নতুন যুগের স্রষ্টা ইমাম খোমেনী (রঃ)

নতুন যুগের স্রষ্টা ইমাম খোমেনী (রঃ)
নতুন ইমাম দাঁড়ায়েছে আজ আকাশে তাহার শির
দ্রিম্ দ্রিম্ দ্রিম্ লক্ষ দামামা বাজছে সুগম্ভীর
জড়ীন শড়কে লাখো জনতার ভিড়
জড়ীন শড়কে ভূখা জনতার ভিড়
জড়ীন শড়কে লাখো মজলুম পেয়েছে সুসংবাদ
এ পথেরি শেষে আছে সে ঈদের চাঁদ ।
হ্যাঁ, মজলুম ও ইসলাম প্রেমিক মানুষের কাছে ইমাম খোমেনী (রঃ) ছিলেন ঈদের চাঁদ । পাশ্চাত্যের আধিপত্যের কাছে অবদমিত মুসলিম জাতিগুলোর জন্যে ইরানে সংঘটিত ইসলামী বিপ্লব ছিল মুক্তির এক নতুন পয়গাম এবং অসীম সম্ভাবনার সোনালী দিগন্ত। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সমসাময়িক যুগে এবং গত কয়েকশ বছরের ইতিহাসে ইরানে সংঘটিত ইসলামী বিপ্লব একটি নজীরবিহীন বিপ্লব । অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং সাম্যবাদ ও শ্রমিক শ্রেণীর অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে সাম্প্রতিক শতাব্দীগুলোতে ফরাসী বিপ্লব ও সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংঘটিত হলেও এ দুটি বিপ্লব ধর্মীয় আদর্শ কেন্দ্রীক ছিলনা । এ ছাড়াও এ দুটি বিপ্লব তাদের লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারেনি । পুঁজিপতি ও ধনিক শ্রেণীর চাপের মুখে ফরাসী বিপ্লব ব্যর্থ হয় এবং শ্রমিক শ্রেণীর অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে নব্য পুঁজিবাদ ও নাস্তিক্যবাদের প্রসার ঘটায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব জনগণের কাছে তাঁর মূল্য হারিয়ে ফেলে । এ অবস্থায় ইরানে ইসলামী বিপ্লব রাজনৈতিক আদর্শের অঙ্গনে মহাশক্তির এক নতুন উৎসে পরিণত হয়। দেশে দেশে ইসলামী পুণর্জাগরণের প্রতীক হয়ে ওঠে এ বিপ্লব । ফিলিস্তিনে শুরু হয় দখলদার বিরোধী আন্দোলন । লেবানন, কাশ্মীর, বসনিয়া, চেচনিয়া, মিন্দানাও , আফগানিস্তান, তুরস্ক, ভারত উপমহাদেশ ও মধ্যপ্রাচ্যেও এ বিপ্লবের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে এবং জালেম শক্তিগুলোর কাছে মুসলিম সংগ্রামীরা হয়ে ওঠে অপ্রতিরোধ্য । ইরানে ইসলামী বিপ্লব সফল হবার পর সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো বিশেষ করে আমেরিকা ইরান ও ইসলামী পূনর্জাগরণকে তার প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে ধরে নিয়ে এ বিপ্লবের প্রভাব ঠেকানোর জন্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা শুরু করে । সামগ্রীকভাবে গোটা পাশ্চাত্য ইসলাম আতংকে ভূগতে থাকে । এ সময় মার্কিন টাইম ম্যাগাজিন এক নিবন্ধে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে লিখেছিল : ‘‘গোটা মুসলিম উম্মাহ পূণর্জাগরণের দিকে এগোচ্ছে ।'' পশ্চিমা শক্তিগুলোর মধ্যে তখনই এ ধারণা জন্মায় যে কমিউনিজম নয়, ইসলামই তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ এবং তাদের শেষ লড়াইটা হবে ইসলামের সাথে । এ কারণেই পরবর্তীকালে মার্কিন চিন্তাবিদ হান্টিংটন সভ্যতাগুলোর মধ্যে সংঘাতের তত্ত্ব উপস্থাপন করে ইসলামকে আমেরিকার প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে ঘোষণা করেন । ইরানের বিপ্লবের পর পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো মুসলিম জাগরণ ও ইসলামী আন্দোলনগুলোকে মৌলবাদী আন্দোলন বলে অভিহিত করতে থাকে । এ থেকেই বোঝা যায়, মরহুম ইমাম খোমেনী (রঃ)'র নেতৃত্বে সূচিত বিশ্ব ইসলামী আন্দোলন বা ইসলামী পুণর্জাগরণ আন্দোলন পশ্চিমা জালেম শক্তিগুলোকে কতোটা শংকিত করেছে । মরহুম ইমাম খোমেনী (রঃ) যে কোনো জালেম শক্তির বিরুদ্ধে মজলুম জাতির লড়াই বা আন্দোলনকে সমর্থন দেয়ার ঘোষণা দেন । ইমাম বলেছিলেনঃ "যতদিন পর্যন্ত না ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ''- এ বাণী সমগ্র পৃথিবীতে ধ্বনিত হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে, পৃথিবীর যেখানেই জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের সংগ্রাম সেখানেই আমরা আছি ।" তিনি ইসলামী বিপ্লবকে বহির্বিশ্বে রপ্তানীর প্রতিজ্ঞাও ব্যক্ত করেছিলেন। সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা ও মজলুমের প্রতি সমর্থন ছাড়াও ইমাম খোমেনী (রঃ)'র নেতৃত্বে ইসলামী বিপ্লব টিকে থাকার ও তা জনপ্রিয় হবার আরেকটি বড় কারণ হলো, সাম্রাজ্যবাদকে কোনো রকম প্রশ্রয় না দেয়া এবং তাদের প্রভাব বিস্তারের সমস্ত পথগুলো বন্ধ করে দেয়া ও তাদের সাথে আপোষ না করা। পৃথিবীর অনেক দেশেই, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশে স্বৈরাচার ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলন সাময়িকভাবে সফল হলেও পরে তাদের স্থানীয় এজেন্টরাই ক্ষমতায় ফিরে এসেছে । এর কারণ হলো, সাম্রাজ্যবাদ সাময়িকভাবে পিছু হটলেও কূটনৈতিক বা বিভিনড়ব সম্পর্কের আড়ালে তারা পূণরায় তাদের অনুচরদের সংঘবদ্ধ করে এবং নতুন আঙ্গিকে তাদের পুরনো নীতি চাপিয়ে দিয়ে পরোক্ষভাবে শোষন অব্যাহত রাখে । ইরানেও মার্কিন দূতাবাসে অবস্থান করে তথাকথিত মার্কিন কূটনীতিকরা যখন নবগঠিত ইসলামী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিনড়ব ধরনের ষড়যন্ত্র করছিল এবং প্রতিবিপ্লব ও সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করছিল, তখন ইরানের বিপ্লবী ছাত্ররা মার্কিন কূটনীতিক নামধারী গুপ্তচরদের ঐ আস্তানা অবরোধ করে এবং তাদের প্রায় দেড় বছর পর্যন্ত আটক রাখে । ইমাম খোমেনী (রঃ) ছাত্রদের ঐ পদক্ষেপকে দ্বিতীয় বিপ্লব বলে অভিহিত করেছিলেন । মার্কিন গুপ্তচরদের মুক্ত করা এবং ইরানের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে অপহরণ বা হত্যার জন্যে তৎকালীন মার্কিন সরকার রাতের অন্ধকারে ইরানে বেশ কয়েকটি জঙ্গী বিমান ও হেলিকপ্টারে করে কমান্ডো সেনা পাঠিয়েছিল । কিন্তু মহান আল্লাহর অসীম অনুগ্রহে ঐ বিমানগুলো ধুলি ঝড়ের কবলে পড়ে ধ্বংস হয়ে যায় । মরহুম ইমাম খোমেনী (রঃ) এ ঘটনাকে আল্লাহর পাঠানো আবাবিল পাখীর মাধ্যমে কাবা ঘর ধ্বংসের জন্যে আগত আবরাহা বাদশাহর হস্তী বাহিনী ধ্বংসের সাথে তুলনা করেন । আসলে এ ঘটনার মধ্য দিয়ে আধুনিক যুগেও ইসলামের আধ্যাত্মিক শক্তি এবং ইসলামের প্রতি খোদায়ী সাহায্যের বিষয়টি ফুটে উঠেছে । মূলতঃ এ ঘটনার পরিণতিতেই আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিমি কার্টার পরাজিত হয়েছিলেন । অন্যদিকে ইমাম খোমেনী (রঃ) লাভ করেন বিশ্ব বিশ্রুত এক অলৌকিক-আধ্যাত্মিক পরিচিতি । গুপ্তচরবৃত্তি বা ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্যে ইমাম খোমেনীর নেতৃত্বের যুগে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অনেক কূটনীতিককেও ইরান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল । আর এ থেকে বোঝা যায়, তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের কোনো পরাশক্তিকেই পরোয়া করতেন না । ইমাম খোমেনী (রঃ)'র নেতৃত্বের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো তিনি তাঁর জাতিকে নিজের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন এবং সে ঐক্য ধরে রেখেছিলেন । নেতৃত্বের কোন্দলের কারণে বিশ্বের অনেক দেশে অনেক মহৎ পরিবর্তন বা বিপ-ব স্থায়ী হতে পারেনি । আর জাতীয় নেতৃত্বে কোন্দল দেখা দেয়ায় কিংবা নেতৃত্ব গোত্রীয় বা আঞ্চলিক পর্যায়ে বিভক্ত হয়ে পড়ায় আফগানিস্তানের মতো দেশের জনগণ রুশ আগ্রাসীদের বিতাড়িত করা সত্ত্বেও পরে নিজেরাই গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং এর ফলে সেখানে বিদেশী শক্তিগুলো হস্তক্ষেপের সূযোগ পায় । কোনো জাতির উন্নতি ও অগ্রগতির জন্যে জাতীয় ঐক্য যে জরুরী এবং ইসলামের পথে অটল থাকলে বিশ্বের কোনো শক্তিই কোনো জাতিকে দমিয়ে রাখতে পারেনা, মরহুম ইমাম খোমেনী (রঃ) মুসলিম জাতিগুলোকে তা বাস্তবে দেখিয়ে গেছেন ।
মরহুম ইমাম খোমেনী (রঃ)'র আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা ও সাফল্যের আরেকটি বড় কারণ হলো, তিনি জনগণের মতামতকে শ্রদ্ধা করতেন এবং জনগণকে নিয়েই তিনি তাঁর মহান বিপ্লবকে সফল করেছিলেন । তিনি জনগণের ওপর জোর করে ইসলামী শাসন বা আইন চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেননি । জনতার রুদ্র রোষ এড়াতে যখন স্বৈরাচারী শাহ পালিয়ে যায় এবং ইরানের সর্বস্তরের জনগণ ইমাম খোমেনী (রঃ)'র প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে তখন তিনি রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ইসলামী প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরের জন্যে গণভোটের উদ্যোগ নেন এবং দেশের সংবিধান প্রণয়নের জন্যেও গণভোটের ব্যবস্থা করেন । তিনি গণভোটের আগে ঘোষণা করেছিলেন যে, আমরা একটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই, এর চেয়ে কমও নয় এবং বেশীও নয় । ইরানের শতকরা ৯০ ভাগেরও বেশী নাগরিক ইসলামী প্রজাতন্ত্র ও ইসলামী সংবিধানের পক্ষে রায় দেন । মরহুম ইমাম খোমেনী (রঃ) ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও সংসদ নির্বাচনেরও ব্যবস্থা করেন । এভাবে তিনি রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে জনগণের অংশীদারিত্বকে প্রতিষ্ঠা করেন । ইমাম খোমেনী (রঃ) যে কত জনপ্রিয় নেতা ছিলেন তাঁর প্রমাণ পাওয়া যায়, স্বৈরাচারী শাহের শাসনামলে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানিকর একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হবার পর এর প্রতিবাদে ইরানের প্রতিটি শহরে লক্ষ লক্ষ জনতা বিক্ষোভ মিছিলে ফেটে পড়ে। একবার শাহ সরকার তাকে বন্দী করলে লক্ষ লক্ষ জনতা তাঁর মুক্তির দাবীতে মিছিল বের করে শ্লোগান দেয় ‘হয় খোমেনী অথবা মৃত্যু'। ফলে সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় । ১৫ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে প্যারিস থেকে তিনি যখন দেশে ফিরে আসেন তখন তেহরানে তাঁকে প্রায় ৬০ লক্ষ লোক সম্বর্ধনা জানায় এবং তিনি যখন ১৯৮৯ সালে ইন্তিকাল করেন তখনও প্রায় এক কোটি জনতা তেহরানে তাঁর দাফন অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ।
মরহুম ইমাম খোমেনী (রঃ)'র নেতৃত্বের একটি অনন্য দিক হলো তিনিই ধর্মীয় বিশেষজ্ঞের নেতৃত্বে ইসলামী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনার সুস্পষ্ট রূপরেখা তুলে ধরেন । এভাবে মুসলমানদের হারিয়ে যাওয়া নেতৃত্বের ছিন্ন সূত্রকে জোড়া লাগানোর উপায় তিনিই নির্ধারণ করেন । তাঁর মতে ইসলামী আইনে সবচেয়ে পারদর্শী ব্যক্তিরাই মুসলিম রাষ্ট্র তথা ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন জনগণের সম্মতি নিয়ে, আর তাদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে যোগ্য তিনিই হবেন ইসলামী রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নেতা বা প্রধান অভিভাবক। এ ধরনের নেতা আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত ইমামের প্রতিনিধি হবার মর্যাদা পাবেন । কোনো শিশুর পিতা না থাকলেও যিনি শিশুর অভিভাবক তাকেই শিশুটির পিতার দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হয়, তেমনি বর্তমান যুগে শ্রেষ্ঠ ইসলামী আইনবিদ আল্লাহর মাধ্যমে সরাসরি মনোনীত না হলেও আল্লাহর মনোনীত ইমামের প্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্রের প্রধান নেতা বা অভিভাবক হবার মর্যাদা পেতে পারেন বলে ইমাম খোমেনী মত দেন । বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মিশর, আলজেরিয়া, তুরস্ক ও পাকিস্তানের মতো অনেক মুসলিম দেশের চিন্তাবিদ ও আলেম সমাজ এ বিষয়ে গবেষণা করলেও তারা এ ব্যাপারে ঐতিহ্যবাহী আলেম সমাজের কাছে কোনো সর্বসম্মত ও বাস্তব দৃষ্টান্ত তুলে ধরতে পারেননি । আর এ জন্যেই দেখা যায় অনেক মুসলিম দেশের ইসলামী আন্দোলন বিজয়ের কাছাকাছি পৌঁছেও ব্যর্থতা বরণ করে নিয়েছে এবং ইসলামী সরকার রূপায়নের জিয়ন কাঠিটি খুঁজে পায়নি । ইমাম খোমেনীর আহবানে গোটা জাতি জীবন বাজি রেখে স্বৈরাচারী শাহের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে এসেছিল এবং হাজার হাজার জনতা শহীদও হয়েছিল । জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন, পবিত্র প্রতিরক্ষার জিহাদ বা অন্যান্য রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক কাজে শরীক করানোর মত যোগ্যতা সমসাময়িক যুগে একমাত্র ইমাম খোমেনীই দেখাতে পেরেছিলেন । অর্থাৎ সত্যিকার অর্থেই তিনি জনগণের ইমাম হবার মর্যাদা পেয়েছিলেন এবং জনগণ তাঁর আহবান বা নির্দেশ পালন করাকে তাদের অবশ্য পালনীয় ধর্মীয় কর্তব্য বলেও মনে করতো ।
সূত্রঃ ইরান বাংলা রেডিও

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন