'আইওয়াশ এবং টোপ' বললেন বিশ্লেষকরা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মধ্যে বহুল প্রতিক্ষিত টেলিফোন আলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। (শনিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে টেলিফোনে করে হরতাল প্রত্যাহারের

'আইওয়াশ এবং টোপ' বললেন বিশ্লেষকরা
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মধ্যে বহুল প্রতিক্ষিত টেলিফোন আলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
(শনিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে টেলিফোনে করে হরতাল প্রত্যাহারের পাশাপাশি সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে সংলাপ ও নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে দৈনিক দিনকালের সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী করে বলেন, "আমার দৃঢ় বিশ্বাস- টেলিফোন সংলাপে সমস্যার কোন সমাধান হবে না। এগুলো কালক্ষেপণ এবং আইওয়াশ মাত্র। কারণ, দুই নেত্রীর অবস্থান দুই বিপরীত মেরুতে। একজন চাচ্ছেন- প্রধানমন্ত্রী থেকে নির্বাচন করবেন, অন্যজন চাচ্ছেন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন।"
বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক জনাব ফরহাদ মজহার একই ধরনের মনোভাব ব্যক্ত করে বলেন, "বেগম জিয়া এরকম সংলাপের টোপে পা দিলে জনগণের আস্থা হারাবেন। কারণ দেশের জনগণ এখন কালক্ষেপণ চায় না, চায় সরকার পতনের আন্দোলন।"
তিনি বলেন, "টেলিফোনে দুই নেত্রী সমস্যার সমাধান করে ফেলবেন এটা হাস্যকর। এইসব করে বিশেষত বেগম জিয়া আম ও ছালা দুটোই হারাবেন।"
তিনি আরো বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা থাকলে তিনি যেভাবে সংবিধানকে বদলে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন, সে ভাবেই জনগণের চাহিদা মতো এবার আবার সেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে পারেন। তাহলেই নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সৃষ্ট সংকট সমাধান হতে পারে।"
দেশের জনগণ চান, বর্তমান সংকটের একটা যথার্থ সমাধান। সেজন্য শীর্ষ নেত্রীর পক্ষ থেকে একটা আন্তরিক উদ্যোগই কাম্য। কোন লোক-দেখানো বা ছেলে-ভুলানো তামাশা দিয়ে সময়ক্ষেপণ জনগণ দেখতে চান না।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন