ইমাম জাফর সাদিক ( আ.) এর বাণী

ইমাম জাফর সাদিক ( আ.) এর বাণী

ইমাম জাফর সাদিক( আ.) এর বাণী

ইমাম সাদিক, হানাফি, আবু হানিফা, মালেকি, মালেক বিন আনাস, আলী, ফাতিমা, হাসান, হুসাইন, সাজ্জাদ, ইমাম, খেলাফত, ইমামত, মদীনা, জান্নাতুল বাক্বি, মোহাম্মাদ বাকের, বাকেরুল উলুম, Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, hussain, mohammad, imam mahdi, ইমাম সাদিক, বাকের, শিয়া, সুন্নী, ইস,Imam, imam sadik, imam sadiq, jannnatul baqi,  ইমাম সাদিক, জাফর সাদিক, ইমাম, মদিনা, মনসুর, মনসুরে দাওয়ানেকি, বণি আব্বাস, বণি উমাইয়া, শাহাদত, sahadat, imam, jafar sadiq, madina, bani abbsia, bani umaia

১. ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন : দয়া ও নম্র ব্যবহার জমিনকে অধিক ফলনমীল করে এবং মানুষের আয়ু বৃদ্ধি করে । -ওয়াসাইলুশ্‌শীয়া ২য় খন্ড, ২২১পৃ.।

২. মানুষের সুখের একটা দিক হল তার অমায়িক ব্যবহার । -মুস্তাদরিক আল্‌ওয়াসাইল, ২য় খন্ড, ৮৩ নম্বর পৃ.।

৩. মানুষের মধ্যে যাদের পরিপূর্ণ যুক্তিজ্ঞান ও বিচার বিশেষণ ক্ষমতা রয়েছে তারাই হলেন সর্বোত্তম আচার-আচারণের অধিকারী । -ওয়াসাইলুশ্‌শীয়া ২য় খন্ড, ২০১পৃ.।

৪. সন্দেহ পোষণ না করা , একজন ঈমানদারের প্রতি অন্য ঈমানদারের অধিকার সমূহের অর্ন্তভূক্ত । -উসুল আল্‌ক্বাফী ১ম খন্ড পৃ. ৩৯৪ ।

৫. মুনাফিকের তিনটা চিহ্ণ থাকে : তার অন্তরে যা থাকে মুখে তার বিপরীত বলে, তার অন্-রে তার আচারণের বিরোধী, চেহারা তার অভ্যন্-রীণ বিশ্বাসের বিরোধী। - বিহারুল আনোয়ার ১৫৩তম খন্ড পৃ. ৩০।

৬. একজন তৃষ্ণার্থ মানুষ ঠান্ডা পানি পেলে যতখানি তৃপ্তিবোধ করে ঠিক তেমনী একজন ঈমানদার অন্য ঈমানদারের সাক্ষাত পেলে তার চাইতেও অধিক স্বস্তি বোধ করে । -উসুল আল্‌ক্বাফী ২ম খন্ড পৃ. ১৪৭।

৭. পরশ্রীকাতরতা আত্মার অন্ধত্ব ও মহিমান্বিত আলাহর অনুগ্রহের অস্বীকৃতি থেকে জন্ম লাভ করে এবং এ দুটো হচ্ছে অবিশ্বস্তার দুটো উপাদান । ঈর্ষার কারণেই আদমের সন্তানকে অনন্তকালের জন্য দুঃখ-যন্ত্রণার শিকারে পরিণত হতে হয়েছে এবং অনন্তকাল ধরে শাস্তি ভোগ করতে হবে যা থেকে মুক্তি পাবার কোন উপায় নেই।

৮. হীনতা নীচতা অবলম্বনের পরিণতি ব্যতীত একটা লোকও বিপদগামী হয় না । -উসুল আল্‌ক্বাফী ৩য় খন্ড পৃ. ৪৬১।

৯. আহমিকার অনেকগুলো পর্যায়ের মধ্যে একটা অবস্থা হচ্ছে এই যে একটা লোকের মন্দকাজগুলো তার কাছে সুশোভিত হয়ে দেখা দেয়, যে জন্য তার কাছে ভাল লাগে এবং সে ভাল কাজ করছে বলেই সে বিশ্বাস করে । -ওয়াসাইলুশ্‌শীয়া ১ম খন্ড, ৭৪পৃ.।

১০. তর্কাতর্কি পরিহার কর, কেননা এটা অন্-রকে সংকুচীত করে রাখে। পরিণতিতে মুনাফেকী দেখা দেয় এবং কঠিন অনুভূতির সৃষ্টি করে । -উসুল আল্‌ক্বাফী ১ম খন্ড পৃ. ৪৫২।

১১. একজন আবেদ তার ঈমানের মূলে উপনীত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে নিজের আত্মগর্বী ও সঠিক হওয়ার মনোভার পরিহার না করে । -সাফিনাতুল বিহার পৃ. ৫২২ ।

১২.বিশ্বস্তার সাথে আমানত পৌছে দাও। ঐ মহান সত্তার শপথ যিনি মুহাম্মদকে (সা.) -কে একজন ন্যায়পরায়ণ নবী হিসেবে পাঠিয়েছেন, এমনকি আমার পিতার হত্যাকারী যে তলোয়ার দিয়ে আমার পিতাকে হত্যা করেছে সে যদি ঐ তলোয়ার আমার কাছে আমানত রাখে তবুও আমি তা তাকে প্রত্যর্পণ করবো । - আমালী আস্‌সাদুক, পৃ. ১৪৯।

১৩. সত্য কথা বলার প্রতি সুদৃঢ় ভাবে অনুগত থেকো, আর ন্যায়পরায়ণ ও পাপী, উভয়ের কাছে তাদের আমানত পৌছে দেবে । কেননা ওরাই ( এ দুটোই ) হচ্ছে রিজকের চাবি। -সাফিনাতুল বিহার ১ম খন্ড পৃ. ৪১ ।

১৪. ক্রোধ জ্ঞানী লোকের আত্মার পরিপূর্ণ ধবংসকারী। যে তার রাগকে দমন করতে অক্ষম, সে তার মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না । -উসুল আল্‌ক্বাফী ২য় খন্ড পৃ. ৩০৫।

১৫. ক্রোধ পরিহার কর কেননা এটা তোমার জন্য তিরস্কার বয়ে আনবে।

১৬. হযরত ইমাম জাফর সাদিক (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন : “খাশয়াম গোত্রের জনৈক ব্যক্তি মহনবী (সা.)-এর দরবারে উপনীত হয়ে বললোঃ হে আলাহর রাসুল! কোন কাজ আলাহর নিকট সর্বাধিক অপছন্দনীয়? মহানবী (সা.) বললেন : আলাহর সাথে কাউকে শরীক করা। লোকটি বলল : অতঃপর কি? মহানবী (সা.) বললেন : আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা। লোকটি আবারও জিজ্ঞাসা করলো : অতঃপর কি? মহানবী বললেন : অন্যায় কাজের আদেশ এবং ন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখা ।” -র্শা‌হে উসুলে কাফী, কিতাবুল ঈমান ওয়াল কুর্ফ‌৩য় খণ্ড, ৩৯৭ পৃ. ।

১৭. হযরত ইমাম জাফর সাদিক (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেনঃ একজন মুসলমানের জন্য এটা কখনও উচিত নয় যে , সে কোন নাফারমান তথা খোদাদ্রোহী, নির্বোধ ও মিথ্যাবাদীর সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থান করবে । -শারহে উসুলে ক্বাফী, কিতাবুল ঈমান ওয়াল কুফর, ৪র্থ খণ্ড, ৮৪ পৃ. ।

সূত্রঃ ইন্টারনেট

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন