কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে হাজির করা হলো মুরসিকে
কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে হাজির করা হলো মুরসিকে
মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ড. মুহাম্মদ মুরসিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আজ (সোমবার) প্রথমবারের মতো আদালতে হাজির করা হয়েছে। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে কথিত সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে বিচারের জন্য মুরসিসহ ইখওয়ানুল মুসলিমিনের কয়েকজন নেতাকে আজ আদালতে হাজির করে দেশটির সেনা সমর্থিত সরকার। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মুরসির দপ্তরের বাইরে ওই সহিংসতা হয়।
এর আগে তোরা কারাগারের বদলে কায়রোর পুলিশ একাডেমির ভেতরে এ বিচার চলবে বলে সেনা সমর্থিত সরকার ঘোষণা করে। একই স্থানে মিশরের স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের বিচারও চলছে।
মুরসিকে হেলিকপ্টারে করে গোপন সামরিক ঘাঁটি থেকে আদালতে নেয়া হয়। এছাড়া এসাম আল-এরিয়ান, মুহাম্মদ আল-বেলতাগি এবং আহমাদ আবদেল আতাইসহ ইখওয়ানের অন্যান্য নেতাকে সাঁজোয়া গাড়িতে করে এ আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতে ঢোকার পর পরনের স্যুট বদলে কয়েদির পোশাক পরতে অস্বীকার করেন মুরসিসহ অন্য নেতারা। তাদের এ সিদ্ধান্ত এবং বিচার ততপরতাকে তারা অবৈধ বলে শ্নোগান দিতে থাকলে আদালতের কাজ সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেন বিচারক।
এদিকে, মুরসিকে আদালতে হাজির করার পরই পুলিশ একাডেমির বাইরে জনগণ মিশরের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকে। রাজধানী কায়রোর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হাইকোর্ট ও দক্ষিণে অবস্থিত সাংবিধানিক আদালতের বাইরেও জনগণ বিক্ষোভ করেছে।
এর আগে, মুহাম্মাদ মুরসির ছেলে ওসামা মুরসি বলেছেন, বর্তমান সরকারের আদালতকে তারা বৈধ মনে করেন না বলে এ শুনানিতে তারা অংশ নেবেন না। তিনি বলেন, তার বাবাকে অপহরণ করে পণবন্দি করে রেখেছে সেনাবাহিনী। গত ৩ জুলাই সামরিক অভ্যুত্থানে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান সেনাপ্রধান জেনারেল সিসি। তারপর থেকে মুরসিকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি।
ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসি নিজেও তার বিচারকে অবৈধ ঘোষণা করে বলেছেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তিনি কোনো আইনজীবী রাখবেন না; নিজের পক্ষে নিজেই বক্তব্য রাখবেন। তবে অবৈধ আদালত কী প্রক্রিয়ায় তার বিচার করে শুধুমাত্র তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য ইখওয়ানুল মুসলিমিনের পক্ষ থেকে আইনজীবীদের একটি প্যানেল আদালতে উপস্থিত থাকবে।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন