হানাফী মাযহাবের প্রতিষ্টাতা ইমাম আবু হানিফা নন

হানাফী মাযহাবের প্রতিষ্টাতা ইমাম আবু হানিফা নন
যুগটা ছিল নানা দিক দিয়েই গুরুত্বপুর্ণ।এই আমলের শুরু থেকে শেষ পযন্ত বিভিন্ন মতবাদ রুপ লাভ করে;সুফি ও শরিয়তের ইমামগণ আত্নপ্রকাশ করতে থাকেন। বিভিন্ন জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনুবাদ হয় আরবীতে গ্রিক দর্শন ইসলামি চিন্তার উপর গভীর ও সুদুর প্রসারী প্রভাব বিস্তার করে। এই সময়ের মধ্যেই ইসলামি সমাজ,রাষ্ট ও চিন্তা রুপ পরিগ্রহ করে,তাকে অনুসরন করেই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মুসলমান যুগের প্রবাহে ভেসে চলে। সংক্ষিপ্ত আকারে হলেও আমরা সেসব অবস্থার রুপ ও পরিনতি কি হয়েছিল তা দেখার চেষ্টা করবো।
২য় আব্বাসীয় খলিফা মনসুরের সময় ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ইসলামের অবিকৃ্ত রুপ ও তার সমাজ-ব্যাবস্থার পরিবরতনের উপর মত প্রকাশ করেন। আবু হানিফার জনপ্রিয়তা ও প্রভাব দেখে মনসুর তাকে নিজের কুক্ষিগত করার প্রয়াসে বাগদাদের প্রধান বিচারপতির পদ প্রদান করেন। আবু হানিফা এই প্রস্তাব অস্বীকার করায় মনসুর তাকে কারারুদ্ব করেন কারাগারেই তার মৃত্যু হয়।সুন্নি মতবাদের আর একজন প্রচারক ইমাম মালিক (রঃ) কেও বেত্রাঘাতে জরজরিত করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। এভাবে কুরান ও রাসুল্লাহর অনুসারী দুজন শরিয়াতের ইমামের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়। এই সময় মদীনায় খাঁটি ইসলামি চিন্তার দার্শনিক ও মর্মগত দিক ব্যাখ্যা করে চলেছেন ইমাম জাফর সাদিক(আঃ)।
হজরত আলী (আঃ) এর প্রপৌত্রের এমন ধর্ম ব্যাখ্যা মনসুরকে বিচলিত করলো। মনসুর জাফর সাদেককে রাজসভায় আহবান করে তাঁকে হত্যা করার সংকল্প করলেন। কিন্তু জাফর সাদিক (আ.) এর সঙ্গে কথা বলে খলিফা যখন বুঝতে পারলেন যে সাধকের প্রচেষ্টা প্রধানত সামাজিক নয়,ব্যাক্তিক আত্নিক উতকরষেরই তিনি প্রচারক,তখন ইমাম জাফর সাদিক্ব (আ.) কে তাঁর অবস্থার উপর ছেড়ে দেয়াই তার কাছে যুক্তিযুক্ত বলে বিবেচিত হয়। তবে মনসুর একথাও বুঝতে পারলেন যে,তার রাজবংশের ঞ্ছায়িত্বের জন্য প্রয়োজন এক সুদৃঢ় মতবাদের। সেই মতবাদ কুরান ও সুন্নাহকে এমন ভাবে ব্যাখ্যা করবে যা তার স্বার্থের প্রতিকুল নয়। তেমন মতবাদ তিনি তার আইনজ্ঞদের দ্বারা করিয়ে নিলেন ও সেই মতবাদের নাম দিলেন সুন্নী মতবাদ।
সূত্রঃ ইন্টারনেট

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন