ভিটামিন ডি যক্ষ্মা দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে

ভিটামিন ডি যক্ষ্মা দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে
ভিটামিন ডি যক্ষ্মা দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে বলে নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে। এতে দেখা গেছে, এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের পাশাপাশি যেসব রোগী সম্পূরক হিসেবে ভিটামিন ডি ব্যবহার করেছেন তারা দ্রুত যক্ষ্মা সৃষ্টিকারী জীবাণু- মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস-এর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
মার্কিন প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স বা পিএনএএস-এ আজ (মঙ্গলবার) এ গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে,পর্যবেক্ষণের জন্য ৯৫ জন যক্ষ্মা রোগীকে দু'ভাগে ভাগ করা হয়। এদের মধ্যে ৫১ জন রোগীর দলকে সম্পূরক হিসেবে ভিটামিন ডি দেয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু যে ওষুধ তাদের খেতে দেয়া হয় তাতে ভিটামিন ডি ছিল না। চিকিৎসা বিদ্যার পরিভাষায় এ ধরণের ওষুধকে 'প্লাসিবো' বা 'ছলৌষধি' বলা হয়। বাকি ৪৪ জনকে নিয়মিত চিকিৎসা র পাশাপাশি সম্পূরক হিসেবে দেয়া হয় আসল ভিটামিন ডি।
অণুবীক্ষণযন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা যায়, ২৩ দিন পর যক্ষ্মার জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন ভিটামিন ডি গ্রহণকারীরা। অন্য দলের এ জীবাণু থেকে মুক্ত হতে সময় লাগে ৩৬ দিন।
এ ছাড়া, দেহে যক্ষ্মার জীবাণু আছে কিনা তা নির্ণয়ের জন্য 'কালচার'ও করা হয়। এতে দেখা যায়, গড়ে ৩৫ দিনের মধ্যেই ভিটামিন ডি গ্রহণকারীদের দেহ থেকে সম্পূর্ণ উধাও হয়ে গেছে যক্ষ্মার জীবাণু। অন্যদিকে, এ ভিটামিন যাদের দেয়া হয়নি তাদের বেলায় একই ব্যাপার ঘটতে সময় লেগেছে গড়ে ৪৬.৫ দিন।
লিম্ফোসাইটের সংখ্যা বাড়াতে ভিটামিন ডি'র ভূমিকা
মানুষের দেহ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লিম্ফোসাইট। দেহে যে কোনো জীবাণু ঢুকলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে এটি। এদেরকে দেহ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সৈনিক বলা যেতে পারে। সাধারণত সুস্থ ব্যক্তির শ্বেতকণিকায় লিম্ফোসাইট থাকে ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ। কিন্তু যক্ষ্মা আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে লিম্ফোসাইট ২০ থেকে ২৫ শতাংশে নেমে আসে। কিন্তু ভিটামিন ডি খাওয়ানোর পর যক্ষ্মা রোগীর দেহে লিম্ফোসাইটের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে।
সূত্রঃ ইন্টারনেট

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন