গুলি বিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়েছেন আবু হাজের

সিরিয়াতে ‘আবু হাজের’ নামে পরিচিত ‘ফাজেল সুবহী’ হযরত যায়নাব (সা. আ.) এর মাজার রক্ষার্থে ব্যাপক বীরত্ব ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। সম্প্রতি তার শাহাদাতের সংবাদে মর্মাহত হয়েছে শিয়া সমাজ।

 গুলি বিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়েছেন আবু হাজের
টিভি শিয়া রিপোর্টঃ আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা আবনার রিপোর্ট অনুযায়ি সম্প্রতি যুলফিকার ব্রিগেডের ডেপ্যুটি কমান্ডার ‘ফাজেল সুবহী’র শাহাদাতের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু কোন নির্ভরযোগ্য সূত্রই এ সংবাদ সত্যায়িত করেনি বা এ বিষয়ে কোন ব্যাখ্যাও দেয়নি।
সিরিয়াতে ‘আবু হাজের’ নামে পরিচিত ‘ফাজেল সুবহী’ হযরত যায়নাব (সা. আ.) এর মাজার রক্ষার্থে ব্যাপক বীরত্ব ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। সম্প্রতি তার শাহাদাতের সংবাদে মর্মাহত হয়েছে শিয়া সমাজ।
এরই ভিত্তিতে বার্তা সংস্থা আবনা প্রতিবেদক এ সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে হযরত যায়নাব (সা. আ.) এর মাজার রক্ষী বাহিনী’র কমান্ডার ‘আবু গাদীরে’র সাথে আলাপ করেন।
আবনাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি আবু হাজেরে’র শাহাদাতের সংবাদ সত্যায়িত করে বলেছেন : হযরত যায়নাব (সা. আ.) এর মাজার রক্ষী বাহিনী আমিরুল মু’মিনীন (আ.) এর কন্যার মাজার রক্ষা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী যে কোন শিয়া অঞ্চলে সন্ত্রাসীরা হামলা চালালে তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে যায়।
আবু গাদীর বলেন : দারয়া’র অন্তর্ভুক্ত একটি শিয়া অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের সাথে সংঘর্ষে আবু হাজের দুঃখজনকভাবে গত সোমবার (১৬ই সেপ্টেম্বর) শহীদ হয়েছেন। তার কোমর ও বুকে গুলি বিদ্ধ হলে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
তিনি বলেন : এ সময় তার সহযোদ্ধা ‘ঈসা আবু নুহ’ আবু হাজেরকে বাঁচাতে তার দিকে এগিয়ে এলে তিনিও শহীদ হন।
এ দু’জন শহীদের লাশ বর্তমানে কোথায় রয়েছে –এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আবু গাদীর বলেন: আবু হাজের ও আবু নুহের লাশ বর্তমানে হযরত যায়নাব (সা. আ.) এর মাজারে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং জনগণ ও মাজার রক্ষী বাহিনী তাদের জন্য শোক মজলিশ করেছে।
জানাযার নামায ও দাফনের বিষয়ে আবু গাদীর বলেন : হযরত যায়নাব (সা. আ.) এর এ গোলামের লাশ আগামীকাল বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার ইরানে স্থানান্তরিত হবে এবং সেখান থেকে নাজাফে নিয়ে যাওয়া হবে। অতঃপর নাজাফে তার জানাযার নামায শেষে দাফন করা হবে।
যায়নাবিয়্যাহ অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন : বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত এবং কোন সংঘর্ষ নেই।
সিরিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন : হযরত যায়নাব (সা. আ.) এর মাজার রক্ষী বাহিনী গত রোববার (১৫ই সেপ্টেম্বর) ‘শোবা’ অঞ্চলে প্রেরিত হয়। যাতে দামেস্ক বিমান বন্দরের রাস্তায় ওঁত পেতে থাকা স্নাইপারদের হাত থেকে এ অঞ্চলকে মুক্ত করতে পারে।
তিনি বলেন : সৈন্যরা গতকাল মঙ্গলবার ১৫ জন সন্ত্রাসীকে জীবিত অবস্থায় গ্রেফতার করে যায়নাবিয়্যাহ’তে ফিরে এসেছে। তার ভাষ্যমতে, এ অভিযানে দু’জন সৈন্য শহীদ হয়েছে।

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন