ইমাম জাওয়াদ (আ.) এর আদ্ধ্যাতিক, নৈতিক এবং জ্ঞানগর্ভ বাণী
ইমাম জাওয়াদ (আ.) এর আদ্ধ্যাতিক, নৈতিক এবং জ্ঞানগর্ভ বাণী
নামঃ মোহাম্মাদ।
উপাধিঃ জাওয়াদ, তাক্বি, মোখতার, মোর্তযা, ক্বনে, আলিম।
উপনামঃ আবু জাফরে সানী, ইবনুর রেয়া।
পিতার নামঃ আলী।
মাতার নামঃ খাযিরান।
জন্মের তারিখঃ শক্রবার, ১১ই রজব ১৯৫ হিজরী।
জন্মের স্থানঃ মদীনা।
আয়ুঃ ২৫ বছর।
ইমামতকালঃ ১৭ বছর।
শাহাদতের তারিখঃ জিলক্বাদের শেষে ২২০ হিজরী।
ক্ষমতাপ্রাপ্ত খলিফাগণঃ মামুন, মোতাসিম।
ইমামের হত্যাকারীঃ তাঁর স্ত্রী উম্মুল ফজল, খলিফা মোতাসিম আব্বাসীর নির্দেশে ইমাম (আ.) কে বিষ দান করে।
সন্তানগণঃ ২ ছেলে ৩ মেয়ে।
১- ইমাম জাওয়াদ (আ.) বলেছেনঃ যদি কেউ, কোন বক্তার বক্তব্যর প্রতি আসক্ত হয় তাহলে সে তার বান্দা হয়ে যাবে তাই যদি সেই বক্তা খোদার জন্য আহকাম, আকায়েদ সম্পর্কে আলোচনা করে তাহলে সে খোদার বান্দা হয়ে যাবে আর যদি সে শয়তানী কথাবার্তা বলে তাহলে সে শয়তানের বান্দা হয়ে যাবে। (মুসতাদরাকে ওসায়েল, খন্ড ১৭, পৃষ্ঠা ৩০৮, হাদীস ৫)
২-একজন লোক ইমাম (আ.) কে বলে আমাকে কোন শিক্ষামূলক পরামর্শ দিন।
ইমাম (আ.) বলেনঃ বললে কি তুমি মেনে নিবে?
সে বলেঃ হ্যাঁ।
ইমাম বলেনঃ ধৈর্য ধারণ কর, দারিদ্রতা এবং অভাব অনটনকে সঙ্গী কর, নাফসের চাহিদার বিরোধিতা কর, জেনে রেখ যে, কখনও খোদার দৃষ্টির আড়াল হতে পারবে না। সুতরাং সাবধান, তুমি বুঝতে পারছো যে, তোমাকে কোন অবস্থায় থাকতে হবে।(বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৭৫, পৃষ্ঠা ৩৫৮, হাদীস নং ১)
৩- ইমাম জাওয়াদ (আ.) বলেছেনঃ মুমিন সর্বদা তিনটি বিষয়ের মুখাপেক্ষিঃ
-খোদার কাছে তৌফিক প্রার্থনা করে।
- নিজের মধ্যে ধর্মোপদেষ্টার অনুভব করে।
-যদি কেউ ভাল নসিহত করে তাহলে তারা তা মেনে নেয়। (বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৭২, পৃষ্ঠা ৬৫, হাদীস নং ৩)
৪- যদি কেউ বীপদে ধৈর্য ধারণ ব্যাতিত অস্বাভাবিক আচরণ করে তাহলে তার প্রতিদান বিফলে যাবে।
৫- তওবায় বিলম্ব করার অর্থ হচ্ছে নিজেকে ধোকা দেয়া, মিথ্যা ওয়াদা করা হচ্ছে এক ধরনের হয়রানি, খোদার সামনে অজুহাত উপস্থাপন হচ্ছে নিজেকে ধ্বংস করা।
৬- কোন জিনীষ শক্তিশালী ও দৃঢ় হওয়ার পূর্বে যদি প্রকাশিত তাহলে তা স্থায়ী হবে না।
৭- একে অপরের সাথে সাক্ষাত করলে আকল প্রসারিত বা বৃদ্ধি পাই। যদিও তা পরিমাণে কম হোক না কেন।
৮- দুর্নীতিপরায়ণ এবং মন্দ লোকদের সঙ্গ ত্যাগ কর কেননা তারা হচ্ছে খোলা তরবারির ন্যায় যার বাহ্যিক সুন্দর কিন্তু আভ্যন্তরিণ কুৎসিত।
৯- যদি খোদা কারো অভিভাবক বা দ্বায়িত্বশীল হয় তাহলে কি তার কোন ক্ষতি হতে পারে?
যদি খোদা কারো অর্জনপ্রয়াসী হয় তাহলে কি সে পলায়ন করতে পারে?
যদি কেউ খোদাকে ছেড়ে অন্য কারো প্রতি তাওয়াক্কুল করে তাহলে খোদা তাকে সেই ব্যাক্তির অধিনে তাকে ছেড়ে দেন।
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন