থাই বিক্ষোভ: অজ্ঞাত স্থানে প্রধানমন্ত্রী; রাত্রিকালীন কারফিউ জারি

থাই বিক্ষোভ: অজ্ঞাত স্থানে প্রধানমন্ত্রী; রাত্রিকালীন কারফিউ জারি


থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ মোকাবেলায় পুলিশের প্রস্তুতি
থাইল্যান্ডের চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। রাজধানী ব্যাংককের বিভিন্ন সরকারি ভবন ও পুলিশ সদরদপ্তরে হামলার চেষ্টা করলে প্রধানমন্ত্রীকে অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেও হামলার চেষ্টা করেছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।

তবে, এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ব্ক্তব্য দেয়া হয়নি। পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনা করে রাজধানী ব্যাংককে রাত্রিকালীন অঘোষিত কারফিউ জারি করা হয়েছে। জান-মালের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য জনগণকে ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করেছে থাই সরকার। রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত এ নির্দেশ বলবত থাকবে। চলতি সপ্তাহে দেশটিতে বিক্ষোভকেন্দ্রিক সহিংসতায় চারজন নিহত হয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় (রোববার) ব্যারিকেড উপেক্ষা করে ব্যাংককের বিভিন্ন সরকারি ভবনে হামলার চেষ্টা চালায়। এসব ভবনের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য শক্ত পাহারা বসানো হয়েছে এবং পুলিশ তাদের টিয়ারগ্যাস ও লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে, এরইমধ্যে বিক্ষোভকারীরা থাই অর্থ মন্ত্রণালয়সহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও সরকারি ভবন দখল করে নিয়েছে।

গত ১১ নভেম্বর সরকারের আনা একটি বিল থাই সিনেট নাকচ করে দেয়ার পর দেশটিতে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করেছে। ওই বিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে ক্ষমা করে দেশে ফিরে আসার সুযোগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বলছে-ইংলাক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করলেও কার্যত নির্বাসনে থেকে দেশ চালাচ্ছেন তার ভাই থাকসিন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন এবং তারপর থেকে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন।

রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন