জুমআ'র রাত্রির ফজিলত -১

 

জুমআ'র রাত্রির ফজিলত -১

আহলে বাইত (আ.) এর রেওয়ায়াতে এসেছে জুমআ'র রাত্রি দোয়ার জন্যে উত্তম ও উপযুক্ত রাত সমূহ হতে মনে করেন এবং জুমআ'র রাত্রির এত গুরুত্ব ও মহৎ যে শাবে ক্বাদরের রাত্রের সাথে তুলনা করা হয়।

দিনের জ্ঞানী ব্যাক্তিগণ ও আধ্যাত্মিকগণ ও মোমেনিন  বলেনঃ  যদি সম্ভব হয় তাহলে জুমআ'র রাত্রিতে নামায ও দোয়া, যিকর ও ইস্তেগফারে মাধ্যেমে অতিবাহিত কর, তার সম্পাদনে কোন প্রকার অলসতা করো না ; কেননা মহান আল্লাহ্‌ , মোমেনিনদের মাহাত্ম্যকে বাড়ানোর জন্যে , ফেরেশতাদেরকে জুমআ'র রাত্রিতে প্রথম আকাশে প্রেরণ করেন , যাতে  তাদের নেক আমলকে বৃদ্ধি করতে পারেন , এবং তাদের গুনাহ সমূহকে শেষ করতে পারেন ।

বিশ্বস্ত হাদিসে, ইমাম হযরত সাদিক (আ.) হতে বর্ণিত হয়েছেঃ

অনেক মু'মিনিন হাজতের জন্যে দোয়া করেন এবং মহান আল্লাহ্‌ তার হাজতকে পিছিয়ে দেন , যাতে করে শুক্রবার তার হাজতকে অনুমোদন করবেন।( .« إنَّ العَبدَ لَیَدعُو فَیُوَخِّرُ اللهُ حَاجَتَهُ إِلَی یَومِ الجُمُعَةِ » আদদাওয়াতঃ ৩৫ , হাদিস নং ৮৩ ; বিহারুল আনোয়ারঃ ৮৬/ ২৭৩ , ২য় অধ্যায় , হাদিস নং ১৭।)

আরও ইয়াকুব নবীর (আ.) কথার ব্যাখ্যায় যে উনার সন্তানদের দরখাস্তর যা আল্লাহ্‌র নিকত হতে ক্ষমার উত্তরে বলেনঃ

« سَوْفَ أَسْتَغْفِرُ لَكُمْ رَبِّي »

(সত্বরই আমি পালনকর্তার কাছে তোমাদের জন্যে ক্ষমা চাইব । সুরা ইউসুফ আয়াত নং ৯৮।)

ইমাম সাদিক (আ.) এরশাদ করছেনঃ

ইয়াকুব (আ.) ইস্তাগফারকে জুমআ'র রাত্রির সুভে সাদিক পর্যন্ত পিছিয়ে দিতেন। (« أَخَّرَهَا إِلَی السَّحَرِ لَیلَةَ الجُمُعَةُ » মান লা ইয়াহযারুল ফাকিহঃ ১/ ৪২২ , হাদিস নং ১২৪২ ; বিহারুল আনোয়ারঃ ৮৬/ ২৭১ , হাদিস নং ১৩।)

সূত্রঃ ইন্টারনেট

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন