সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ করছে ইরান: দাবি সৌদি আরবের

সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ করছে ইরান: দাবি সৌদি আরবের


সিরিয়ায় ইরান সামরিক হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করেছে সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদ আল ফয়সাল সোমবার রিয়াদে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিরিয়ায় সেনা পাঠিয়েছে ইরান; কাজেই এ আরব দেশটি এখন জবরদখল হয়ে আছে।

সৌদ আল ফয়সাল এমন সময় ইরানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করলেন যখন সিরিয়ায় সন্ত্রাসী ও অস্ত্রসস্ত্র ঢুকিয়ে দেয়ার কাজটি শুরু থেকেই নিষ্ঠার সঙ্গে করে যাচ্ছে সৌদি আরব।

সম্প্রতি ফরাসি দৈনিক লা ফিগারোতে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, সিরিয়ার বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের জন্য যেসব অস্ত্রসস্ত্র পাঠানো হচ্ছে তা কিনছে সৌদি আরব। ইউক্রেন ও বুলগেরিয়ার কালোবাজার থেকে এসব অস্ত্র কিনে সিরিয়ায় পাঠাচ্ছে রিয়াদ। এসব অস্ত্রসস্ত্রের মধ্যে ইসরাইলের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত কিছু অস্ত্রাগারে সৌদি আরবের পাঠানো অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা করা হয় এবং পরে সেখান থেকে সুবিধামতো ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা।

বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এসব অস্ত্রগারের মূল নিয়ন্ত্রণকক্ষ জর্দানে অবস্থিত। সৌদি গোয়েন্দা প্রধান প্রিন্স বন্দর বিন সুলতানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এ নিয়ন্ত্রণকক্ষ পরিচালিত হয় বলে লা ফিগারো জানিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জর্দানের ওই নিয়ন্ত্রনকক্ষে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র একজন এজেন্টের পাশাপাশি ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি, কাতার, তুরস্ক এবং লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সা’দ হারিরি’র একজন করে প্রতিনিধি উপস্থিত রয়েছেন।

গত ৩০ অক্টোবর সৌদি গোয়েন্দা প্রধান বন্দর বিন সুলতান অভিযোগ করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উতখাতের লক্ষ্যে শক্ত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এর আগে অক্টোবরের গোড়ার দিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদ নিতে অস্বীকৃতি জানায় সৌদি আরব। পরে বন্দর বিন সুলতান বলেন, এটি ছিল মার্কিন সরকারের প্রতি একটি বার্তা।

সৌদি আরব এমন সময় সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহের পাশাপাশি দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপ করতে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকাকে উতসাহিত করার চেষ্টা করছে যখন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান শুরু থেকেই বলে এসেছে, সিরিয়া সংকটের সমাধান করতে হবে আলোচনা ও রাজনৈতিক উপায়ে। এ সমস্যার কোনো সামরিক সমাধান নেই।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন