নারীর সৌন্দর্যতা হেজাব
নারীর সৌন্দর্যতা হেজাব
আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীব হচ্ছে মানুষ। আর মানুষ দু’টি অংশে বিভক্ত নারী ও পুরুষ। নারীদেরকে আল্লাহ কিছু কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং আলাদা এক মর্যাদা দিয়েছেন। যেমন বলা হয়েছে মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেশ্ত। নারীরা যেমন সুষ্ঠ ও শৃঙ্খল সমাজ গড়তে পারে তেমনি পারে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে। আল্লাহ তায়ালা নারীদের সৌন্দর্য্য দিয়েছেন এবং বলেছেন এ সৌন্দর্য্যকে রক্ষা করতে। আর এই সৌন্দর্য্য কেবল হিজাব বা পর্দা করার মাধ্যমেই রক্ষা করা সম্ভব।
সে কারণে হিজাব বা পর্দা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার জন্য কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরা শ্রেয় বলে মনে করছি যেমন-
যতক্ষণ পর্যন্ত একটা আতরের শিশির ঢাকনা বন্ধ থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত আতরের সুগন্ধ ঐ শিশির ভিতরেই সুরক্ষিত থাকে। কিন্তু যখনই আতরের শিশির ঢাকনা খোলা হয় তখনই সেই আতরের সুগন্ধ আর ঐ শিশির ভেতরে আবদ্ধ থাকে না। আর তখনই ঐ আতর তার ন্যায্য মূল্যকে হাত ছাড়া করে এবং কারো কাছে আর সেই মর্যাদা পায় না।
হিজাব বা পর্দাও ঠিক সেই আতরের শিশির ঢাকনার মত যা নারীদের সুগন্ধ, সৌন্দর্য্য, মিষ্টতা, কোমলতাকে রক্ষা করে। আর সেই হিজাব বা পর্দাকে দূরে ঠেলে দিলে নারীর সেই সৌন্দর্য্য ও মিষ্টতা এবং কোমলতা থাকে না।
ফুল যতক্ষণ পর্যন্ত পরিপূর্ণ ফোটে না, ততক্ষণ পর্যন্ত সুগন্ধযুক্ত ও ভাল থাকে এবং ছিঁড়ে নেয়ার খেয়ালও কেউ করে না, কিন্তু যখন ফুল, কলি থেকে ফোটা শুরু করে তখন তার সেই সৌন্দর্য্য ও সুগন্ধ ধীরে ধীরে বিলীন হতে শুরু করে এবং এক পর্যায়ে তা নিঃশেষ হয়ে যায় অর্থাৎ তার সৌন্দর্য্যকে হারিয়ে ফেলে। নারীরা ঠিক তেমনি যতক্ষণ পর্যন্ত “কলির মত হিজাবের মধ্যে” থাকে, কেউ তাকে অন্যায়ভাবে ছিঁড়ে নেয়ার কল্পনা করে না। কিন্তু যখনই হিজাব থেকে বেরিয়ে পড়ে তখনই সেই ফোটা কলির মত তাকে অন্যায়ভাবে ছিঁড়ে নেয়ার আগ্রহ করে। আর যখন ঐ ফুলের মত শুকিয়ে যায় তখন তাকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।
দেয়াল ও প্লাষ্টারঃ কেন ঘরের চারিদিকে দেয়াল তোলা হয় ও কেনই বা সেই দেয়ালের উপর প্লাষ্টার করা হয়? যদি কারো ঘরের দরজা দুর্বল হয়ে যায় কেন সেটাকে মজবুত করে ও যদি দেয়ালগুলো নিচু হয় কেন তা উঁচু করা হয়? এইসব কি সুবিধা ও আরাম-আয়েশের জন্য না-কি অসুবিধা ও অশান্তির জন্য?
হিজাব হচ্ছে সেই ঘরের দেয়াল ও সেই সব প্লাষ্টারের মত, এ ক্ষেত্রে যদি ঘরের উঁচু দেয়ালগুলোকে নিচু করা হয় অথবা দেয়ালের প্লাষ্টারগুলোকে উঠিয়ে দেওয়া হয় অথবা ঘরের দরজা মজবুত ছিল সেটাকে খুলে দেওয়া হয়, তাহলে কি শান্তি-সুখ ও আরাম-আয়েশে জীবন যাপন করতে পারবো না-কি অশান্তি সৃষ্টি হবে? যদি দরজাগুলো, দেয়ালগুলো ইত্যাদি জীবনে স্বাচ্ছন্দ বয়ে নিয়ে আসে, তাহলে হিজাবও ঠিক একটি নারীর জন্য শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ বয়ে নিয়ে আসে।
হিজাব কি?
* হিজাব সাধারণ অর্থে- পর্দা, বোরখা বা সারা শরীরকে ঢেকে রাখে এমন কোন ঢিলে ঢালা কাপড়কে বলা হয়ে থাকে। আর ইসলামের দৃষ্টিতে হিজাব হচ্ছে- নারীরা অপরিচিত বা না-মাহরামের (যাদের সাথে বিবাহ করা বৈধ) সাথে দেখা-সাক্ষাত বা উঠা-বসা করার সময় নিজের শরীরকে তাদের দৃষ্টি থেকে আড়াল করে রাখা।
* হিজাব হচ্ছে- নারীদের ও না-মাহরাম অথবা অচেনা পুরুষের মধ্যে একটি সীমারেখা ও পরস্পরের মধ্যে যৌন কামনা-বাসনার উদ্রেককে নির্বাপিত করার সর্বোত্তম পন্থা।
* হিজাব- একজন নারীর জন্য গর্ব ও গৌরবের উত্তম উপমা।
* হিজাব- আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণ করার প্রমাণ বহন করে।
* হিজাব হচ্ছে- সত্বী-সাধ্বীর প্রমাণ।
* হিজাব হচ্ছে- চেহারার উপর চমকপ্রদ শিশিরের মত।
* হিজাব হচ্ছে- সুদর্শন ও বহি:প্রকাশিত সৌন্দর্য্য সৃষ্টি করা যা নারীর মধ্যে আছে। আর ইসলামও চায় যে, নারীরা সৌন্দর্য্যমন্ডিত হোক। নারীর এই সৌন্দর্য্যতা (মনি-মুক্তার মত মূল্যবান গুপ্তধন) কেবলমাত্র হিজাব-এর মধ্যেই নিহিত আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত হিজাব থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত নারীদের সৌন্দর্য্য সংরক্ষিত থাকবে। হিজাব নারীদের জন্য এক ধরনের সম্মান ও মর্যাদা বয়ে আনে। আর সেই সম্মান ও মর্যাদা হচ্ছে এই যে, যৌনকামী পুরুষ বা না-মাহরামগণ তাদের দিকে হিংস্র পশুর দৃষ্টিতে তাকায় না।
হিজাব সম্পর্কে কতিপয় আয়াত ও হাদীসঃ
আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেনঃ “মু’মিনদিগকে বল, তাহারা যেন তাহাদিগের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাহাদিগের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে; ইহাই তাহাদিগের জন্য উত্তম। উহারা যাহা করে আল্লাহ্ সে বিষয়ে অবহিত।
মু’মিন নারীদিগকে বল, তাহারা যেন তাহাদিগের দৃষ্টিকে সংযত করে ও তাহাদিগের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে; তাহারা যেন যাহা সাধারণত প্রকাশ থাকে তাহা ব্যতীত তাহাদিগের আভরণ প্রদর্শন না করে, তাহাদিগের গ্রীবা ও বক্ষদেশ যেন মাথার কাপড় (লম্বা কাপড়) দ্বারা আবৃত করে, তাহারা যেন তাহাদিগের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, আপন নারীগণ তাহাদিগের মালিকানাধীন দাসী, পুরুষদিগের মধ্যে যৌনকামনা-রহিত পুরুষ এবং নারীদিগের গোপন অংগ সম্বন্ধে অজ্ঞ বালক ব্যতীত কাহারও নিকট তাহাদিগের আভরণ প্রকাশ না করে, তাহারা যেন তাহাদিগের পোপন আভরণ প্রকাশের উদ্দেশ্যে সজোরে পদক্ষেপ না করে। হে মু’মিনগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যাহাতে তোমরা সফলকাম হইতে পার।”[1]
আল্লাহ তায়ালা অন্যত্র বলেছেনঃ “হে নবী! তুমি তোমার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মু’মিনদিগের নারীগণকে বল, তাহারা যেন তাহাদিগের চাদরের কিয়দংশ নিজদিগের উপর টানিয়া দেয়। ইহাতে তাহাদিগকে চেনা সহজতর হইবে; ফলে তাহাদিগকে উত্যক্ত করা হইবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”[2]
মহিলাদের উদ্দেশ্য করে আবার বলেছেন যেঃ হে নবী-পত্নিগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নহ; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর তবে পর-পুরুষের সহিত কোমল কন্ঠে এমনভাবে কথা বলিও না, যাহাতে অন্তরে যাহার ব্যাধি আছে, সে প্রলুব্ধ হয় এবং তোমরা ন্যায়সংগত কথা বলিবে।”[3]
না-মাহরামের দিকে তাকানো থেকে সংযত থাকার জন্যে রাসূল(সা.) নারীদের উদ্দেশ্য করে বলেছেনঃ “যেসব নারীর স্বামী আছে তারা যদি অন্য কারো স্বামীর প্রতি ও অন্য কোন না-মাহরামের প্রতি তাকায়, তাহলে তারা যেন আল্লাহর কঠিন আজাব সম্পর্কে সতর্ক থাকে। অতএব যদি নারীরা এ ধরনের কাজ করে তাহলে আল্লাহ তাদের আমল বা ভাল কাজের প্রতিদান হিসেবে যে পুরষ্কার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তা থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করবেন এবং সমস্ত নেক আমলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দিবেন।”[4]
ইমাম রেযা(আ.) হিজাব সম্পর্কে বলেছেনঃ “নারীদের চুলের প্রতি তাকানো হারাম করা হয়েছে এই জন্য যে, যদি তাদের মাথার চুল না-মাহরাম পুরুষদের সামনে প্রকাশ পায় তাহলে তা তাদের জন্য আকর্ষণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। (আর না-মাহরাম পুরুষদের জন্য এই আকর্ষণ সৃষ্টি) দূর্নীতি ও সীমা লঙ্ঘন করার পথ সৃষ্টি করে দেয়। আর সেটা (মানুষের ক্ষেত্রে) হারাম কর্ম সম্পাদন করার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।”[5]
হিজাবের প্রতি কোরআন ও মা’সুমিনদের হাদীসের গুরুত্বের প্রতি লক্ষ্য রেখে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, ইসলামের মধ্যে হিজাব একটি সার্বজনীন ও মৌলিক বিষয় আর সেটা হচ্ছে এই যে, ইসলাম চায়, বিভিন্ন ধরণের কামশক্তির আস্বাদন, সেটা দেখার মাধ্যমে হোক বা শোনার মাধ্যমে হোক অথবা অন্য কোন পন্থায় হোক তা যেন শুধুমাত্র নিজ গৃহের মধ্যে হয় এবং শরীয়ত সিদ্ধ বিবাহের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে আর সমাজের বিষয়টি শুধুমাত্র কাজ-কর্ম বা অন্যান্য কিছু করার জন্য।
হিজাবের উপকারিতাসমূহঃ
হিজাবে থাকা বা পর্দা করলে অনেক সুবিধা ও উপকারিতা রয়েছে। যা সম্পর্কে নিম্নে সংক্ষিপ্তাকারে বর্ণনা করা হল-
(১) মানসিক প্রশান্তি:
শহীদ মোতাহ্হারী বলেছেন- নারী ও পুরুষের মধ্যে সীমারেখা না থাকা এবং বাঁধন ছাড়া স্বাধীনভাবে মেলামেশা করা, (বিশেষ কোন অঙ্গ প্রতঙ্গের) উত্তেজনা ও উদ্দীপনাগুলোকে প্রবৃদ্ধি করে এবং এই আত্মিক তৃষ্ণা ও ইচ্ছা পরিতৃপ্ত না হওয়ার কারণে সে সেক্সকে আহ্বান জানায়। সহজাত প্রবণ শ্রেণীর শক্তিশালী প্রভাব, প্রকৃতিকে সুগভীর করে তোলে। যতবেশী না মেনে চলবে উদ্ধ্যতা ততবেশী বাড়বে, যেমন আগুনে যতবেশী খোরাক জোগান দিবে ততবেশী দাউদাউ করে জ্বলবে।[6]
(২) পারিবারিক বন্ধনের মধ্যে দৃঢ়তা সৃষ্টিকরণঃ
যে সব উপাদানের ভিত্তিতে দম্পতি সম্পর্ক গড়ে উঠে, পারিবারিক বন্ধনে দৃঢ়তা ও আন্তরিকতার সৃষ্টি হয়, সেসব উপাদানের ব্যবস্থা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিত।
(৩) সমাজ গঠনঃ
ঘরের বা পরিবারের ভাল বা মন্দ যে কোন পরিবেশ সমাজের উপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে, ঘরে যদি ভাল পরিবেশ থাকে তাহলে সেটা সমাজেও ভাল প্রভাব বিস্তার করে যারফলে সুসমাজ গঠিত হয় আর যদি ঘরের বা পরিবারের মধ্যে পরিবেশ ভাল না থাকে তাহলে তার সেই খারাপ প্রভাবটি সমাজের মধ্যে বিস্তার লাভ করে যারফলে সমাজের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হয় আর ইসলামী হিজাব বা পর্দা সুসমাজ গঠনের জন্য এমনই এক সুব্যবস্থা যার কারণে সমাজের মধ্যে ঐরকম কোন সমস্যার সৃষ্টি হয় না বরং বিভিন্ন ধরণের সমস্যার অপনোদন করে। আর শিক্ষা, সংস্কৃতি, শৈল্পিক দক্ষতা, রাজনৈতিক ইত্যাদি ক্ষেত্রেও হিজাব নারীর জন্য কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে না। অর্থাৎ হিজাব বা পর্দা করার মধ্য দিয়েও এ সকল কর্ম করা বা এ সকল দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জন করা যায়।
(৪) নারীদের সম্মান ও মর্যাদাঃ
ইসলাম নারীকে হিজাব বা পর্দার মধ্যে থাকার জন্য অনুপ্রাণিত করেছে আর বলেছে যেঃ যদি নারীরা সুদৃঢ়তা, মার্জিতা ও সত্বী-সাধ্বীতার সাথে জীবন-যাপন করে এবং নিজেদেরকে না-মাহরাম পুরুষের সামনে প্রদর্শন না করে, তাহলেই তাঁর সম্মান বৃদ্ধি পাবে।
সর্বোত্তম হিজাবঃ
না-মাহরামের সামনে আবরণ ও পর্দা পরিহিত অবস্থায় থাকার জন্য সর্বোত্তম ব্যবস্থা হচ্ছে- বোরখা ও বড় ধরনের ওড়না যা মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রাখে। আর মুসলমান নারীদের জন্য এটাই হচ্ছে ইসলামী পোশাক।
অতএব নারীদের পরিপূর্ণ হিজাব হচ্ছে বোরখা, যা সর্বত্র শরীরকে ঢেকে রাখে, যাতে করে না-মাহরামদের দৃষ্টি নিজেরদের উপর আকৃষ্ট না করে, তবে তার কিছু শর্ত রয়েছে যা হচ্ছে-
* বোরখার রং কালো ও সাধারণ এবং নকশা ছাড়া যেন হয়।
* বোরখা যেন পুরো শরীরটাকে ঢেকে রাখে ও পাতলা না হয়।
কারণ বোরখা রঙ্গীন হলে আকর্ষণীয়তা ও বৈচিত্র্যতা থাকে যা যৌনকামী না-মাহরামের দৃষ্টিগুলোকে আকর্ষণ করে, এই জন্য বোরখা রঙ্গীন না হওয়াই ভাল।
* বোরখার নিচের পোশাক অবশ্যই মানানসই হওয়া উচিত এবং এমন যেন না হয় যে ঝড়- বাতাস বা দূর্ঘটনাবশত: কারণে শরীরের কিছু অংশ ও নারীর সৌন্দর্য্য না-মাহরামের দৃষ্টিতে পড়ে যায়।
অতএব “হিজাব” ও “ইসলামী পর্দার এক মর্যাদা রয়েছে। হিজাব করলে যেমন সুবিধা, সম্মান, মর্যাদা রয়েছে ও সৌন্দর্য্য রক্ষা করে থাকে তেমনি আল্লাহ তায়ালাও নারীদের জন্য হিজাব করা ওয়াজিব তথা ফরয করেছেন। আর নারীদের হিজাবে থাকা বা পর্দার মধ্যে থাকাকে আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন। তাহলে কেন আমরা আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করব এবং তাঁর ভালবাসা থেকে দূরে থাকবো। তাই নারীদের উচিত হিজাবে থাকা, কারণ হিজাবই মুসলমান নারীর পরিচয় দেয়। তাইতো বলা হয় “হিজাব” হচ্ছে- “ঝিনুকের ভেতরে মুক্তা”-র মত। অনেকে আছে যারা এই হিজাবের মূল্য বোঝে না, তারা পর্দা করাকে বোঝা বা ঝামেলা মনে করে। যদি আল্লাহকে খুশি করার ও পরকালের সুখের চিন্তা থাকে তবে তার কাছে পর্দা করা ঝামেলা মনে হবে না।
তাই আল্লাহকে খুশি করার জন্য ও তাঁর নির্দেশ পালন করার জন্য এবং পরকালের সুখের জন্য আমাদের মুসলিম নারীদের কর্তব্য হচ্ছে হিজাব বা পর্দা করা।
________________________________________
১- সুরা নুর, আয়াত-৩০, ৩১। (ইসলামী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ)
২- সুরা আহযাব, আয়াত-৫৯।
৩- সুরা আহযাব,আয়াত-৩২।
৪- ওয়াসায়েলুশ শিয়া, খণ্ড-১৪, পৃ.-১৭১, হাদীস-২।
৫- ইলালুশ শারায়ে, খণ্ড-২, পৃ.-২৮৭, অধ্যায়-৩৬৪।
৬- ফালসাফেয়ে হেজাব, পৃ.-৮৪।
সূত্রঃ ইন্টারনেট
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন