মেয়র হলেন ইরানের আরো দুই নারী
মেয়র হলেন ইরানের আরো দুই নারী
ইরানের মহিলা মেয়র মিসেস পকজদ ও (বাঁয়ে) মিসেস সামিয়া
ইরানের আরো দু'জন নারী মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে সামিয়া বালুচজেহি ইসলামী এই দেশটির সিস্তান ও বালুচিস্তান প্রদেশের প্রথম নির্বাচিত নারী মেয়র হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন।
২৬ বছর বয়স্ক সামিয়া দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সিস্তান ও বালুচিস্তান প্রদেশের সারবাজ সিটি কাউন্সিলের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এই প্রথম কোনো বালুচ মহিলা এই পদে নির্বাচিত হলেন। তিনি একজন অবিবাহিত সুন্নি মুসলমান। সামিয়া প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন রাজধানী তেহরানে। পড়াশুনা শেষে তিনি জন্মভূমিতে ফিরে যান সেখানকার উন্নয়নের লক্ষে।
এদিকে ইরানের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত গিলান প্রদেশের 'লুমালান' শহরের পৌরসভার ৫ জন সদস্যের ভোট পেয়ে এই শহরের মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন ৩২ বছর বয়স্ক নারী মারিয়াম পকজদ। তিনি গিলান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে। এর আগে তিনি গিলান প্রদেশের শ্রেষ্ঠ সহকারী গ্রাম প্রধানের মর্যাদাও অর্জন করেছিলেন।
ইরানে পৌরসভা বা নগর-পরিষদের সদস্যরা মেয়র হতে পারেন না। মেয়র ছাড়াও নগর-পরিষদের একজন নির্বাচিত সভাপতি থাকেন এবং তাকে আগে পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচিত হতে হয়। এই সভাপতির অধীনেই মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অতীতে ইরানের কেন্দ্রীয় নগর পরিষদ ছাড়া স্থানীয় নগর পরিষদের মেয়ররা বিনা নির্বাচনে নিযুক্ত হতেন।
জাহরা সাদরে আজম নুরি ইসলামী ইরানের সর্বপ্রথম নারী-মেয়র। তিনি তেহরান শহরের ৭ নম্বর অঞ্চলের নগর-পরিষদে এই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন ১৭ বছর আগে (ফার্সি ১৩৭৫ সনে) ততকালীন তেহরানের মেয়র গোলাম হোসেন কারবাসচির নির্দেশে। সে সময় জাহরার বয়স ছিল ৩৪।
এখন থেকে প্রায় দশ বছর আগে (ফার্সি ১৩৮৩ সনে) ইরানের সভে শহরের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন মিসেস 'মেহরি রুস্তায়ি গেরায়ালু'। তিনি দুই বছর পর্যন্ত এই পদে বহাল ছিলেন।
এখন থেকে প্রায় ৫ বছর আগে (ফার্সি ১৩৮৭ সনে) মিসেস 'এলাহি মাওয়ালিজদেহ' দো-আহওয়াজ অঞ্চলের মেয়র পদে নিযুক্ত হন। তিনি চামরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য এবং আহওয়াজ নগর পরিষদেরও সদস্য ছিলেন।
এখন থেকে প্রায় দশ বছর আগে (ফার্সি ১৩৮২ সালে) গিলান প্রদেশের অমলেশ শহরের মেয়র হন মিসেস মুঝগান নুরি। এর আগে তিনি এই শহরের নগর-পরিষদের সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
প্রায় ৭ বছর আগে (ফার্সি ১৩৮৫ সনে) ইরানের মাশহাদ শহরের ৬ নম্বর অঞ্চলের নারী মেয়র হয়েছিলেন মিসেস শারারেহ মাদানিয়ান।
মিসেস শিফতেহ বদর অযার তাব্রিজের ৯ নম্বর অঞ্চলের মেয়র হন এখন থেকে প্রায় তিন বছর আগে।নগর পরিকল্পনা বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রিধারী এই নারীর বয়স ছিল সে সময় ৪৩।
মিসেস শেকুফেহ শাহাবিপুর এখন থেকে প্রায় তিন বছর আগে মাত্র ২৩ বছর বয়সে হরমুজগান প্রদেশের সারগোজ আহমাদি শহরের মেয়র হন। তিনি এ সময় বন্দর আব্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য-কলা বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রির ছাত্রী ছিলেন। অর্থাত তিনিই ছিলেন ইরানের সবচেয়ে কম বয়স্ক মহিলা মেয়র।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন