শিশুর অটিজম ইইজিসহ মস্তিষ্কের সাধারণ কয়েকটি পরীক্ষায় ধরা পড়বে
শিশুর অটিজম ইইজিসহ মস্তিষ্কের সাধারণ কয়েকটি পরীক্ষায় ধরা পড়বে
ইলেক্ট্রো এনসেফালোগ্রাফি বা ইইজিসহ মস্তিষ্কের সাধারণ কয়েকটি পরীক্ষার মধ্যদিয়ে দু’বছর বয়সী শিশুর মধ্যে অটিজমের অস্তিত্ব নির্ধারণ করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইলেক্ট্রো এনসেফালোগ্রাফি বা ইইজ হলো মস্তিষ্কের এক ধরনের পরীক্ষা এবং এ পরীক্ষায় করোটির ওপর ইলেকট্রোড বসিয়ে মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক তৎপরতার গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করা হয়। আমেরিকার বোস্টন চিলড্রেন’স হসপিটালের একদল গবেষক শিশুদের মস্তিষ্কে ইইজি পরীক্ষা করে অটিজমের সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু উপসর্গ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। গবেষকরা প্রায় এক হাজার শিশুর ওপর ইইজি করে দেখেছেন, অটিজমে আক্রান্তদের সঙ্গে অন্য শিশু মস্তিষ্কের উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। গবেষকরা বলেছেন, এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত গবেষণা চালানো প্রয়োজন। বাংলাদেশে গড়ে প্রতি হাজারে ১০ থেকে ২০টি শিশু এ রোগে আক্রান্ত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। আশংকার কথা হলো, আধুনিক বিশ্বে অটিজম আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অটিস্টিক শিশুদেরকে কেউ কেউ মানসিক প্রতিবন্ধী বলে থাকেন। কিন্তু, চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এ ধরনের কথার সঙ্গে একমত নন। তারা বলেন, অটিজমে আক্রান্ত কোনো কোনো শিশু বিশেষ ক্ষেত্রে অত্যন্ত পারদর্শী। তবে, এই পারদর্শিতা দেখানোর জন্য এ ধরনের শিশুদের বিশেষ শিক্ষার প্রয়োজন হয়। এ কারণে অটিজমে আক্রান্ত শিশুকে বিশেষ প্রয়োজন সম্পন্ন শিশু বা বুদ্ধিবৃত্তিক চাহিদাসম্পন্ন শিশু বলা হয়। এসব শিশুকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে তাদের অনেকেই স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারে। কেউ কেউ এমন সন্দেহ করেন যে, খ্যাতনামা বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের মধ্যে অটিজমের অনেক উপসর্গ ছিল।
সূত্রঃ ইন্টারনেট
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন