‘হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলি বন্দরগুলো অচল করতে সক্ষম’
‘হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলি বন্দরগুলো অচল করতে সক্ষম’
হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ইহুদিবাদী ইসরাইলের কোনো কোনো বন্দরকে অচল করে দিতে পারে বলে ইসরাইলি কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ইসরাইলি দৈনিক ইয়েদিয়োথ অহরোনোথ দখলদার ইসরাইলের নৌবাহিনীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর কাছে অত্যাধুনিক ‘ইয়াকহোন্ট গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের’ যন্ত্রাংশ থাকায় তেলআবিবের জন্য তা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইয়াকহোন্ট ক্ষেপণাস্ত্র রাডার দিয়ে সনাক্ত করা বেশ কঠিন বলে ইসরাইলি সামরিক সূত্রগুলো জানিয়েছে এবং এ ধরণের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরাইলের নৌ-বন্দরগুলোকে অচল করে দিতে পারে বলে তারা গভীর আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
ইসরাইলি নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা ওই দৈনিককে বলেছেন, ‘হিজবুল্লাহ ও সিরিয়া সামরিক শক্তি জোরদার করে চলেছে এবং প্রতি সপ্তাহয় রাশিয়ার একটি জাহাজ সিরিয়ার বন্দরগুলোতে অস্ত্র খালাস করছে।’
গত শুক্রবার মার্কিন ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছিল, মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করেন হিজবুল্লাহ গোপনে ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের নানা অংশ সংগ্রহ করছে যাতে তা ইসরাইলের গোপন বিমান হামলার শিকার না হয়।
মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মতে, সিরিয়ার ভেতরে হিজবুল্লাহর ১২টি জাহাজ বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম রয়েছে।
ইসরাইলি দৈনিকটির মতে, ‘তেল-আবিবকে এখন রাশিয়ার উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর জন্য পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো খুব নিচু উচ্চতায় শত শত কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় বলে রাডারে সেগুলোকে সনাক্ত করা যায় না।’
দৈনিকটি আরো লিখেছে, ‘গোয়েন্দা সূত্রগুলো মনে করে, হিজবুল্লাহ ইয়াকহোন্ট ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু অংশ লেবাননে পাচার করতে সক্ষম হয়েছে, তবে এই ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম চালু করার মত যথেষ্ট যন্ত্রাংশ তাদের কাছে নেই।’
ইহুদিবাদী ইসরাইল ২০০০ ও ২০০৬ সালে লেবাননের কিংবদন্তীতুল্য ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন