তুর্কি-সৌদি দ্বন্দ্ব: তুরস্কে সৌদি গোয়েন্দা দপ্তরগুলো বন্ধ হচ্ছে
তুর্কি-সৌদি দ্বন্দ্ব: তুরস্কে সৌদি গোয়েন্দা দপ্তরগুলো বন্ধ হচ্ছে
সিরিয়া ও মিশর নিয়ে রিয়াদের সঙ্গে আঙ্কারার কূটনৈতিক বিরোধের প্রেক্ষাপটে তুরস্ক সেদেশে সৌদি আরবের কিছু গোয়েন্দা অফিস বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে।
তুরস্কের নির্ভরযোগ্য সূত্র এ খবর দিয়েছে বলে দৈনিক আলআখবার জানিয়েছে।
সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অর্থ, অস্ত্র ও গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্যই সৌদি গোয়েন্দারা তুরস্কে অবস্থান করছেন।
তুর্কি সরকার মনে করছেন সিরিয়ার ব্যাপারে সৌদি সরকারের নীতি এখন আর তুরস্কের অনুকূল নয় এবং আঙ্কারা এখন তেহরান ও দামেস্কের সঙ্গে উত্তেজনা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
গত জুলাই মাসে সৌদি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় মিশরের সশস্ত্র বাহিনী দেশটির ইসলামপন্থী মুরসি সরকারকে উতখাত করলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গড়ে-ওঠা আঙ্কারা ও রিয়াদের ঐতিহাসিক ঘনিষ্ঠতায় ফাটল ধরতে শুরু করে।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী এরদোগান মিশরে সামরিক অভ্যুত্থান ও মুসলিম ব্রাদারহুড বা ইখওয়ানের ওপর সামরিক দমন-অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বারবার। তবে রিয়াদ ও আঙ্কারার সম্পর্কে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে সিরিয়ার জাতীয় পরিষদ বা এসএনসি ও ন্যাশনাল কোয়ালিশন ফর সিরিয়ান রেভ্যুলুশনারি এন্ড অপোজিশন ফোর্সেস এনসিএসআরওএফ নামের বিদ্রোহী দুই জোটের ওপর তুরস্কের প্রভাব কমানোর সৌদি প্রচেষ্টার কারণে।
সম্প্রতি অভিযোগ এসেছে যে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার তুর্কি সমকক্ষ আহমদ দাউদ উগলুকে বলেছেন, সিরিয়ার সংঘাতে আর তুরস্কের কোনো ভূমিকা থাকবে না, এমনকি যদি আসাদ সরকারের পতনও ঘটে এবং তিনি মিশরের রাজনৈতিক সংকটের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করতে আঙ্কারার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তুরস্কের ওই সূত্র আরো জানিয়েছে, সৌদি, জর্দান ও আমিরাত সরকার একইসঙ্গে জোট বেধে একদিকে হিজবুল্লাহ, সিরিয়া, ইরান ও ইরাকের বিরুদ্ধে কৌশলগত শত্রুতা চালিয়ে যাচ্ছে এবং অন্যদিকে তুরস্ক, কাতার, হামাস ও ইখওয়ানুল মুসলিমিনের স্বার্থের বিরুদ্ধেও কাজ করে যাচ্ছে।
ওই সূত্র আরো জানিয়েছে, লেবাননে অপহৃত তুরস্কের দুই জন পাইলটের বিনিময়ে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে অপহৃত নয় জন লেবাননি নাগরিকের মুক্তির জন্য সম্প্রতি যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল সৌদি সরকার তা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চালিয়েছিল। ওই বিনিময়ের ঘটনা শেষ পর্যন্ত সফল হয়।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন