান। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বব্যাপি সর্বজ্ঞ। (সুরা বাকারা- ১১৫)
কিন্তু ইবনে তাইমিয়ার মতেঃ
- খোদা প্রত্যেক রাতে অথবা রাতের শেষভাগে আরশ থেকে নেমে আসেন সকাল পর্যন্ত অবস্থান করেন তারপর তিনি আবার আরশে ফিরে যান।
যেমনভাবে ফেরাউন মূসার খোদা অর্থাৎ আল্লাহকে বলতোঃ
وَ قَالَ فِرْعَوْنُ يَأَيُّهَا الْمَلَأُ مَا عَلِمْتُ لَكُم مِّنْ إِلَاهٍ غَيرِْى فَأَوْقِدْ لىِ يَاهَامَانُ عَلىَ الطِّينِ فَاجْعَل لىِّ صَرْحًا لَّعَلىِّ أَطَّلِعُ إِلىَ إِلَاهِ مُوسىَ وَ إِنىِّ لَأَظُنُّهُ مِنَ الْكَاذِبِين
ফেরাউন বলতো হে পরিষদবর্গ আমি জানি না যে, খোদা ব্যাতিত তোমাদের কোন উপাস্য আছে। হে হামান তুমি ইট পোড়াও অতপর আমার জন্য একটি প্রাসাদ তৈরী কর যাতে আমি মূসার উপাস্যকে উকি মেরে দেখতে পারি। আমারতো ধারণা এই যে, সে একজন মিথ্যাবাদি। (সূরা কেসাস- ৩৮)
মুসলমানরা সবাই এই ব্যাপারে একমত যে, খোদা হচ্ছেন নীরাকার। এখন যদি কেউ খোদাকে নিরাকার না ভাবে তাহলে সে অবশ্যই কোরআনের বিরোধিতা করলো।
এছাড়া যদি কেউ খোদাকে আকাশে আরশের উপরে বিরাজমান ধারণা করে তাহলে সে অবশ্যই জমিনকে খোদা ব্যাতিত বলে মনে করে। আর যদি কেউ খোদাকে নিজের সমস্ত আমলের নিরক্ষণকারী হিসেবে ধারণা না করে তাহলে সে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অপরাধ এবং হত্যাজজ্ঞ চালাতে কোন দ্বিধাদন্দবোধ করবে না।
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন