ইমাম রেযা (আ.) এর নৈতিক, আধ্যাতিক এবং জ্ঞানগর্ভ বাণী -৪
ইমাম রেযা (আ.) এর নৈতিক, আধ্যাতিক এবং জ্ঞানগর্ভ বাণী -৪
৩১-ইমাম রেযা (আ.) বলেছেনঃ সম্পদ সমূহের মধ্যে একজন মানুষের জন্য উত্তম সম্পদ হচ্ছে সেটাই কারণে তার ইজ্জত রক্ষঅ পাই এবং আকলের মধ্যে উত্তম আকল হচ্ছে যা তাকে নিজের পরিচয় করায়। (বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৭৪, পৃষ্ঠা ৩৫২)
৩২- ইমাম রেযা (আ.) মোরগের উদাহরণ দিয়ে বলেছেনঃ তাদের মধ্যে কয়েকটি এমন গুণাবলি রয়েছে যা আম্বিয়াদের মধ্যে রয়েছে যেমনঃ
-তারা নামজের সময় সম্পর্কে অবগত।
-তাদের মধ্যে আত্মসম্মান রয়েছে।
-তারা হচ্ছে সাহসী।
-তারা হচ্ছে উদার। (ওসায়েলুশ শিয়া, খন্ড ২০, পৃষ্ঠা ২৪২)
৩৩- ইমাম রেযা (আ.) বলেছেনঃ আমাদের অনুসারী হচ্ছে তারা যারা আমাদের আজ্ঞা পালন করে, আমাদের কথা মেনে চলে, আমাদের শত্রুদের বিরোধিতা করে। সুতরাং যারা এই ধরণের কাজ করে না তারা আমাদের থেকে না। (ওসায়েলুশ শিয়া, খন্ড ১৮, পৃষ্ঠা ৮৩)
৩৪- মামুনের জোর নির্দেশে ইমাম রেয়া (আ.) খোরাসানের দিকে রওনা হন। যখন তিনি নিশাপুরে পৌছান মোহাদ্দিসরা তাকে চারিদেক থেকে ঘিরে ধরে তাঁকে অনুরোধ জানিয়ে বলেঃ হে রাসুল (সা.) এর সন্তান! এমনটি হতে পারে যে, আপনি আমাদের মাঝ থেকে যাত্রা করবেন অথচ আমাদের জন্য কোন মঙ্গলজনক বাণী বর্ণনা করবেন না?
ইমাম বাহনে বসে ছিলেন এমতাবস্থায় তিনি বলেনঃ আমি আমার বাবা মূসা ইবনে জাফরের কাছে তিনি তাঁর বাবা জাফর ইবনে মোহাম্মারে কাছে এবং তিনি তার বাবা আলী ইবনে হুসাইনের কাছে তিনি তার বাবা হুসাইন ইবনে আলীর কাছে এবং তিনি তার বাবা আলী ইবনে আবু তালিবের কাছে এবং তিনি রাসুল (সা.) এর কাছে এবং তিনি হজরত জিব্রাইল এর কাছে এবং তিনি আল্লাহ তায়ালার কাছে তিনি বলেছেনঃ ( لااله الاالله ) হচ্ছে একটি শক্তিশালী কেল্লা আর যে তাতে প্রবেশ করবে সে জাহান্নামের আযাব থেকে পরিত্রাণ লাভ করবে। রেওয়ায়েত বর্ণনা কারী বলেনঃ তারপরে ইমাম (আ.) বলেন সেই জান্নাতের শর্ত হচ্ছি আমি। (দেইলামী, আলামুদ্দিন, দারুল কুতুব ইসলামীয়া, পৃষ্ঠা ২১৪)
৩৫- যারা আমাদের বীপদের কথা স্মরণ করে ক্রন্দন করবে তারা আমাদের সাথে থাকবে।
যারা আমাদের কষ্ট ও বীপদের কথা স্মরণ করে ক্রন্দন করবে এবং অপরকেও কাঁদাবে কেয়ামতে যখন সবার চোখে অশ্রু থাকবে ক্রন্দনরত অবস্থায় থাকবে না।
যদি কেউ এমন এক মজলিসে বসে যেখানে আমাদের কথা আলোচনা করা হয় তাহলে মৃত্যুর পরেও সে জিবীত থাকবে। (বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৪৪, পৃষ্ঠা ২৭৮)
৩৬- ইমাম রেযা (আ.) কে তাওয়াক্কুল সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেনঃ মানুষ যেন খোদা ছাড়া আর কাউকে ভয় না করে।
৩৭- মানুষকে ভালবাসা এবং দয়া দেখানো হচ্ছে আকলের অর্ধেক অংশের পরিচয়।
৩৮- খোদা তার উপরে রহম করুক যে আমাদের বাণীকে উজ্জিবিত করলো। ইমাম (আ.) কে জিজ্ঞাসা করা হলো যে আপনি আপনাদের বাণীকে উজ্জিবিত করে বলতে কি বুঝাতে চাচ্ছেন?
তিনি প্রতিউত্তরে বলেনঃ আমাদের জ্ঞানকে অর্জন করা এবং তার শিক্ষা দেওয়া। কেননা যখন জনগণ আমাদের উক্ত জ্ঞানগর্ভ বাণী শ্রবণ করবে তাদের মধ্যে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হবে।(উয়ুনে আখবারে রেযা, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ২৭৫)
৩৯- ইমাম রেয়া (আ.) কে বিসমিল্লাহ এর অর্থ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ বিসমিল্লাহর যার অর্থ হচ্ছে তাই মানুষ যা বলে অর্থাৎ আমি আমার নাফসের উপরে খোদায়ী নিদর্শন এবং আলামত রাখছি এবং সেই আলামত হচ্ছে খোদার ইবাদত। রাবী আরো জিজ্ঞাসা করে যে (سمة) এর অর্থ কি? তিনি বলেনঃ আলামত।
৪০- তাদের উপরে শান্তি বর্ষিত হোক যারা তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে যার মধ্যে ৮ রাকাত হচ্ছে নামাজে শাব, দুই রাকাত নামাজে শাফ এবং এক রাকাত হচ্ছে নামাজে বেতর এবং তার কুনুতে ৭০ বার আসতাগফার পাঠ করে তারাঃ
-কবরের আযাব থেকে মুক্ত থাকবে।
- তার আয়ু বৃদ্ধি পাবে।
-তার রুযি বৃদ্ধি পাবে।
- যে ঘরে উক্ত নামাজটি পড়া হবে আসমান বাসীদের কাছে তা নূরানী ঘর বলে বিবেচিত হবে যেমনভাবে পৃথিবীর মানুষের কাছে আকাশের তারা সমূহ জ্বলজ্বল করে।
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন