গুপ্তচরবৃত্তি: ইরানে মার্কিন দূতাবাস দখলের যথার্থতা প্রমাণিত
গুপ্তচরবৃত্তি: ইরানে মার্কিন দূতাবাস দখলের যথার্থতা প্রমাণিত
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রভাবশালী আলেম আয়াতুল্লাহ আহমাদ খাতামি বলেছেন, মার্কিন দূতাবাস দখল করার সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল, তা বিশ্বব্যাপী মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনায় আবারো প্রমাণিত হয়েছে। আজ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে জুমার নামাজের খোতবায় তিনি এ কথা বলেন।
ইরানে ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের পরপরই ১৯৭৯ সালের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ততকালীন মার্কিন দূতাবাস দখলে নেয়। মার্কিন দূতাবাস দখলের পর সেখান থেকে ইরানবিরোধী গুপ্তচরবৃত্তির প্রচুর দলিলপত্র উদ্ধার করা হয়। ইসলামী ইরানের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনি (রহ.) মার্কিন দূতাবাসকে 'গুপ্তচরবৃত্তির আখড়া' হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।
সম্প্রতি মার্কিন দূতাবাসগুলো থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ার মধ্যদিয়ে ইরানের দূরদর্শিতা প্রমাণিত হয়েছে বলে মনে করেন তেহরানের জুমার নামাজের খতিব। তিনি বলেছেন, আগ্রাসী চরিত্রের কারণেই জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলসহ বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের টেলিফোনে আড়ি পেতেছে আমেরিকা।
তিনি বলেন, ইরানিরা সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের পথ বেছে নিয়েছে এবং সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার বিরুদ্ধে শ্লোগান অব্যাহত থাকবে। ইরানে জুমার নামাজসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ‘আমেরিকা ধ্বংস হোক’ বলে যে শ্লোগান দেয়া হয়, সেটাও বন্ধ হবে না বলে ঘোষণা দেন আয়াতুল্লাহ আহমাদ খাতামি।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ঘোষণা করেছেন, তারা ইরান ইস্যুতে চাপ ও সংলাপ একইসঙ্গে অব্যাহত রাখবে। কাজেই আমরাও ‘আমেরিকা ধ্বংস হোক’ শ্লোগান ও সংলাপ একইসঙ্গে চালিয়ে যাবো।
সূত্রঃ তেহরান রেডিও
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন