ইসরাইলি সমাজে দুর্নীতি ও নৈতিক অবক্ষয় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে

ইহুদিবাদী ইসরাইলি সমাজে দুর্নীতি ও নৈতিক অবক্ষয় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইসরাইলি কর্মকর্তাদের সীমাহীন দুর্নীতির চিত্র ফুটে উঠেছে। দুর্নীতির কারণে ইসরাইলি পুলিশ বাহিনীর একজন পদস্থ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, আর্থিক দুর্নীতির দায়ে বায়তুল মোকাদ্দাসের পুলিশ প্রধান নিউসি শাহামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

ইসরাইলি দৈনিক হারেতজ লিখেছে, বায়তুল মোকাদ্দাসের পুলিশ প্রধান নিউসি শাহামের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পর ইসরাইলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী আইজ্যাক অহারুনেভিচ ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করেছেন। জানা গেছে, বরখাস্তকৃত ওই পুলিশ কর্মকর্তা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্প্রতি কাজে যোগ দেয়া বেশ ক’জন মহিলা পুলিশকে ডেকে এনে তাদেরকে ধর্ষণ করেছে। অবশ্য ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এর আগেও আইন ভঙ্গ ও অন্যদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ ছিল।

গত কয়েক বছরে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলি কর্মকর্তারা ব্যাপক মাত্রায় নানা রকম দুর্নীতি ও যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িত হয়ে পড়েছেন। অবশ্য ইসরাইলের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এমন কোনো সময় ছিল না যখন ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নানা রকম অন্যায় অপকর্মের অভিযোগ ওঠেনি। ইসরাইলের বহু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা ঝুলছে। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ উঠেছে। ইসরাইলের সাবেক মন্ত্রীসভার বেশ ক’জন সদস্য ঘুষ গ্রহণ ও চুরির দায়ে এখন কারাদণ্ড ভোগ করছেন।

এদিকে, ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইহুদ ওলমার্টের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তার বিরুদ্ধে বিচার চলছে। এ ছাড়া, ইসরাইলের সাবেক যুদ্ধমন্ত্রী ইহুদ বারাক, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এবং লিকুদ পার্টির সাবেক নেতা এরিয়্যেল শ্যারনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ইসরাইলের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুশে কাতসাও কিছুদিন আগে যৌন কেলেঙ্কারিসহ নানা অনিয়মের কারণে বিচারের মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং সাত বছরের জন্য তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

ইসরাইলের প্রায় সব কর্মকর্তাই কোনো না কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত। কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম অভিযোগ দায়ের করা থেকেই এর প্রমাণ পাওয়া যায়। এ থেকে ইসরাইলি সমাজের দুরবস্থার চিত্রই ফুটে উঠেছে।

সূত্রঃ রেডিও তেহরান