ইয়াজিদি সেনার ঢল: হুসাইন (আ.)'র সঙ্গে যোগদানে বাধা
ইয়াজিদি সেনার ঢল: হুসাইন (আ.)'র সঙ্গে যোগদানে বাধা
আজ হতে ১৩৭৪ বছর আগে ৬১ হিজরির এই দিনে (৫ ই মহররম) বসরা ও কুফায় নিযুক্ত ইয়াজিদের গভর্নর ইবনে জিয়াদের নির্দেশে হাসিইন বিন নুমাইর চার হাজার (মতান্তরে ৩৮০০) অশ্বারোহী সেনা নিয়ে কারবালায় আসে হযরত ইমাম হুসাইন (আ.) এবং তাঁর সঙ্গীদের ক্ষুদ্র দলটির সঙ্গে যুদ্ধ করতে।
একই দিনে জিয়াদ শাবাশ বিন রবি নামের এক ব্যক্তিকে এক হাজার সেনাসহ কারবালায় পাঠায়।
এ ছাড়াও সে 'জাজর বিন কাইস' নামের এক ব্যক্তিকে ৫০০ সেনাসহ কারবালা ময়দানে এ দায়িত্বে নিয়োজিত করে যে, কেউ যদি ইমাম হুসাইন (আ.)’র পক্ষে যুদ্ধ করতে কারবালায় প্রবেশ করে তাকে সে হত্যা করবে। কিন্তু এত প্রহরা সত্ত্বেও আমের বিন আবি সালামাহ ৫ ই মহররম ইমাম-শিবিরে যোগ দেন এবং আশুরার দিনে শাহাদত বরণ করেন।
কারবালায় ইমাম হুসাইন (আ.)'র সঙ্গে নিজ পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনসহ যারা শেষ পর্যন্ত ছিলেন ও ইয়াজিদি বাহিনীর বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন তাদের সংখ্যা ছিল প্রায় ১০০ জন। তাঁদের মধ্যে ৭২ জন শাহাদত বরণ করেছিলেন আশুরার দিন তথা দশই মহররম এবং সব শেষে একই দিনে ইমাম হুসাইন (আ.)ও শাহাদত বরণ করেন। তাঁদের সবার ওপর অশেষ সালাম ও দরুদ বর্ষিত হোক।
উল্লেখ্য জাহেলি যুগেও আরব মুশরিক ও কাফিররা মহররম মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ করত না। কিন্তু উমাইয়া শাসনামলে মুসলমান নামধারী শাসকরা এতটাই হীন ও নীচ হয়ে পড়েছিল যে তারা রাসূলের(সা.) নাতি ও তাঁর পরিবারকে নৃশংসভাবে শহীদ করতে কুণ্ঠিত হয়নি।
সূত্রঃ বার্তা সংস্থা আবনা
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন