'সম্ভাব্য নতুন যুদ্ধে ইসরাইলের অস্তিত্ব টিকবে কি'?
'সম্ভাব্য নতুন যুদ্ধে ইসরাইলের অস্তিত্ব টিকবে কি'?
দখলদার ইসরাইল তিন স্তর-বিশিষ্ট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা সত্ত্বেও সম্ভাব্য আগামী যুদ্ধে অন্তত: এক তৃতীয়াংশ ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ব্যর্থ হবে।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বিষয়ক ইসরাইলি বিশেষজ্ঞ নাথান ফারবার এই মন্তব্য করেছেন।
ইসরাইলের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র শিল্পে ত্রিশ বছর ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জনকারী এই বিশেষজ্ঞ প্রশ্ন তুলেছেন, সম্ভাব্য আগামী যুদ্ধে ইসরাইল বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব থাকবে কি?
নাথান বলেছেন, ইসরাইল আগামীতে হিজবুল্লাহ বা ইরান কিংবা তাদের মিত্র সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে তাকে ইরানের ৮০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, সিরিয়ার ৪০০ স্কাড এবং হিজবুল্লাহ ও হামাসের ৫০০ থেকে এক হাজার 'ফাতহ' ও 'ফাজর' নামক কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্রের মুখোমুখি হতে হবে। এ ছাড়াও লেবানন, সিরিয়া ও হামাসের নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনের গাজা থেকে ইসরাইলে নিক্ষিপ্ত হতে পারে এক লাখেরও বেশি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র।
এইসব ক্ষেপণাস্ত্রের অন্তত: এক তৃতীয়াংশ ইসরাইলে অনিবার্যভাবে নিক্ষিপ্ত হবে নাথান মনে করেন। বিশেষ করে, ইরানের অন্তত: ৪০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলে আঘাত হানবে; কারণ, এইসব ক্ষেপণাস্ত্র খুবই নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম বলে নাথান উল্লেখ করেন।
নাথান আরো বলেছেন, ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মোকাবেলার জন্য ইসরাইলের ৮০০ থেকে ১০০০ ক্ষেপণাস্ত্র দরকার হবে এবং সেগুলোর প্রতিটির জন্য দখলদার এই শক্তির খরচ হবে প্রায় ত্রিশ লাখ ডলার। প্রতি একটি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ফলে এ খাতে মোট খরচ হবে আড়াই'শ থেকে ৩০০ কোটি ডলার। কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবেলার জন্যও ইসরাইলকে খরচ করতে হবে এক থেকে ২০০ কোটি ডলার। এভাবে তার মতে প্রত্যেক যুদ্ধের কেবল ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবেলার জন্য ইহুদিবাদী ইসরাইলকে খরচ করতে হবে দুই হাজার কোটি ডলার। আর তাই হঠকারী কোনো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া ইসরাইলের জন্য যৌক্তিক হবে না বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমের প্রকৃত কার্যকারিতা ৬৬ শতাংশের বেশি নয় বলে ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞ উল্লেখ করেন।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন