ঈদে গাদীর, ইসলামী ঐক্যের কারণ
ঈদে গাদীর, ইসলামী ঐক্যের কারণ
মানুষের চলমান জীবনে যা একটি সন্ধিক্ষণ হতে পারে, ইতিহাসের এমন কোন এক অনুভূতিশীল বিষয়ের প্রতি অবলোকন করলে সব সময় ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা নেয়া ও সে সম্পর্কে জানার কারণ হয়, বিশেষ করে ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণ যদি কোন ধর্ম হয় যা নিশ্চিত সেই ধর্মের অনুসারীদের জন্য বিশেষ মনোযোগের বিষয় হবে।
ইসলাম ধর্মেও এ ধর্মকে গঠন ও প্রসার করার ক্ষেত্রে এরকম অনেক সন্ধিক্ষণ রয়েছে, উদাহরণস্বরূপ নবী করিমের (সা.) বেসত, জনসাধারণের প্রতি ইসলাম ধর্মের জন্য তাঁর দাওয়াতের শুরু, গাদীর দিবসে ওয়েলায়াত ও খেলাফতের বন্ধনের ঘোষণা, হোসাইনী বিপ্লবে ধর্মীয় মূল্যবোধের পুনরুজ্জীবিত হওয়া ইত্যাদি, যা একদিকে এ ঘটনাগুলোর বাস্তবতাকে পর্যালোচনা করলে ও অপর দিকে তার কারণ ও নিদর্শনসমূহ সহ বিভিন্ন দিককে বিবেচনায় রাখলে আমাদের সকলকে হক্ব ও সত্য পথ খুঁজে পেতে ও প্রকৃত ইসলাম ধর্মের অনুসরণ করতে যা ওয়েলায়াতের পথেই রয়েছে সাহায্য করবে।
সময়ের সাথে সাথে, ধর্মের প্রতি ইতিহাসগত দৃষ্টিভঙ্গির কারণে অনুসারীদের মধ্যে মত পার্থক্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং কম বেশি কিছু অনুসারী নিয়ে কিছু কিছু ফের্কার সৃষ্টি হল যার প্রত্যেকটি প্রকৃত ধর্মের বিষয়ে এবং তার অনুসরণের জন্য কিছু কিছু দৃষ্টিভঙ্গিকে গ্রহণ করেছে এবং সে অনুযায়ী ধর্মের বিভিন্ন ব্যাখ্যা ও বর্ণনা করে থাকে।
এই মত পার্থক্যের মূল উৎস খুঁজতে গিয়ে আমরা ফিকাহগত, রাজনৈতিক ও এমনকি সংস্কৃতি বিভিন্ন ফলাফলের সম্মুখীন হয়েছি যা অবশ্য সবাই নতুন ফের্কা সৃষ্টি ও এ মতপার্থক্যের জন্য একটি ঐতিহাসিক মূল বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস করেন। আর তা হচ্ছে গাদীর দিবসে আমিরুল মুমেনিন হযরত আলী (আ.) এর জন্য নবী করিমের (সা.) মাধ্যমে ওয়েলায়াত ও খেলাফতের বন্ধনের ঘোষণা। অবশ্য সব ফের্কার দেয়া রিপোর্ট অনুযায়ী গাদীরে খুমে উপস্থিত সকল মুসলমান আমিরুল মুমেনিন আলী (আ.) -কে মেনে নিয়ে তাঁর হাতে বায়াত করেছে; কিন্তু নবী করিমের (সা.) ওফাতের পর খেলাফতকে উপেক্ষা করেছে এবং গাদীরের ঘটনাকে ওয়েলায়াতের অর্থ বন্ধুত্বতে পরিবর্তন করার মাধ্যমে খেলাফতের আওতা থেকে খারিজ করে দিয়েছে।
বর্তমানে এই ঐতিহাসিক ঘটনাকে বাদ দিয়ে যার মধ্যে কোন মতপার্থক্য নেই, আজকের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যেখানে ইসলামের শত্রুরা মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করার এবং তাদেরকে সাম্রাজ্যবাদী বানানোর চেষ্টা করছে, কিভাবে আমরা ইসলামী বিশ্বে ঐক্য ও একতা সৃষ্টি করতে পারি এবং মুসলমানরা যাতে একই কাতারে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে পারে ? বিভিন্ন পন্থার মধ্যে একটি পথ হচ্ছে সাধারণত যাকে সাংস্কৃতিক অথবা ফের্কাগত ঐক্য হিসেবে মনে করা হয় তা হচ্ছে বিভিন্ন ফের্কার অনুসারীদেরকে যৌথ বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ানো ও কেন্দ্রীকরণ করানো এবং বিভ্রান্তমূলক বিষয়ে কথা বলা ও ঝগড়া থেকে বিরত থাকা।
বিভিন্ন ইসলামী মাযহাবসমূহের মধ্যে নিকটবর্তিতা আনয়নের ক্ষেত্রে সেই প্রথম থেকেই কেবলা, পবিত্র হজ্বের রীতিনীতি, নবী করিম (সা.), এক কেতাব বা কোরানের প্রতি নির্ভর করা হত। আর বর্তমানেও ইসলামী বিশ্বের ঐক্য সম্পর্কে এ ক্ষেত্রের জন্যই বলা হয়ে থাকে যদিও আমরা প্রতিদিন ইসলামী ফের্কাগুলোর মধ্যে বিভিন্ন পদ্ধতিতে বিভ্রান্ত সৃষ্টির বিস্তৃতি দেখতে পাচ্ছি। এমতাবস্থায় অবশ্যই ঐক্যের পদ্ধতিকেও পাল্টাতে হবে এবং কথাবার্তায় ও পদ্ধতিতে নতুনত্ব আনতে হবে।
ওস্তাদ শহীদ মোতাহারি মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য রক্ষার প্রয়োজনের পরিকল্পনা করার পর এবং নিজেদের আকিদাগত ও বাস্তবায়নযোগ্য মাযহাবগত মৌলিক বিষয়সমূহের রক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে বলেন: "আমরা যা কিছুর আশা ও প্রত্যাশা করি তা হচ্ছে এই যে, সুন্দর পারস্পরিক সমঝোতার ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে যাতে করে আমাদের কাছে ধর্মের যে উসুল ও ফুরু বিষয়সমূহ রয়েছে, ফিকাহ, হাদীস, কালাম শাস্ত্র, দর্শন, তফসির ও সাহিত্য রয়েছে এগুলোকে যেন উত্তম রূপে সবার সামনে তুলে ধরতে পারি যাতে করে শিয়া মাযহাব, এর চেয়ে বেশি একাকী না হয়ে পরে। আর বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী ক্ষেত্র শিয়া ইসলামী জ্ঞান -বিজ্ঞানের জন্য বন্ধ না হয়ে পরে। ইসলামী যৌথ বিষয়সমূহকে গ্রহণ করা এবং প্রত্যেক ফের্কা বা মাযহাবের বৈশিষ্ট্যসমূহকে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে সম্মিলিত কোন ঐকমত্যকে এক রকম বিদীর্ণ করে দেয়া। আর নিশ্চিত তার ফল হচ্ছে এমন, যা প্রকৃত ইসলামের কাম্য নয়। কেননা যে কোন একটি মাযহাবের বৈশিষ্ট্য ইসলামেরই একটি অংশ। আর এ সকল বৈশিষ্ট্যসমূহ ও ভাল -মন্দ পৃথকীকরণ শক্তিগুলোকে বাদ দিয়ে কোন ইসলাম নেই"। (মোতাহারি, পৃষ্ঠা: ১৭)
তিনি ইসলামী মাযহাবসমূহে নিকটবর্তিতা আনয়নের অর্থ একদল হওয়াকে প্রত্যাখ্যান করে ঐক্যের ক্ষেত্রের অর্থকে এভাবে বর্ণনা করেন: "অবশ্য ঐক্যের ক্ষেত্রের অর্থ হচ্ছে এই যে, বিভিন্ন দল ও মত তাদের পদ্ধতি, তরিকা ও চলার পথে মতপার্থক্য থাকা স্বত্বেও তাদের মধ্যে উপস্থিত যৌথ বিষয়সমূহের কারণে নিজেদের যৌথ শত্রুর মোকাবেলা রুখে দাঁড়াতে হবে। আর এটা স্বতঃসিদ্ধ যে, শত্রুর মোকাবেলায় এক সারিতে দাঁড়ানোর সাথে নিজেদের মাযহাবগত আদর্শের রক্ষা, অন্য মাযহাবের পর্যালোচনা ও অন্যান্য ভাইদেরকে নিজের মাযহাবের প্রতি আহ্বান জানানোর কোন বিরোধ নেই। বিশেষ করে আয়াতুল্লাহ বুরুজারদি যে বিষয় নিয়ে চিন্তা করতেন তা হচ্ছে এই যে, আহলে সুন্নাত ভাইদের মধ্যে আহলে বাইত (আ.) এর শিক্ষাকে প্রচার প্রকাশ করার ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে। তিনি আরো বিশ্বাস করতেন যে, এ কাজ পারস্পরিক সুন্দর সমঝোতার সৃষ্টি করা ছাড়া সম্ভব নয়। শিয়াদের অন্যান্য ওলামাদের তুলনায় মরহুম বুরুজারদি যে অধিক সাফল্য অর্জন করেছিলেন তা হচ্ছে এই যে, সুন্দর পারস্পরিক সম্পর্কের কারণে স্বয়ং মিশরবাসীদের হাতে শিয়াদের কিছু ফিকাহ শাস্ত্রের বই প্রকাশ পাওয়া"। (মোতাহারি, পৃষ্ঠা: ১৮)
ওস্তাদ মোতাহারির দৃষ্টিতে আমাদেরকে অসহিষ্ণুতা, ঈর্ষা ও বিদ্বেষীমূলক এমন কোন কাজ করা উচিত নয় যা অন্যের অনুভূতিতে আঘাত হানে। বরং বন্ধুত্বপূর্ণ ও পারস্পরিক সুন্দর সম্পর্কের মাধ্যমে এমন ক্ষেত্র সৃষ্টি করা উচিত যেখানে নিজেদের ইতিহাস, রাজনৈতিক ও ফিকাহগত দৃষ্টিভঙ্গিকে যা একে অপরের মতবিরোধী বর্ণনা করা যায়। এ দিক থেকে ইমাম সাদেক (আ.) এর ভাষায় ঈদে গাদীর যা মুসলমানদের বড় ঈদগুলোর মধ্যে একটি তার প্রতি ইঙ্গিত করা যায় যা এই ঈদ নিজেই হতে পারে সুন্দর পারস্পরিক সম্পর্কের একটি কারণ এবং ঐক্যের জন্য এটি প্রচেষ্টাও হতে পারে অথবা এ দিবসের উসিলায় ইতিহাসের প্রকৃত ঘটনাও উন্মোচন হতে পারে। ইমাম সাদেক (আ.) বলেন:
« وَ الْجُمُعَةُ لِلتَّنْظِیفِ وَ التَّطَیُّبِ وَ هُوَ عِیدٌ لِلْمُسْلِمِینَ وَ هُوَ أَفْضَلُ مِنَ الْفِطْرِ وَ الْأَضْحَى وَ یَوْمُ غَدِیرِ خُمٍّ أَفْضَلُ الْأَعْیَاد » (وسائل الشیعة، ج: 7، ص: 380)
"আর জুমা'র দিন হচ্ছে পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতা ও সুগন্ধি ব্যবহারের দিন এবং এ দিনটি হচ্ছে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন আর তা হচ্ছে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা হতে উত্তম আর গাদীরে খুম দিবস হচ্ছে সমস্ত ঈদের চেয়ে উত্তম ঈদ"। (ওয়াসায়েলুশ শিয়া, ৭ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩৮০)
ওস্তাদ মোতাহারি হযরত আমিরুল মুমেনিন আলী (আ.) এর ভুলে যাওয়া সিরাহকে দাবীকৃত এ বিষয়ে উত্তম প্রমাণ মনে করেন এবং বলেন: "আলী (আ.) নিজের হক্ব চাওয়াতে এবং তা প্রকাশ করার বিষয়ে এবং তার হরণকারীর সম্পর্কে অভিযোগ করতে বিরত ছিলেন না। বরং সুস্পষ্টভাবে তা ব্যক্ত করেছেন এবং ইসলামী ঐক্যকে তার জন্য বাধাস্বরূপ মনে করেননি। আর নাহজুল বালাগার অনেক খুতবাতে এর প্রমাণ রয়েছে। এতদসত্বেও অন্যায় -অবিচারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করাটা শত্রুদের মোকাবেলায় মুসলমানদের দল থেকে তার সরে দাঁড়ানোর কারণ হয়নি। জুমা এবং জামাতের নামাযে শরিক হতেন, ওই যুগে যুদ্ধে অর্জিত মালে গনিমত হতে নিজের অংশও তুলে নিতেন, খলিফাদের দিক নির্দেশনাকেও প্রত্যাখ্যান করতেন না এবং কোন পরামর্শের বৈঠকে উপস্থিত হতেন আর একজন নসিহতকারী হিসেবে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি পেশ করতেন"।
ইরানিদের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধে যেখানে ওই সময়কার মুসলমানদের খলিফা নিজেই শরিক হতে চাচ্ছিল আলী (আ.) বলেন: না আপনি এ যুদ্ধে উপস্থিত হবেন না, কেননা আপনি যখন মদিনাতে অবস্থান করবেন শত্রু পক্ষ ধরে নেয়া যাক সমস্ত সৈন্য বাহিনীকে নিঃশেষ করে দিল তখন তাদের জন্যে সাহায্য পৌঁছুতে পারে কিন্তু যদি আপনি স্বয়ং নিজেই যুদ্ধের ময়দানে যান শত্রুরা বলবে: (هذا اصل العرب) এটাই হচ্ছে আসল আরব। নিজেদের সৈন্য বাহিনীকে কেন্দ্রীভূত করবে যাতে আপনাকে হত্যা করতে পারে আর যখন আপনাকে মেরে ফেলবে তখন শক্তিশালী মনোবল নিয়ে মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। (নাহজুল বালাগা, খুতবা নম্বর: ১৪৪)
হযরত আলী (আ.) বাস্তবিক জীবনেও একই পদ্ধতিই অনুসরণ করতেন। তাছাড়া ব্যক্তিগতভাবে কোন খলিফার পক্ষ হতে কোন পদ গ্রহণ করেননি; না যুদ্ধের সেনাপতির পদ, নাহি কোন প্রদেশের রাজত্বের দায়িত্ব আর না এমারাতুল হাজ্জ এবং এরকম অন্য কোন পদও নয়। কেননা এরকম যে কোন একটি পদের দায়িত্ব গ্রহণ করার অর্থ হচ্ছে তাঁর নিশ্চিত হক্বকে ছেড়ে দেয়া। অন্য ভাষায় এটিই হচ্ছে সহযোগিতা ও ইসলামী ঐক্য রক্ষা করার চেয়ে বেশি। কিন্তু নিজে কোন পদ গ্রহণ নি করলেও নিজের কাছের লোক, নিকটাত্মীয় ও বন্ধু বা নিজের আসহাবদেরকে সেই পদ গ্রহণ করাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতেন না। কেননা তাদের পক্ষ থেকে সেই সব পদ গ্রহণ করাতে শুধুমাত্র সহযোগিতা বোঝায় এবং কোন অবস্থাতে খেলাফতকে মেনে নেয়ার অর্থ হয় না। (দ্রষ্টব্য: শরহে ইবনে আবিল হাদীদ, পত্র নম্বর: ৬২, ইমাম (আ.) বলেছেন: "فامسکت یدى حتى رأیت راجعة الناس قد رجعت عن الاسلام") (মোতাহারি, পৃষ্ঠা: ১৯ ও ২০)
উপরোল্লিখিত বর্ণনা মতে ঈদে গাদীরকে উদ্দেশ্য করে মুসলমানদের ঐক্যের লক্ষ্যে শিয়া ভায়েরা যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে পারে তা নিম্নরূপ:
১। আহলে সুন্নাত ভাইদেরকে উপহার পাঠানোর মাধ্যমে মোবারকবাদ জানানো এবং গাদীর দিবস অনুষ্ঠানে তাদেরকে অংশ গ্রহণের জন্য দাওয়াত দেয়া।
২। শুধুমাত্র জ্ঞানগত দিক দিয়ে আমিরুল মুমেনিন আলী (আ.) এর ব্যক্তিত্ব ও গাদীরের ঘটনা সম্পর্কে আহলে সুন্নাতের ওলামায়ে কেরামদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা বিষয়ক সমাবেশ, সেমিনার ও কনফারেন্সের ব্যবস্থা করা।
৩। সংবাদ মাধ্যমকে বাদ দিয়ে উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি এবং শিয়া ও আহলে সুন্নাতের ধর্মীয় রাজনীতিবিদ, আলেম সমাজ ও ইসলামী ঐতিহাসিকদের সমন্বয়ে বিশেষ সেমিনারের ব্যবস্থা করা।
৪। মুসলমানদের একটি বড় ঈদ হিসেবে ঈদে গাদীরের মোবারকবাদ জানিয়ে ইসলামী রাষ্ট্র প্রধান, শিয়া ও আহলে সুন্নাতের জ্ঞানী ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক ব্যক্তিবর্গকে পত্র পাঠানো ইত্যাদি।
ইনশাল্লাহ বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক এই পদক্ষেপগুলো মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য ও জ্ঞানগত মানের উন্নতির কারণ হবে।
গবেষণার জন্য সূত্রসমূহ:
১। শেখ হুররে আমেলি, ওয়াসায়েলুশ শিয়া, ২৯তম খণ্ড, কোম, মুআস্সেসেয়ে আলুল বাইত (আ.), প্রকাশ কাল: ১৪০৯ হিজরি।
২। মুর্তুযা মোতাহারি, ইমামত ওয়া রাহবারি, তেহরান, সাদরা, ২২তম প্রকাশনা, প্রকাশ কাল: ১৩৮৮ ফার্সি সন।
মূল: সাইয়্যাদ আব্দুর রাসুল আলামুল হুদা।
সূত্রঃ ইন্টারনেট
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন