জীবনে যাঁর নবী চরিত্রের দ্যুতি

জীবনে যাঁর নবী চরিত্রের দ্যুতি
ফার্সী  সালের শুরুতে অর্থাৎ ইরানী ঋতুরাজ বসন্তে যুগপৎ বেশ কিছু মহতি দিবসের সম্মিলন ঘটেছে। যেমন এই বসন্তেই ছিল বিশ্বমানবতার মুক্তিদূত নবী করিম (সা) এর পবিত্র ওফাতবার্ষিকী , ছিল ইসলামের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ শহীদ ইমাম হোসাইন (আ) এর শাহাদাতের চেহলাম বার্ষিকী। এই পবিত্র দিবসগুলোর সমাগমের ফলে প্রাকৃতিক বসন্তে এক আধ্যাত্মিক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আর এ জন্যেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আধ্যাত্মিকতার সুরভিপূর্ণ এই বছরকে হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা) এর নামে নামকরণ করেছেন। সেইসাথে তিনি রাসুলের জীবন-চরিত্রকে নিজেদের সামনে চলার পাথেয় বা আলোকবর্তিকা হিসেবে গ্রহণ করবার জন্যে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সত্যিই , ইসলামের চড়াই-উৎরাইময় ইতিহাসের শুরু থেকে বর্তমান সময় পরিক্রমায় লক্ষ্য করা গেছে , যারাই নবীজীকে অনুসরণ করেছে , তাঁরা যে কেবল ইহকাল আর পরকালীন জীবনে সৌভাগ্যবান হয়েছে তাই নয়, বরং তাঁরা গণমানুষের হেদায়াত প্রদান এবং সামাজিক স্রোতোধারাকে আল্লাহর দিকে ধাবিত করারও চালিকাশক্তি ছিলেন। রাসূলের অনুসারী এরকম এক মহানুভব ব্যক্তিত্ব ছিলেন ইরানের ইসলামী বিপ্লবের মহান স্থপতি হযরত ইমাম খোমেনী (রহ)। তিনি আধ্যাত্মিক শক্তিবলে এবং রাসূলের আদর্শ ও পদাঙ্ক অনুসরণ করে সমগ্র পৃথিবীর বুকে এক অভূতপূর্ব পরিবর্তনের সূচনা করেন। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় মহানবীর জীবন ও কর্মকে এতো গভীরভাবে পর্যালোচনা করেছিলেন যে , রাসূলের জীবনপ্রণালী এবং সীরাত সবসময়ই তাঁর সামনে ছিল দীপ্তিমান। ইমাম খোমেনী (রহ) কে যুগচিন্তার ক্ষেত্রে পুনর্জাগরণের স্রষ্টা বলা যায়। সমকাল সচেতন ইমাম ধর্মীয় সেই মণিমুক্তার প্রাচীন সম্ভারের ভিত্তিতেই যুগ সমস্যার সমাধান করেছিলেন এবং নতুন যুগে প্রবেশেরও প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।
রাসূলের আদেশানুসরণে ইমাম খোমেনী (রহ) সর্বশ্রেষ্ঠ যে দৃষ্টিভঙ্গী বা নীতির প্রণয়ন ঘটিয়েছেন , তা হলো বেলায়েতে ফকীহ। ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রব্যবস্থার মূলনীতি হলো এই বেলায়েতে ফকীহ। এই ব্যবস্থার ওপর সবারই পরিপূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস রয়েছে। বেলায়েতে ফকীহ হচ্ছে ফকিহ বা মুজতাহিদ আলেমের শাসন । ইসলামী রাষ্ট্রে যাতে জনকল্যাণ নিশ্চিত হয় , সেজন্যে ইমাম খোমেনী (র) ধর্মীয় সকল নীতিমালা ও মূল্যবোধগুলোকে পর্যালোচনা করেন। রাসূল (সা) তাঁর সমগ্র জীবনব্যাপী মানবমুক্তির জন্যে , মানুষের হেদায়াতের জন্যে কষ্টসাধ্য নিরন্তর পরিশ্রম করেছিলেন এবং সেইসাথে মূর্তিপূজাসহ অন্ধ বিশ্বাসগুলোকে ভুল ও মিথ্যা বলে প্রমাণ করেছিলেন। এর পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর অবস্থা এবং ইসলামী সমাজের নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতেন। একইভাবে ইমাম খোমেনী (রহ)ও রাসূলের আদর্শ অনুযায়ী জনগণকে আল্লাহর পথে আহ্বান জানাতে চেষ্টা করেন। শত্রুদের নিরন্তর ষড়যন্ত্র এবং অপরাজনীতিও তাঁকে তাঁর সিদ্ধান্ত ও চিন্তাধারা থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত করতে পারে নি। কেননা ; তিনি রাসূলের নীতি-আদর্শ অনুসরণ ছাড়া অন্য কোনো কাজই করতেন না। মক্কার মুশরিকরা যখন রাসূলের চাচা আবু তালেবের কাছে গিয়ে বলতো যে , মুহাম্মদ (সা) ইসলাম ধর্ম প্রচার থেকে বিরত থাকলে তাকে প্রচুর ধন-সম্পদ দেওয়া হবে , তখন রাসূল বলতেন : " তোমরা আমাকে ধন-সম্পদ দেওয়ার কথা বল ! আমাকে যদি চাঁদ-সূর্যও দাও , তবু আমি আমার তৎপরতা বন্ধ করবো না , কোনোভাবেই দাওয়াতী কাজ থেকে বিরত হবো না।"
ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন অটল অবিচল। অবসরপ্রাপ্ত পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তা হামিদ গুল এ সম্পর্কে লিখেছেন: ‘ইসলামের উদিত সূর্য যখন অস্তমিত হল , তখন থেকে সমগ্র মুসলিম জাতির সামনে একটি সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিল। আর তা হলো , জ্ঞানী-গুণী শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা অনেক থাকলেও কাজে-কর্মে অর্থাৎ আমল আখলাকে সমৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা খুব কমই ছিল , এমনকি জেহাদী মানসিকতা সম্পনড়ব মানুষ ছিল না বললেই চলে। এই প্রথমবারের মতো মুজাহিদরা সংগঠিত হচ্ছে। এই শতাব্দীর শেষদিকে মহাপরিবর্তন সংঘটিত হলো। ইসলাম ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি পেল এবং জনগ্রাহ্য হয়ে উঠলো। ইতিহাস পাঠ করলে দেখা যাবে যে , আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে ইসলাম পরাজিত হয় নি। যদিও মুসলমানদের ওপর ব্যাপক আঘাত এসেছে এবং এখনো আঘাত করা হচ্ছে তারপরও এটা এই শতাব্দীর এক অলৌকিক ঘটনা যে , এমন বহু মহান ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব ঘটেছে যাঁরা জেহাদ এবং আমলকে পুনর্জীবন দান করেছেন। ইরানের পর ইসলামী বিশ্বে প্রথম পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে পাকিস্তানে। তার পরবর্তীকালে পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে যে ব্যক্তিত্বের কথা এই প্রাবন্ধিকের স্মৃতিতে সদা জাগ্রত রয়েছে তিনি হলেন ইমাম খোমেনী (রহ)। আমি ইমামকে যতোটা জেনেছি, তিনি চিন্তার ক্ষেত্রে কেবল ইরানকেন্দ্রিকই ছিলেন না বরং সমগ্র মুসলিম বিশ্ব নিয়েই তিনি ভাবতেন। তাঁকে কোনঠাসা করার জন্যে একের পর এক ষড়যন্ত্রের নীলনকশা করা হয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমারাই এই নীলনকশা করেছিল। তারা ইমামের বাইরে যাবার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। অবশ্য এক্ষেত্রে তারা ব্যাপক সাফল্যও পেয়েছিল। ইমামের বাস্তববাদিতা এবং সত্যনিষ্ঠার কারণেই তারা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছুতে পেরেছে। ইমাম খোমেনী (রহ) ছিলেন সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্বের অধিকারী।'
নবী করীম (সা) মানবাধিকারের ওপর ভীষণ গুরুত্ব দিতেন। সেইসাথে সমকালীন আন্তর্জাতিক রীতিনীতিসহ সমাজ ও মানুষের পারস্পরিক সম্মানের প্রতিও গুরুত্ব দিতেন। ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী আল্লাহর হক বা অধিকার ক্ষমাযোগ্য অর্থাৎ তিনি ক্ষমা করলেও করতে পারেন। কিন্তু মানুষের হক বা অধিকার যার সাথে সম্পৃক্ত তার সন্তুষ্টি ব্যতীত ক্ষমাযোগ্য নয়। ইসলাম সম্পর্কে বর্তমানে উত্থাপিত বিভিনড়ব ধরনের অভিযোগের জবাবে এই শিক্ষার কথাটি স্মরণ করা যেতে পারে। রাসূলের বিভিন্ন চুক্তিপত্রে লক্ষ্য করা যায় যে মুসলমানরা অতি প্রাচীনকাল থেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এমনকি পরাজিত পক্ষগুলোর অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও আন্তরিক ছিল। এক কথায় ইসলাম ছিল মানবাধিকারের রক্ষক। নবী করীম (সা) এর চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্য এবং তাঁর শিক্ষাগুলো মানব চরিত্র গঠনের জন্যে বাস্তব প্রশিক্ষণ। নবীজী তাঁর চিন্তাগুলোকে নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করে এবং জনগণকে ভালবেসে তাদের মন জয় করে নিয়েছেন , প্রেম-ভালোবাসায় তাদের অন্তর পূর্ণ করেছেন। ফলে জনগণও রাসূলের অনুসারী হয়ে উঠলো এবং তাঁর আদর্শ অনুসরণ করে দুনিয়ায় সম্মান ও শান্তি আর পরকালীন মুক্তি লাভের পথ খুঁজে পেল।
প্রত্যেক মুসলমানের উচিত রাসূলের এই শিক্ষাকে কাজে লাগানো। প্যারিসে ইমাম খোমেনী (রহ) এর নির্বাসিত জীবনযাপনকালে তাঁর সেবায় নিয়োজিত এক সৌভাগ্যবতী নারী ইমাম সম্পর্কে বলেছেনঃ ইমাম তাঁর জীবনব্যাপী যেভাবে অপরের অধিকার সংরক্ষণ করতেন তা আমাদের জন্যে শিক্ষণীয় দিক। আমার মনে পড়ে , নৌফেল লুশাতুতে যখন ছিলাম , আশুরার সময় বহু ইরানী ইমামের সাথে দেখা করতে এসেছিলো। ইমাম অত্যন্ত অনাড়ম্বর ও সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। এরফলে তাঁর আশেপাশের লোকজনও তাঁর অনুসরণে সাদামাটা জীবনযাপন করতে থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় , তিনি খাদ্য বলতে যা খেতেন তাহলো-রুটি,পণির,টমেটো এবং ডিম। অবশ্য মাঝে মাঝে স্যুপও খেতেন। তো ইরানী মেহমানরা যখন তাঁর খেদমতে হাজির হলেন , তখন কিন্তু তিনি টাকা সংগ্রহ করে দুম্বা কিনলেন এবং তিনি যেখানে সাধারণত নামায পড়তেন তার পেছনের উঠোনে দুম্বাটি জবাই করলেন। ঐ দুম্বার মাংসের কিছু অংশ দিয়ে আশুরার রাতের জন্যে খাবার তৈরী করলেন। সামান্য মাংস নিজের খাবারের জন্যে বাসায় পাঠালেন। ইমামের আরেকটা মহৎ বৈশিষ্ট্য ছিল , তিনি যে দেশেই থাকতেন , এমনকি কোনো অমুসলিম দেশে থাকলেও সেদেশের সামাজিক আইন-কানুনের প্রতি যথাযোগ্য শ্রদ্ধা দেখাতেন। যেমন , ফ্রান্সের একটা আইন ছিল যে কসাইখানার বাইরে পশু জবাই করা যাবে না। স্বাস্থ্যগত দিক চিন্তা করেই এই আইনটি করা হয়েছে। তো ইমাম যখন এই আইনটির কথা শুনলেন তখন তিনি বললেন - ‘যেহেতু রাষ্ট্রীয় আইন লঙ্ঘিত হয়েছে , সেহেতু এই গোশত আমি খাবো না।'
এখানে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তাহলো ইমাম তাঁর বক্তব্য-বিবৃতিতে,তাঁর বিভিন্ন ঘোষণায় নবীদের এবং নবীবংশের ইমামদের নীতি-আদর্শের প্রতি ইঙ্গিত করে এ বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিতেন যে , রাজনীতি ধর্ম থেকে বিচ্ছিনড়ব কোনো বিষয় নয় , বরং রাজনীতি এমন একটি বিষয় যার জন্যে যুগে যুগে নবী-রাসূলগণ আবির্ভূত হয়েছেন এবং বিপ্লব ঘটিয়েছেন। সমাজে ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠার জন্যেই তাঁরা তাঁদের রাজনীতি করেছেন। জনগণের পক্ষে রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্তি ছাড়া এটা কি সম্ভব ! সামাজিক ক্ষেত্রে নিজেকে না জড়িয়ে কিংবা বিভিনড়ব গোত্র-বংশ ও জাতির অভাব-অভিযোগ এবং প্রয়োজনীয়তার প্রতি মনোযোগ না দিয়ে কি ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব ! ‘লে ইয়াকুমুন নাসু বিল-কেস্তে'-এই আয়াতের ফলাফল কি রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্তি ছাড়া অর্জন করা সম্ভব ! ইমাম এ বক্তব্য দেওয়ার পর নবীজীর সীরাত এবং তাঁর কর্মকৌশলের কথা উল্লেখ করে বলেন : আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পৃথিবীতে যতো নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন সকলেই সবকিছুর আগে জালিম এবং তাগুতি শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। হযরত মূসা (আ) ফেরাউনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। মহানবী (সা) মক্কার অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন। ধর্ম যদি কেবল ইবাদাতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ কোনো বিষয় হতো , তাহলে নবীজীর সাথে মক্কার অত্যাচারীদের কোনোরকম বিরোধ হতো না। মূসা (আ) এর সাথে ফেরাউনের বিরোধ হতো না , ইব্রাহিম (আ) এর সাথে নমরুদের সংঘাত হতো না , ইমাম হোসাইন (আ) এর সাথে ইয়াযিদের যুদ্ধ হতো না। ইমাম খোমেনী (রহ) অন্যত্র বলেছেন : রাসুলুল্লাহ (সা) রাজনীতিতে সততার বীজ রোপন করেছেন। তাঁর আদর্শপুষ্ট ইসলামী রাজনীতি ছিল বিশ্বজনীন। তিনি তাঁর সুপবিত্র হাত পৃথিবীর আনাচেকানাচে প্রসারিত করেন এবং বিশ্ববাসীকে ইসলাম এবং ইসলামী রাজনীতির দিকে আহ্বান জানান। ইসলামের প্রাথমিক যুগ অর্থাৎ রাসূলের যুগ থেকে শুরু করে ইসলামের বিচ্যুতি ঘটার পূর্ব পর্যন্ত ইসলাম তথা ধর্ম এবং রাজনীতি ছিল পরস্পরের পরিপূরক বা সহায়ক।
উপসংহারে বলা যেতে পারে যে , নবীবংশের নিষ্পাপ ইমামদের পর পৃথিবীর বুকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন ইমাম খোমেনী (রহ)। তাঁর জীবন ছিল যথেষ্ট বরকতপূর্ণ। তাঁর জীবনকাল ছিল প্রায় এক শতাব্দী যা বর্তমান বিশ্বের এক বিরল ঘটনা। তিনি তাঁর সমগ্র জীবন ইসলাম , মুসলমান আর দ্বীনী প্রতিষ্ঠানের খেদমতেই কাটিয়েছেন। মোটামুটি কোনো ক্ষেত্রেই তিনি ব্যর্থ হন নি। তিনি ছিলেন অনেক বড়ো জ্ঞানী। দীর্ঘজীবন পাবার কারণে তাই জনগণ তাঁর জ্ঞানের আলো থেকে আলোকিত হবার সুযোগ পেয়েছে। এমন বহু জ্ঞানী-গুণী আছেন যাদের জ্ঞান নিজের অন্তরেই জমা হয়ে ছিল , জনগণের কল্যাণে আসে নি সেইসব জ্ঞান। কিন্তু ইমাম খোমেনীর জ্ঞান স্ফটিকস্বচ্ছ ঝর্ণাধারার মতো বিশ্ববাসীর মন ও মনন বিশেষ করে ইরানীদের জ্ঞান ভান্ডারকে সিক্ত ও সমৃদ্ধ করে প্রাণময়তা দিয়েছে। এই জ্ঞানের বরকত যদিও পরিমাপ করার মতো নয় , তারপরও বলতে হয় , সমুদ্র থেকে কতোটুকু পানিই বা সিঞ্চন করা যায়।
সূত্রঃ ইরান বাংলা রেডিও

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন