নারী বিষয়ক পরিষদ ‘আঞ্জুমান-এ-আল যাহরা’র প্রচেষ্টায় :শিয়া হলো শ্রীলংকার ৩১টি পরিবার
নারী বিষয়ক পরিষদ ‘আঞ্জুমান-এ-আল যাহরা’র প্রচেষ্টায় :শিয়া হলো শ্রীলংকার ৩১টি পরিবার
শ্রীলংকার নারী বিষয়ক সংস্থা আঞ্জুমান-এ-আল যাহরা’র পরিচালক ‘জনাবা যাভিনী জালিল’ বলেছেন : শ্রীলংকার নুওয়ারা এলইয়া অঞ্চলের ৩১টি পরিবার আঞ্জুমান-এ-আল যাহরার সহযোগিতায় গত দুই বছরে আহলে বাইত (আ.) এর মাযহাবের অনুসারী হয়েছেন।
তিনি বলেন : এরপূর্বে যখন আমরা বক্তৃতা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মসূচীর জন্য নুওয়ারা এলইয়া অঞ্চলে যেতাম তখন ঐ পরিবারগুলো ঘোষণা করেছিল যে, তারা আহলে বাইত (আ.) এর মাযহাবের প্রকৃত অনুসারী হতে প্রস্তুত। তাদের শিয়া মাযহাবের অন্তর্ভূক্ত হওয়া আমাদের অন্যতম বৃহৎ সাফল্য হিসেবে বিবেচিত।
আঞ্জুমান-এ-আল যাহরা পরিচালক, নব শিয়া পরিবারের উত্সাহ ও উদ্দীপনা সম্পর্কে বলেন : আমরা যখন আহলে বাইত (আ.) এর প্রতি এ সকল পরিবারের উত্সাহ দেখলাম তখন থেকে প্রতি সপ্তাহে তাদের সাথে দেখা করতে যেতাম। এ সময় তাদেরকে আহলে বাইত (আ.) এর মাযহাব অনুসারে ওজু করা, নামায পড়া এবং বিভিন্ন দোয়া পড়ার শিক্ষা দিতাম।
জনাবা জালিলী, এ অঞ্চলে আঞ্জুমান-এ-আল যাহরার তত্পরতা সম্পর্কে বলেন : আমরা আমাদের সকল বক্তব্য ও ধর্মীয় সভাগুলোতে সর্বদা মহানবী (স.) ও তার আহলে বাইত (আ.) এর কথা বলতাম এবং তাঁদের পরিচয় তুলে ধরতাম। মহররম মাসেও এ অঞ্চলে বিশেষ শোক মজলিশের আয়োজন করেছি।
আঞ্জুমান-এ-আল যাহরা’র পরিচালক আরো বলেন : ইরানের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হতে কিছু সংখ্যক সিজদাগাহ তাদের জন্য সংগ্রহ করে নতুন ঐ শিয়া পরিবারের মাঝে বিতরণ করেছি এবং প্রথমবারের মত গত ১২ই জানুয়ারী এ অঞ্চলে জনাব জালিলে’র ইমামতি জামাতের নামায অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নুওয়ারা এলইয়া অঞ্চলে অধিক সংখ্যক সুন্নি মাযহাবের অনুসারী পরিবারের বসবাসের কথা উল্লেখ করে বলেন : যদিও ঐ অঞ্চলে অধিক সংখ্যক সুন্নি পরিবার বসবাস করে, তা সত্ত্বেও তাদের মধ্য হতে অনেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন যে, আমরা যা কিছু আহলে বাইত (আ.) সম্পর্কে বলি সেগুলো সত্য। তারা আহলে বাইত (আ.) এর মাযহাবের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। আর আমরাও সমাজকে সোজা পথে হেদায়েতের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। সূত্রঃ ইন্টারনেট
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন