কোমর ব্যথা
কোমর ব্যথা
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটু নড়াচড়া বা কাজকর্মে কোমরব্যথা জ্বালাতে শুরু করে।
মূলত মেরুদণ্ডের হাড়ের মধ্যবর্তী তরুণাস্থি বা ডিস্কের বার্ধক্যজনিত পরিবর্তনের ফলে এমন ব্যথা হয়ে থাকে। এ পরিবর্তন ৩০ বছর বয়স থেকেই শুরু হয়ে যায়, যদিও উপসর্গ টের পাওয়া যায় আরও পরে।
প্রথম দিকে কম থাকলেও যত বয়স বাড়ে, ক্রমান্বয়ে তা বেশি ভোগায়। চিত হয়ে শুয়ে থাকলে ব্যথা কিছুটা কমে আসে। আবার প্রাত্যহিক কাজে, যেমন রান্নাঘরে কাটাকুটি, নামাজ পড়া, কোনো কিছু ওঠানো, হাঁটাহাঁটি ইত্যাদিতে কোমরের ব্যথা বেড়ে যায়।
অনেক সময় ব্যথা পায়ের দিকে নামতে পারে এবং অবশ ভাব বা ঝিনঝিন অনুভূতিও হতে পারে। কোমরের মাংসপেশি কামড়ানো ও শক্ত হয়ে যাওয়াও থাকতে পারে।
এ ধরনের বয়সজনিত কোমরব্যথার সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা হলো জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনা। বারবার ব্যথার ওষুধ না খেয়ে ব্যথা যাতে না বাড়ে, সেভাবে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া।
শক্ত ও সমান বিছানায় ঘুমাবেন।
সোজা হয়ে বসে কোনো জিনিস তুলবেন।
চেয়ারে ঘাড় ও পিঠ সোজা রেখে বসবেন।
ফোমের বিছানায় ঘুমাবেন না এবং নরম সোফায় অনেকক্ষণ বসে থাকবেন না।
একসঙ্গে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে অথবা বসে থাকবেন না।
ঝুঁকে বা মেরুদণ্ড বাঁকা করে কোনো কাজ করবেন না।
ভারী কোনো জিনিস, যেমন পানিভর্তি বালতি, হাঁড়ি, বস্তা ইত্যাদি বহন করবেন না।
পিঁড়িতে বসে কোনো কাজ যেমন মাছ বা শাকসবজি কাটবেন না, দাঁড়িয়ে কাজগুলো করুন।
টিউবওয়েল চেপে পানি ওঠাবেন না।
সিঁড়ি ওঠানামার সময় মেরুদণ্ড সোজা রেখে ধীরে ধীরে উঠবেন ও নামবেন।
উঁচু হিলের জুতা পরিহার করুন।
অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলুন।
যানবাহনে চড়ার সময় সামনের আসনে বসবেন, কখনো দাঁড়িয়ে থাকবেন না।
ঘুম থেকে ওঠার সময় যেকোনো একদিকে কাত হয়ে উঠবেন।
সূত্রঃ ইন্টারনেট
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন