দোয়া কবুলের শর্তসমূহ

 www.tvshia.com

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

 

দোয়া কবুলের শর্তসমূহ

 

       অন্যান্য এবাদতের মত দোয়া কবুলের জন্যেও কিছু শর্ত রয়েছে। এসব শর্ত পালন করা ব্যতীত দোয়া কবুলের আশা করা ঠিক নয়। দোয়া কবুলের শর্তসমূহ নিম্নে বর্ণিত হল:

 

১- আল্লাহর নিকট চাওয়া

দোয়া কবুলের প্রধান শর্ত হল: প্রকৃতভাবে আল্লাহর নিকট চাওয়া। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও নিকট আশা না করা। আল্লাহর অলিগণের নিকট সবচেয়ে পাছন্দনীয় এবাদত হচ্ছে দোয়া। তাঁরা নিজদের সব আশা-আকাঙ্খা আল্লাহর নিকট পেশ করে থাকেন:

 

وَ اذْكُرِ اسْمَ رَبِّكَ وَ تَبَتَّلْ إِلَيْهِ تَبْتيلاً * رَبُّ الْمَشْرِقِ وَ الْمَغْرِبِ لا إِلهَ إِلاَّ هُوَ فَاتَّخِذْهُ وَكيلا

আপনি আপনার পালনকর্তার নাম স্মরণ করুন এবং একাগ্রচিত্তে তাতে মগ্ন হন! তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের পালনকর্তা। তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। অতএব তাঁকেই গ্রহণ করুন, কর্ম বিধায়করূপে।

(সুরা: মুজ্জাম্মেল, ৮-৯।)

 

২- সব সময় দোয়া অব্যাহত রাখা

সব সময়ই দোয়া চালু রাখতে হবে। দোয়া করার কারণে কখনও ক্লান্ত হওয়া যাবে না। বিপদ আশার পরই শুধুমাত্র দোয়ার জন্যে হাত না তুলে, বিপদ আশার পূর্বেও দোয়া করতে হবে। আমাদের জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহই সব কিছুর মালিক। তিনি যেকোনো সময় যেকোনোভাবেই নেয়ামত দিতে পারেন। অনুরূপভাবে আমাদের কাজের ফলস্বরূপ কেড়েও নিতে পারেন।

 

وَ إِذا مَسَّ الْإِنْسانَ الضُّرُّ دَعانا لِجَنْبِهِ أَوْ قاعِداً أَوْ قائِماً فَلَمَّا كَشَفْنا عَنْهُ ضُرَّهُ مَرَّ كَأَنْ لَمْ يَدْعُنا إِلى‏ ضُرٍّ مَسَّهُ كَذلِكَ زُيِّنَ لِلْمُسْرِفينَ ما كانُوا يَعْمَلُونَ

(আর স্মরণ কর সে সময়ের কথা) যখন মানুষ কষ্টের সম্মুখীন হয়; তখন শুয়ে, বসে অথবা দাঁড়িয়ে আমাকে ডাকতে থাকে। তারপর আমি যখন তার থেকে কষ্টকে দূর করে দেই, তখন মনে হয়, কখনও কোনো কষ্টের সম্মুখীন হয়ে যেন সে আমাকে ডাকেইনি! সীমালংঘনকারীদের কার্যকলাপ তাদের নিকট এরূপই পছন্দনীয় মনে হয়।

(সুরা: ইউনুস, ১২।)

 

ইমাম সাদিক (আঃ) বলেন: যেব্যক্তি বিপদ আসার পূর্বেই দোয়া করে, বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হয় এবং ফেরেস্তারা বলেন, 'এটা পরিচিত কণ্ঠ, বিধায় আসমানে পৌঁছতে বাধাপ্রাপ্ত হবে না'। পক্ষান্তরে যেব্যক্তি বিপদ আসার পূর্ব থেকে দোয়া করে না, বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হয় না এবং ফেরেস্তারা বলেন, 'এ কণ্ঠ আমরা চিনি না'!

(আল্‌ কাফি, খঃ ২, পৃঃ ৪৭২।)

 

৩- ইমান ও সৎকর্ম

দোয়া কবুল হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হচ্ছে ইমান ও সৎকর্মের মাধ্যমে দোয়া করতে হবে।

وَ يَسْتَجيبُ الَّذينَ آمَنُوا وَ عَمِلُوا الصَّالِحاتِ وَ يَزيدُهُمْ مِنْ فَضْلِهِ وَ الْكافِرُونَ لَهُمْ عَذابٌ شَديدٌ

তিনি মোমিন ও সৎকর্মশীলদের দোয়া শোনেন এবং তাদের প্রতি স্বীয় অনুগ্রহ বাড়িয়ে দেন। আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।

(সুরা: শুরা, ২৬।)

 

আল্লাহ তাআলা পরহেজগারদের দোয়া কবুল করে থাকেন:

إِنَّما يَتَقَبَّلُ اللَّهُ مِنَ الْمُتَّقينَ

আল্লাহ্‌ শুধুমাত্র পরহেজগারদের আমল কবুল করে থাকেন।

(সুরা: আল্‌ মায়েদা, ২৭।)

 

সৎকর্ম ব্যতীত ইমান, ফলবিহিন বৃক্ষের ন্যায়। আল্লাহর করুণা পাওয়ার জন্যে শুধু ইমানই যথেষ্ট নয় বরং তার সহিত সৎকর্মেরও প্রয়োজন আছে। যেমন আল্লাহপাক বলেন:

الَّذينَ آمَنُوا وَ عَمِلُوا الصَّالِحاتِ فَلَهُمْ أَجْرٌ غَيْرُ مَمْنُون ‏  

যারা ইমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে তাদের জন্যে রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার।

(সুরা: ত্বিন, ৬।)

 

৪- এখলাস

ইখলাসের সহিত দোয়া করা অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও নিকট আশা না রাখা। শুধুমাত্র তাঁর প্রতি তাওয়াক্কুল করা বা ভরসা রাখা। কোরআন শরিফে এরশাদ হচ্ছে:

هُوَ الْحَيُّ لا إِلهَ إِلاَّ هُوَ فَادْعُوهُ مُخْلِصينَ لَهُ الدِّينَ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعالَمين ‏

তিনি চিরঞ্জীব। তিনি ব্যাতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তাঁকেই ডাক তাঁর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে। সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহরই জন্যে।

(সুরা: আল্‌ মু'মিন, ৬৫।)

 

৫- আল্লাহ্‌ পরিচিতি

আল্লাহর সঠিক পরিচিতি অর্জন করা আমাদের সবার জন্যে আবশ্যক। যেব্যক্তি যত গভীরভাবে আল্লাহর পরিচিত অর্জন করবেন তার একনিষ্ঠতা, এবাদত ও আধ্যাত্মিকতা তত উন্নতমানের হবে এবং দোয়া কবুলে প্রভাব ফেলবে।

وَ إِذا سَأَلَكَ عِبادي عَنِّي فَإِنِّي قَريبٌ أُجيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذا دَعانِ فَلْيَسْتَجيبُوا لي‏ وَ لْيُؤْمِنُوا بي‏ لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُون ‏

আর আমার বান্দারা যখন আমার ব্যাপারে আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, তখন (আপনি বলুন) আমি তো নিকটেই রয়েছি। প্রার্থনাকারী যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে তখন আমি তাদের প্রার্থনা কবুল করি। কাজেই আমার ডাকে সাড়া দেওয়া এবং আমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা তাদের উচিত। আশা করা যায় (এর মাধ্যমে) তারা সৎপথ পাবে।

(সুরা: আল্‌ বাকারা, ১৮৬।)

 

হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন: যদি তোমরা আল্লাহর পবিত্র সত্ত্বার সঠিক পরিচিতি অর্জন করতে পার, তাহলে দোয়ার মাধ্যমে পাহাড়ও সরিয়ে দিতে পারবে!

(বিহারুল আনওয়ার, খঃ ৯০, পৃঃ ৩২৩।)

 

৬- ইস্তিগফার (ক্ষমাপ্রার্থনা)

দোয়ার সময় প্রকৃতভাবে ইস্তিগফার এবং ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আমি আর কখনও গুনাহর কাজে লিপ্ত হব না!

 

৭- অসহায়ত্ব

যখন সাহায্যের সব দরজা বন্ধ হয়ে যায় এবং কোনো উপায় থাকেনা তখন একমাত্র আল্লাহ তাআলা পারেন নিজ বান্দার যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে। আর এমন অবস্থায় একনিষ্ঠভাবে দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা কবুল করে থাকেন। আল্লাহপাক বলেন:

أمَّنْ يُجيبُ الْمُضْطَرَّ إِذا دَعاهُ وَ يَكْشِفُ السُّوء

বরং তিনি, যিনি আর্তের ডাকে সাড়া দেন, যখন সে তাঁকে ডাকে এবং কষ্ট দূর করেন।

(সুরা: আন্‌ নমল, ৬২।)

 

৮- অসিলা গ্রহণ করা

দোয়ার সময় নবি, ইমাম এবং অলিগণকে (আঃ) অসিলা করে, আল্লাহর নিকট দোয়া করলে তাড়াতাড়ি কবুল হয়। আল্লাহপাক নির্দেশ দিচ্ছেন:     

يا أَيُّهَا الَّذينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَ ابْتَغُوا إِلَيْهِ الْوَسيلَةَ وَ جاهِدُوا في‏ سَبيلِهِ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُون

হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাঁর নৈকট্য লাভের জন্যে অসিলা অনুসন্ধান কর এবং তাঁর পথে জেহাদ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।

(সুরা: আল্‌ মায়েদা, ৩৫।)

 

'অসিলা' শব্দের অর্থ সংযোগ স্থাপন করা। অসিলা সেই বস্তুকে বলা হয়, যা একজনকে অপরজনের সহিত আগ্রহ ও সম্প্রীতি সহকারে সংযুক্ত করে দেয়।

 

অসিলা শব্দটির সম্পর্ক আল্লাহর সহিত হলে, সেই বস্তুকে অসিলা বলা হবে, যা বান্দাকে আগ্রহ ও মহব্বত সহকারে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয়।

 

অতএব যেবস্তু আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের মাধ্যম হয়, তাই মানুষের জন্যে আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার অসিলা। ইমান ও সৎকর্ম যেমন এর অন্তর্ভুক্ত তেমনি পয়গাম্বর (আঃ) ও সৎকর্মশিলদের সংস্পর্শ এবং মহব্বতও এর অন্তর্ভুক্ত। কেননা, এগুলোও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায়। এ কারণেই তাঁদেরকে অসিলা করে আল্লাহর দরবারে দোয়া করা জায়েজ। দুর্ভিক্ষের সময় হজরত উমর হজরত আব্বাসকে (রাঃ) অসিলা করে বৃষ্টির জন্যে দোয়া করেন এবং আল্লাহ তাআলা তা কবুল করেন।

(তাফসিরে মাআরেফুল কোরআন, পৃঃ ৩২৬-৩২৭।)

 

এ ছাড়া কোরআনের অন্যান্য আয়াতেও অসিলা গ্রহণ সম্পর্কে এসেছে যা প্রমাণ করে যে, অসিলা গ্রহণ করা তওহিদের পরিপন্থি নয় বরং তওহিদের দাবী।

وَ ما أَرْسَلْنا مِنْ رَسُولٍ إِلاَّ لِيُطاعَ بِإِذْنِ اللَّهِ وَ لَوْ أَنَّهُمْ إِذْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ جاؤُكَ فَاسْتَغْفَرُوا اللَّهَ وَ اسْتَغْفَرَ لَهُمُ الرَّسُولُ لَوَجَدُوا اللَّهَ تَوَّاباً رَحيماً.

আমি একমাত্র এই উদ্দেশ্যেই রসুল প্রেরণ করেছি, যাতে আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী তাঁর আদেশ-নিষেধ মান্য করা হয়। আর যখন তারা নিজেদের প্রতি জুলুম করে তখন আপনার কাছে আসলে ও আল্লাহর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করলে এবং রসুলও তাদের জন্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করলে, অবশ্যই তারা আল্লাহকে ক্ষমাকারী ও মেহেরবানরূপে পাবে।

(সুরা: আন্‌ নিসা, ৬৪।)

 

হজরত ইউসুফের (আঃ) ভায়েরা যখন স্বীয় ভুল বুঝতে পারল তখন তাদের পিতা হজরত ইয়াকুবের (আঃ) নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করার আবেদন করলে তিনি তাদের জন্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।

 

قالوا يا أَبانَا اسْتَغْفِرْ لَنا ذُنُوبَنا إِنَّا كُنَّا خاطِئين * قالَ سَوْفَ أَسْتَغْفِرُ لَكُمْ رَبِّي إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحيم.

তারা বল্ল, 'হে আমাদের পিতা! আপনি আমাদের গুণাহ্‌গুলি মোচনের জন্যে দোয়া করেন; নিশ্চয় আমরা অপরাধী।' তিনি (ইয়াকুব আঃ) বল্লেন, 'অতি শীঘ্রই আমি আমার প্রতিপালকের নিকট তোমাদের জন্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করব। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

(সুরা: ইউসুফ, ৯৭-৯৮।)

 

উল্লেখ্য যে, অসিলার ব্যাপক পরিধি রয়েছে। যেমন: আল্লাহ্‌ ও রসুলের (সাঃ) প্রতি ইমান, জিহাদ, নামাজ, রোজা, জাকাত, কাবা শরিফ, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা, আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করাসহ যেকোন ভাল কাজই অসিলার অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

আহলে সুন্নতের প্রসিদ্ধ ইসলামি চিন্তাবীদ মরহুম সামহুদি লেখেন: হজরত মুহাম্মদকে (সাঃ) এবং তাঁর পদমর্যাদা ও ব্যক্তিত্বকে অসিলা করে; তাঁর জন্মের পূর্বে, জীবদ্দশায়, অফাতের পর, বারজাখে (কবরের জগতে) এবং কিয়ামত দিবসে সাহায্য চাওয়া জায়েজ। অতঃপর তিনি (সামহুদি) হজরত আদম (আঃ) 'হজরত মুহাম্মদকে (সাঃ)' অসিলা করে দোয়া করা সম্পর্কিত হাদিসটি উল্লেখ করেন যা হজরত উমর ইবনে খাত্তাব হতে বর্ণিত।

 

يا رب اسئلك بحق محمد لما غفرت لى.

হে আমার পালনকর্তা! মুহাম্মদের (সাঃ) অসিলায় আপনার নিকট দরখাস্ত করছি যাতে আমাকে ক্ষমা করেন।

(ওয়াফা উল ওয়াফা, খঃ ৩, পৃঃ ১৩৭১।)

 

অতঃপর তিনি (সামহুদি) মুহাদ্দিস তিরমিযি ও নাসায়ি'র রবাত দিয়ে নিম্নোক্ত হাদিসটি উল্লেখ করেন:

জনৈক অন্ধব্যক্তি রসুলের (সাঃ) নিকট রোগমুক্তির জন্যে দোয়ার আবেদন করলে, তিনি সে ব্যক্তিকে নিম্নোক্তভাবে দোয়া করতে বলেন:

اللهم انى اسئلك و اتوجه اليك بنبيك محمد نبى الرحمة يا محمد انى توجهت بك الى ربى فى حاجتى لتقضى لى اللهم شفعه فى ‏

হে আল্লাহ! আপনার রহমতের নবি মুহাম্মদকে (সাঃ) আমি অসিলা করে আপনার কাছে দরখাস্ত করছি। হে মুহাম্মদ! আপনার অসিলায় আমার প্রয়োজন পূরণের জন্যে, আমার পালনকর্তার দিকে মুখ ফিরিয়েছি। হে আল্লাহ! আমার ব্যাপারে তাঁকে শাফায়াতকারী হিসাবে কবুল কর।

(ওয়াফা উল ওয়াফা, খঃ ৩, পৃঃ ১৩৭২।)

 

একই আলোচনার সূত্র ধরে জনাব সামহুদি, 'রসুলের (সাঃ) ইন্তেকালের পর তাঁকে অসিলা করা জায়েজ' উল্লেখ করে নিম্নোক্ত হাদিসটি উপস্থাপন করেন:

 

হজরত উসমানের খেলাফতকালে জনৈক ব্যক্তি রসুলের (সাঃ) রওজার নিকট এসে নামাজ আদায় করেন। অতঃপর স্বীয় অভাব পূরণের জন্যে নিম্নোক্তভাবে দোয়া করেন:

اللهم انى اسئلك و اتوجه اليك بنبينا محمد صلی الله علیه و اله و سلم نبى الرحمة، يا محمد انى اتوجه بك الى ربك ان تقضى حاجتى

হে আল্লাহ! আমি আমাদের রহমতের নবি মুহাম্মদের (সাঃ) অসিলায় তোমার অভিমুখে মুখ করেছি এবং আবেদন করছি। হে মুহাম্মদ! (সাঃ) আমি আপনাকে অসিলা করে আপনার প্রভুর নিকট দরখাস্ত করছি যেন আমার অভাব পূরণ হয়। এ দোয়ার পরেই সে ব্যক্তির অভাব পূরণ হয়।

(ওয়াফা উল ওয়াফা, খঃ ৩, পৃঃ ১৩৭৩।)

 

বায়হাকি বর্ণনা করেন: দ্বিতীয় খলিফার খিলাফতের সময় একবছর চরম দুর্ভিক্ষ নেমে আসে। হজরত বেলাল (রাঃ) কিছু সংখ্যক সাহাবাকে সঙ্গে নিয়ে মহানবির রওজায় আসেন এবং নিম্নোক্তরূপে দোয়া করেন:

يا رسول اللَّه استسق لامتك ... فانهم قد هلكوا

ইয়া রসুলাল্লাহ! আপনার উম্মতের জন্যে, আপনার প্রভুর নিকট বৃষ্টির আবেদন করুন ... তাছাড়া আপনার উম্মত ধ্বংস হয়ে যাবে।

(আত্‌ তাওয়াস্‌সুল, পৃঃ ২৫৩।)

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন