ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ অব্যাহত রাখতে হামাস দৃঢ় প্রতিজ্ঞ
ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ অব্যাহত রাখতে হামাস দৃঢ় প্রতিজ্ঞ
ইহুদিবাদী ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা ‘শাবাক’ এক প্রতিবেদনে বলেছে, গত মাসে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের হামলার পরিমাণ বেড়েছে।
আগস্টে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে ১৩৬ বার হামলা চালিয়েছে। অথচ এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে ফিলিস্তিনিরা ১৩৩বার হামলা চালিয়েছিল। উল্লেখ করা যায়, ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শাবাক প্রতিমাসে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ আন্দোলন দমনের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে এবং সেই প্রতিবেদন সংসদ ও মন্ত্রীসভায় পেশ করা হয়।
দখলদার ইসরাইলি সেনারা গত অক্টোবর মাসে জর্দান নদীর পশ্চিম তীর, পূর্ব বায়তুল মোকাদ্দাস ও গাজায় মোট ২৪০ বার হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া, ৬৫টি শিশু, ৩ জন মহিলা ও দু’জন সংসদ সদস্যসহ ৩৯০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিকে ইসরাইল ধরে নিয়ে গেছে। কিন্তু ইসরাইলের দমন অভিযান ও গ্রেফতার সত্ত্বেও ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ আন্দোলন আরো জোরদার হয়েছে।
১৯৯৩ সালে ইসরাইল-ফিলিস্তিন অসলো শান্তিচুক্তি সাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তিতে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন এবং ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী ও স্বশাসন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছিল। সে সময় ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষ এটাও মেনে নিয়েছিল যে, বায়তুল মোকাদ্দাস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তারা গাজা ও জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে ইসরাইল বিরোধী যে কোনো ততপরতার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেবে এবং ফিলিস্তিনিদের ইন্তিফাদা গণআন্দোলন দমন করবে।
কিন্তু এ দীর্ঘ বছরে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন তো দূরে থাক ইসরাইলি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের তত্বাবধানে ফিলিস্তিনিদের ওপর দমন-পীড়ন অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে ইসরাইলি জেলখানাগুলোতে পাঁচ হাজার ফিলিস্তিনি মানবেতর জীবন যাপন করছে এবং নূন্যতম অধিকারও তাদেরকে দেয়া হচ্ছে না। এসব বন্দীদের অনেককেই ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বাহিনীও বহু ফিলিস্তিনিকে আটক করে তাদেরকে ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত ও জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের জেলখানায় আটকে রাখা হয়েছে।
এসব কারণে ফিলিস্তিনের নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়া ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রধান মাহমুদ আব্বাসকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে তৃতীয় দফা ইন্তিফাদা গণআন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের কর্মকর্তা মুসা আবু মারজুকও বলেছেন, ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী হামাস নেতাদের ব্যাপকহারে গ্রেফতারের ফলে অচিরেই তৃতীয় গণআন্দোলন শুরু হবে।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন