ঐক্যের আহ্বান হিজবুল্লাহর: বোমা হামলার নিন্দায় নেতারা

ঐক্যের আহ্বান হিজবুল্লাহর: বোমা হামলার নিন্দায় নেতারা


শেখ নায়িম কাসিম
লেবাননে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ। রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণে বোমা হামলায় অন্তত ৫ জন নিহত ও ৭০ জন আহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই আহ্বান জানালেন হিজবুল্লাহর উপ মহাসচিব শেখ নায়িম কাসেম। জনগণের মাঝে ঐক্য গড়ে তোলার পাশাপাশি রাজনৈতিক সমঝোতা এবং অবিলম্বে জাতীয় ঐক্যের মন্ত্রীসভা গঠনেরও আহ্বান জানান হিজবুল্লাহর এই নেতা।

নায়িম কাসেম বলেন, সন্ত্রাসীরা হিজবুল্লাহকে নয় বরং সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে বোমা হামলা চালাচ্ছে। এই বোমা হামলা সন্ত্রাসীদের ধারাবাহিক নাশকতারই অংশ। কাজেই হিজবুল্লার একার পক্ষে এই সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করা অসম্ভব। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার ব্যাপারে ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন। কোনো দলের পক্ষ থেকে দুর্বল এবং দায়সারা কোনো বক্তব্য শুনতে প্রস্তুত আমরা নই’।

হিজবুল্লাহর দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা বলেন, “রাজনৈতিক সমঝোতা না হলে লেবানন ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে। আমরা যদি আমাদের অহমিকা থেকে সরে আসতে না পারি তাহলে দেশকে রক্ষা করা যাবে না। কোনো দল যদি এই বাস্তবতা স্বীকার করতে না চায় তাহলে বুঝতে হবে তারা দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে চায়।”

এর আগে লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল সোলেইমান বলেছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সম্প্রতি যারা বোমা হামলা চালিয়েছে বৃহস্পতিবারের হামলার সঙ্গে তারাই জড়িত। তিনি বলেন, লেবাননের সব জায়গায় চালানো বোমা হামলার ধরন অভিন্ন একই গোষ্ঠীর কাজ।

লেবাননের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতিও বলেছেন, এই সন্ত্রাসী হামলা প্রমাণ করছে সন্ত্রাসবাদের কাছে সামরিক-বেসামরিক লোকজনের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তিনি সবাইকে অন্য সময়ের চেয়ে আরো বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্যের উর্ধ্বে উঠে সবার উচিত সংলাপে বসা।

লেবাননের পার্লামেন্ট স্পিকার নাবি বেরি বলেছেন, হামলার ঘটনাটা লেবানন এবং দেশের জাতীয় ঐক্যের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক চক্রান্তেরই অংশ। তিনি বলেন যারা সাবেক অর্থমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাতাহকে হত্যা করেছে তারাই বামা হামলার নেপথ্য নায়ক।

গতকাল লেবাননের দক্ষিণ বৈুরতের হারেত হেরিক অঞ্চলে শক্তিশালী গাড়িবোমা হামলায় পাঁচজন নিহত এবং ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। হারেত হেরিক এলাকাটি লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এর আগে গত নভেম্বর মাসে দক্ষিণ বৈরুতের ইরান দূতাবাসের কাছে দুটি বোমা হামলায় ২৫ জন নিহত এবং ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছিল।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন