ইরাক, আফগানিস্তান ও সিরিয়ায় ঈদের নামাযে সন্ত্রাসী হামলা


ইরাক, আফগানিস্তান ও সিরিয়ায় ঈদের নামাযে সন্ত্রাসী হামলা


মুসলমানদের ঐক্যের প্রতীক ঈদের নামায। ৩টি দেশের (আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়া) বহু মুসুল্লি ঈদের নামায পড়তে এসে লাশ হয়ে ঘরে ফিরেছে। তাকফিরী সন্ত্রাসীরা এবার ঈদের নামাযে হামলা চালিয়ে মুসলমানদের আনন্দঘন এ দিনটিকে রক্তাক্ত একটি দিনে পরিণত করেছে। ন্যাক্কারজনক এ হামলাগুলোর মাধ্যমে মুসলমান নামধারী তাকফিরী সন্ত্রাসীরা আরো একবার নিজেদের মুখোশ খুলে প্রকৃত চেহারায় আবির্ভূত হল।
প্রথম বিস্ফোরণ : আফগান গণমাধ্যম জানিয়েছে : (১৬ই অক্টোবর) সকালের প্রথম বিস্ফোরণটি আফগানিস্তানের লোগোর প্রদেশে ঘটে। এ বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন আফগান বেসামরিক লোক হতাহত হয়েছে।
লোগোর প্রদেশের গভর্নর ‘আরসেলান জামাল’ ঈদের নামাযের পর বক্তব্য রাখার জন্য মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়াতেই মাইক্রোফোনে পূর্ব হতে পেতে রাখা বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় তিনি নিহত হয়েছেন। বিস্ফোরণে অপর ৮ ব্যক্তি আহত হয়েছে।
দ্বিতীয় বিস্ফোরণ : ইরাক
ইরাক পুলিশ ঘোষণা করেছে যে, কারকুকের মুসলমানরা ঈদের নামায আদায়ের পর সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে। নামায আদায়ের পর মুসুল্লিরা মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
কারকুক হতে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বিস্ফোরণটিতে এ পর্যন্ত ৯ ব্যক্তি নিহত এবং অপর ১৯ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
তৃতীয় বিস্ফোরণ : সিরিয়া
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় চ্যানেল হতে প্রচারিত সংবাদে বলা হয়েছে, ঈদুল আযহার নামাযের সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা রাজধানীর বেশ কয়েকটি অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। সন্ত্রাসীদের এ হামলাগুলো ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। সন্ত্রাসীরা ঈদের নামাযের স্থানে রকেট হামলা চালিয়ে নিরাপরাধ মুসুল্লিদের রক্ত ঝরিয়েছে।
যে সকল এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে মুহাজিরীন, মাযরায়া, মালেকী, জাযমাতিয়াহ ও কুস্‌সা’।
সূত্রঃ বার্তা সংস্থা আবনা

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন