পবিত্র রাগের আহবান

পবিত্র রাগের আহবান

 বিসমিল্লা হিররাহ মানিররাহিম

 www.9ktenews.com

পবিত্র রাগের আহবান

وَمَن يَخْرُجْ مِن بَيْتِهِ مُهَاجِرًا إِلَى اللّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ يُدْرِكْهُ الْمَوْتُ فَقَدْ وَقَعَ أَجْرُهُ عَلى اللّهِ 

 যে কেউ নিজ গৃহ থেকে বের হয় আল্লাহ ও রসূলের প্রতি হিজরত করার উদ্দেশে, অতঃপর মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তবে তার সওয়াব আল্লাহর কাছে অবধারিত হয়ে যায়। (সুরা নিসা, আয়াত নং ১০০।)

 

সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য, দরূদ ও সালাম প্রেরণ করছি সকল নবিগণের প্রতি এবং আমাদের যুগের ইমাম হজরত মেহদি (আঃ) এর প্রতি।

    জ্ঞাণী ব্যক্তিগণের প্রতি যে নিয়ামত দান করা  হয়েছে ও হবে,  তার শুকরিয়া আদায় করতে কলম ও ভাষা অপারোগ। আল্লাহর অসংখ্য শুকরিয়া আদায় করি যে তিনি আমাদেরকে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উম্মত, সকল সৃষ্টির মাঝে শ্রেষ্ঠ এবং কোরআন মজিদের অনুসারী হিসেবে প্রেরণ করেছেন।

    কোরআন মজিদ হচ্ছে সকল আসমানী কিতাবসমূহের মাঝে শ্রেষ্ঠ কিতাব এবং এ পবিত্র কিতাবকে মানুষ ও জিন জাতির সকল প্রকার ক্ষতি হতে হেফাজত করা হয়েছে। এটা এমন কোরআন যে এতে এক অক্ষর কমও হয়নি এবং এক অক্ষর বেশিও হয়নি। কোরআন শরিফ এমন সমৃদ্ধ কিতাব যে, তা আমাদেরকে অবগত করেছে যে, যুগে যুগে নবিগণ অত্যাচারীদের সাথে কেমন ব্যবহার করেছেন এবং আখেরী নবি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মাধ্যমেও আমরা মুশরেকদের সম্পর্কে, কাফেরদের সম্পর্কে ও মোনাফেকদের সম্পর্কে অবগত হয়েছি। রাসুলে আকরাম (সাঃ) এ দাম্ভীক শক্তিগুলোর সাথে যে ব্যবহার করেছেন তাদের সাথে আমরাও ঐ একই ব্যবহার করব। এ চিরন্তন গ্রন্থে বলা হচ্ছেঃ

«قُلْ إِن کَانَ آبَاؤُکُمْ وَأَبْنَآؤُکُمْ وَإِخْوَانُکُمْ وَأَزْوَاجُکُمْ وَعَشِیرَتُکُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ کَسَادَهَا وَمَسَاکِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَیْکُم مِّنَ اللّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِی سَبِیلِهِ فَتَرَبَّصُواْ حَتَّى یَأْتِیَ اللّهُ بِأَمْرِهِ وَاللّهُ لاَ یَهْدِی الْقَوْمَ الْفَاسِقِینَ».

বল, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা যা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্থান-যাকে তোমরা পছন্দ কর-আল্লাহ, তাঁর রসূল ও তাঁর রাহে জেহাদ করা থেকে অধিক প্রিয় হয়, তবে অপেক্ষা কর, আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত, আর আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না। (সুরা তাওবা, আয়াত নং ২৪।)

এখানে সুযোগ সন্ধানী লোকদেরকে সাবধান করে দিয়ে বলা হচ্ছে যে ইসলাম রক্ষার জন্য ধন-সম্পত্তি ব্যয় ও শাহাদাত বরণসহ সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। উল্লেখ্য যে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ভালবাসার বিষয়টি উল্লেখ করার পরই আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার বিষয়টির উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে স্মরণ করে দেয়া হয়েছে যে ইসলামের বিধানগুলোর মাঝে জিহাদের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। কেননা জিহাদ ইসলামের মূল ভিত্তিকে টিকিয়ে রাখে। এটাও স্মরণ করে দিয়েছেন যে যদি জিহাদে অবতীর্ণ হও তাহলে তার পরিনামও স্বীকার করে নেয়ার জন্য প্রস্তত থাকতে হবে। যেমনঃ বন্দি হয়া, অসম্মানিত হয়া, নিহিত হয়া, সন্তান-সন্ততি হারান ইত্যাদি। এটা স্পষ্ট যে জিহাদে এ ধরণের পরিণতি রয়েছে, বিশেষ করে প্রতিরক্ষামূলক জিহাদে; বর্তমানে আমরা যার স্বীকার হয়েছি।

এর চেয়ে বড় মসিবত আর কি হতে পারে যে, বর্তমানে শত্রুরা ইসলামের মূল ভীত্তিকে অপসারণ করার জন্য সক্রিয় হয়েদছে। তারা তাদের সাথে সহযোগী শাসক প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। যেমনঃ হুসনি মোবারকের মত অত্যাচারী শাসকগুলো। অত্যাচারী শাসকগুলোকে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মুসলমানদের জান ও মালকে লুণ্ঠন করতে চায়। সাম্প্রতিক কালে তারা ইরাক, আফগানিস্তান ও ফিলিস্তিনে এ ধরণের কাজ আঞ্জাম দিয়েছে।

আল্লাহর প্রশংসা ও ইসলামের আহবানে সারা বিশ্ব মুখরিত হয়েছে। ইসলামের আধ্যাত্মিক পতাকা সারা বিশ্বে কম্পন সৃষ্টি করেছে। পথভ্রষ্ট ও অত্যাচারী শক্তিগুলোর কলংকিত চেহারা সকলের নিকত স্পষ্ট হয়েছে। তারা স্বপ্ন দেখেছিল যে ইসলাম নিঃশেষ হয়ে যাবে; কিন্তু তাদের ধারণার বিপরীতে আজ ইসলামের আহবান হোয়াইট হাউজের সামনেও শোনা যাচ্ছে।

বর্তমানে যে পরিস্থিতি ও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। সকল মাজহাবের মাঝে ঐক্য বজায় রাখতে হবে এবং মজলুম জনতাকে একে অপরের সহযোগিতার মাধ্যমে দাম্ভীক শক্তিগুলোকে উতখাত করতে হবে। হজ্জে গমন গমনকৃত হাজিদেরকে মক্কায়, মদিনায়, আরাফাতে, মুজদালেফায় ও মিনায় ‘লব্বাইক ইয়া রাসুলুল্লাহ’ এ শ্লোগান পদিতে হবে।

    হজ্জে মিসিল আকারে ও শ্লোগানের মাধ্যমে মুশরেকদের সাথে বারাআত বা সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়টি ঘোষণা করতে হবে। কেননা এটা তৌহিদের মূল ভীত্তির অন্তর্ভুক্ত এবং বিশেষ করে রাজনৈতিক সচেতনতার জন্য একান্ত জরুরী। সকল দেশের হাজিগণকে সচেতন থাকতে হবে যাতে করে বারাআতের শ্লোগান কোন অবস্থাতে থেমে না যায়। তারা যেন তাদের শহিদগণের রক্তের বদলা ‘লব্বাইক ইয়ারাসুলল্লাহ’ এ শ্লোগানের মাধ্যমে, বালাম বাউরদের নাতিদের নিকট হতে গ্রহণ করে। বিশ্বের দাম্ভীক শক্তিগুলোর নিকট হতে প্রতিষোধ গ্রহণ না করা পর্যন্ত আমাদের আত্মা তৃপ্ত হবে না। এ ছাড়াও হজ্জের প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত ‘আমেরিকা ধংশ হোক’ এ শ্লোগান দ্বারা মুখরিত করব।

    যারা গত কাল মুসলমানদেরকে সাধারণ কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রশ্নের সম্মুখিন করত, আজ তারা রাসুলে আকরাম (সাঃ) কে অবমাননা করে ফিল্ম তৈরীকারীদেরকে নিন্দা জ্ঞাপন করতে শরম পায় এবং নিন্দা জ্ঞাপন করাকে নিয়ামতের অকৃজ্ঞতা স্বরূপ মনে করে। এতে কোন সন্দেহ নেই যে মক্কা ও মদিনায় মুসলমানদেরকে কন্ট্রোল করার মাধ্যমে আমেরিকা ও ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে।

রাসুলে আকরাম (সাঃ)কে অনমাননার বিষয়টি কি কোন মুসলমান মেনে নিতে পারে?

   আমরা ইসলামের শত্রুদের কখনো ক্ষমা করব না। শয়তানদের প্র্র্র্র্পাকান্ডায় কখনোই কান দিব না। এক মূহূও ‘লব্বাইক ইয়া রাসুলুল্লাহ’ ও ‘আমেরিকা ও জয়নবাদ ধ্বংস হোক’ এ শ্লোগানগুলো হতে অলসতা করব না। জননগণের শত্রুরা এর পর আর কখনোই স্বোশ্তি অনুভব করতে পারবে না। তারা ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করবে। তারা তাদের ভাড়াকৃত আলেম ও রাজা বাদশাদের মাধ্যমে ভুল ব্যখ্যা ও অহেতুক যুক্তি উপস্থাপন করবে। মুসলমানদেরকে পরাভুত করার জন্য তারা যে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

    এ অজ্ঞরা মনে করে যে হজ্জে মিছিল করলে ও শ্লোগান দিলে পবিত্র কাবাকে অসম্মান করা হবে। তারা ধারণা করে যে হজ্জ শুধু জিকর ও এবাদতের জন্য। এ পবিত্র স্থানে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদসহ কোন আলোচনা করা যাবে না। কেননা এগুলো হচ্ছে দুনিয়াদারী কাজ।

    আমরা আমাদের সমস্ত সামর্থ নিয়ে আলল্লাহর দ্বীনকে রক্ষা করার জন্য এবং মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য উঠে দাড়াব। আমরা আমাদের প্রতিরক্ষা ও সংগ্রামের কাতারকে শক্তিশালী করব। এ অজ্ঞ, নির্বোধ ও শয়তানের অনুসারীদেরকে মুসলমানদের বিশ্বাস ও সম্মানের প্রতি অবমাননা করার আর সুযোগ দেয়া ঠিক হবে না। পৃথিবীর সর্বস্থান হতে, বিশেষ করে কাবা হতে আলল্লাহর দলে যোগ দেয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি। আমাদের সর্বশেষ লক্ষ্য উদ্দেশ্যে না পৌছা পর্যন্ত শহিদগণের স্মরণ ও ‘লব্বাইক ইয়া রাসুলুল্লাহ’ এ শ্লোগান অব্বাহত রাখব।

    আমরা যেন হজরত ইমাম হুসাইন (আঃ) এর ন্যায় হজ্জের এহরামকে যুদ্ধের পোষাকে পরিবর্তন করি। কাবা ও হারাম শরিফকে তাওয়াফের পরিবর্তে বায়তুল্লার মালিককে যেন তাওয়াফ করি। জমজমের পানি দ্বারা গোসলের পরিবর্তে শাহাদতের দিকে যেন অগ্রসর হই এবং মুসলিম উম্মাহকে অপরজিত শক্তিতে পরিণত করি। যাতে করে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের কেউ যেন মুসলিম উম্মাহর মোকাবিলা করতে না পারে। অবশ্যই হজ্জের প্রকৃত শিক্ষা এটা ব্যতিত আর কিছুই নয়। আমরা হজ্জে যেভাবে নফসের সাথে জিহাদ অব্যাহত রাখব সেভাবে কুফর ও শিরকের সাথেও জিহাদ অব্যাহত রাখব।

 মুশরেকদের সাথে সম্পর্কছেদ ঘোষণা করা, সংগ্রাম অব্যাহত রাখায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া এবং কুফর ও শিরকের সাথে সংগ্রাম অব্যাহত রাখায় সংগ্রামীদেরকে ঐক্যবদ্ধ করার স্থান হচ্ছে হজ্জ। এ ক্ষেত্রে শুধু শ্লোগান দিলেই চলবেনা বরং বাস্তবতায় পরিবর্তন কতে হবে। শয়তানি শক্তির বিরুদ্ধে হিবুল্লাহর গঠন করতে হবে। আমরা অবশ্যই আল্লাহর ঘর কাবাতে আল্লাহর শত্রুদের সাথে সম্পর্কছেদের বিষয়টি ঘোষণা করব।

যারা আল্লাহর একত্তবাদ ও মহানবি (সাঃ) এর পবিত্রতা রক্ষার জন্য জিহাদ করে তাদের নিরাপত্তার স্থান যদি হারাম, কাবা, মসজিদ ও মেহরাব না হয়, তাহলে তাদের নিরাপত্তার স্থাব কোথায় হবে?

মক্কা ও মদিনাসহ সকল দেশের প্রাথমিক কাজ হলো আমেরিকা ও তার সহযোগী দেশগুলোর সাথে সম্পর্কছেদ করা এবং মুসলিম উম্মাহর পূর্ণ বিজয় আসা পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখা। প্রত্যেক স্থান ও কালের চাহিদা অনুযায়ী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আজ কাফের ও মুশরেকরা তৌহিদসহ ইসলামের সকল সংস্কৃতিকে তাদের কুচক্রের স্বীকার করেছে। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

  ইসলাম ও মুসলমনদের প্রতি অবমাননার পর চুপ করে ঘরে বসে থাকা কি ঠিক? শয়তানী ষড়যন্ত্রকারীদের আর কত দিন প্রশ্রয় দেয়া যেতে পারে? নবিগণ কি শুধু মাটি ও পাথরের তৈরী মূর্তিগুলোকে ভাংগার জন্য আগমন করেছিলেন, না তাগুতি শক্তিগুলোকে দুনিয়া হতে বিদায় করার জন্য? হজরত ইব্রাহিম (আঃ) যেভাবে মূর্তিগুলো ভেংগেছিলেন, সেভাবে নুমরুদের অপশক্তির বিরুদ্ধেও কিয়াম করেছিলেন।

বর্তমানে কোন সচেতন ব্যক্তি নতুন ও আধুনিক পদ্ধতির মূর্তিপূজা সম্পর্কে  অবগত নয়? আজকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মূর্তিখানা হচ্ছে হোয়াইট হাউজ। হোয়াইট হাউজ সারা বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর ওপর কালো ছায়া সৃষ্টি করেছে। তাদের নিকট  মুসলমানদের রক্ত ও সম্মানের কোন মূল্য নেই।

আজ ‘লব্বাইক ইয়া রাসুলুল্লাহ’ তাদের শ্লোগান; যারা কাফের ও মুশরেকদের বিরোধিতা করে। যারা দাম্ভীক শক্তিগুলোর মাধ্যমে অত্যাচারিত হয়েছে। যারা আমেরিকা ও তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে অসহনীয় অত্যাচার ভোগ করেছে। যাদের অর্থ সম্পদ ও ঘর বাড়ি বিলিন হয়েছে।

আজ ‘লব্বাইক ইয়া রাসুলুল্লাহ’ আমাদের এ শ্লোগান হচ্ছে, অত্যাচারিত আফগানিস্তান, ইরাক, ফিলিস্তিন, লেবানোন, মিয়ানমার ও সকল মজলুম জনতার জন্য।

আমেরিকা মিথ্যা বাহানার মাধ্যমে, ইরাক ও আফগানিস্তানে হামলা করেছে। একাধিক বার মহানবি হজরত মুহাম্মালদ (সাঃ) ও মুসলমানদের প্রতি অবমাননা করেছে। ইনসাল্লাহ  আমরা এর উচিত প্রতিশোধ গ্রহণ না করা পর্যন্ত খ্যান্ত হব না।

নবি (সাঃ) কে অবমাননার প্রতিবাদকারীদেরকে এবং ‘লব্বাইক ইয়া রাসুলুল্লাহ’ এ শ্লোগানদানকারীদের শ্লোগানকে বন্দুকের গুলির মাধ্যমে থামিয়ে দেয়া হচ্ছে।

হোলোকাষ্ঠ সম্পর্কে মন্তব্য করা অপরাধ; কিন্তু সর্ব শ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) কে অবমাননা করে ফিল্ম নির্মাণ করা হচ্ছে স্বাধীনতার অন্তর্ভুক্ত।

     এখান থেকেই বুঝা যায় যে মানবাধিকারের নামে শ্লোগান দিয়ে, মুসলমানদের ধোকা দিতে চায় এবং তাদের দিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে।

    বার বার মুসলমানরা বলেছে এবং আবারো স্মরন করিয়ে দিচ্ছে যে মুসলিম জাতির ওপর হস্তক্ষেপ করবেন না। মুসলমানরা তাদের নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই  নির্ধারণ করবে। আফগানিস্তান ও ইরাকসহ অন্যান্য দেশগুলো তাদের নীতি নিজেরাই  নির্ধারণ করবে এবং তারা তাদের স্বাধীনতা রক্ষা করবে। এ ক্ষেত্রে আমেরিকার হস্তক্ষের কোন প্রয়োজন নেই। তাদের দেশ থেকে বিদেশী সেনাবাহিনী বের হয়ে যাওয়ার পর, তারা আর কোন পরাশক্তিকে অবশ্যই মেনে নিনে না। আবারো যদি আমেরিকা তাদের দেশে প্রভাব খাটানোর চেস্টা করে তাহলে তারা তাদেরকে দাঁত ভাংগা জবাব দিবে।

      আমাদের বারাআত ও ‘লব্বাইক ইয়া রাসুলুল্লাহ’ শ্লোগান হচ্ছে আফ্রিকার মজলুম মুসলমানদের শ্লোগান। আফ্রিকার দ্বীনি ভাই বোনদেরকে তাদের চামড়া কালো হওয়ার কারণে হিংস্র্র্র্র্ ও বর্ণবাদ শক্তিগুলো তাদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালাচ্ছে।

      আমাদের বারাআত ও ‘লব্বাইক ইয়া রাসুলুল্লাহ’ শ্লোগান হচ্ছে লেবানন ও ফিলিস্তিনসহ অন্যান্য জাতি ও দেশগুলোর শ্লোগান যাদের ওপর অপশক্তির ছায়া প্রভাব বিস্তার করেছে। বিশেষ করে আমেরিকা ও ইসরাইলের লোভনীয় দৃষ্টি তাদের সম্পদের ওপর পড়েছে। তারা তাদের জাতিয় সম্পদ লুটে নিয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার কিলোমিটার দূর থেকে এসে এই দেশগুলোর ওপর হামলা করেছে এবং যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে। তারা বিভিন্ন দেশকে দখল করে নিজেদের চাকরদেরকে ক্ষমতায় বসিয়ে রেখেছে।

    আমাদের বারাআত ও ‘লব্বাইক ইয়া রাসুলুল্লাহ’ শ্লোগান হচ্ছে তাদের শ্লোগান, যারা আর আমেরিকার উপস্থিতি সহ্য করার ধৈর্য রাখে না। তারা আর চায় না যে তাদের সহ্য ধৈর্য বেশি হোক। তারা চায় স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করতে ও স্বাধীনভাবে মরতে।

    আমাদের বারাআত ও ‘লব্বাইক ইয়ারাসুলল্লাহ’ শ্লোগানের অর্থ হচ্ছে; দ্বীন ও ইসলামি আদর্শকে হেফাজত করা এবং ঐ দূর্বল জাতিদেকে রক্ষা করা যাদের আত্মার ওপর কুফর ও শিরকের তরবারী চালানো হয়েছে।

    আমাদের বারাআত ও ‘লব্বাইক ইয়ারাসুলল্লাহ’ শ্লোগান হচ্ছে, দরিদ্র, ক্ষুধার্থ, বঞ্চিত ও সর্বহারা লোকদের জন্য; যাদের রক্ত পানি করে রোজগার করা রুজি আন্তর্জাতিক চোরেরা লুটে নিয়ে যায়। লোভী সমাজবাদ, কমিউনিস্ট ও পুজিবাদরা দরিদ্র কৃষক ও কর্মজিবীদের কষ্টে আয় করা সম্পদ চুষে নিয়ে যায়। তারা প্রথিবীর বঞ্চিত মানুসষকে সামান্য অধিকার হতেও দূরে রাখে।

    আমাদের বারাআত ও ‘লব্বাইক ইয়ারাসুলল্লাহ’ শ্লোগান হচ্ছে; ঐসব উম্মতের জন্য যাদের অপর দাম্ভীক শক্তিগুলো আগ্রাসন চালায়। তারা তাদের গোলাবারুদ কোরান ও আহলে বাইতের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করে।

আমরা উম্মতে মুহাম্মাদী আশুরা হতে শিক্ষা গ্রহণ করেছি। আমরা ইমাম মেহেদীর অপেক্ষায় রয়েছি। সুতরাং অপমান সম্পন্ন জীবনের চেয়ে সম্মানের সহিত মৃত্যু আমাদের নিকট উত্তম। আফসোস এ নামধরী উম্মতের জন্য, আমরা বেচে থকতে যদি রাসুল (সাঃ) ও কোরানের প্রতি অসম্মান হয় তাহলে আমাদের বেচে থেকে কিলাভ?

 

আমরা আমাদের রক্ত ও জান মুসলমানদের ন্যজ্য হক আদায় করতে বিষর্জন দিতে রাজি আছি। আমরা শাহাদতের অপেক্ষায় রয়েছি। অত্যাচারিরা যেন মনে রাখ, প্রথিবীতে যদি একজন মুসলমানও অবশিষ্ট থাকে তবুও সে একাই কুফর ও শিরকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। আল্লাহর সহযোহিতায় ইসলামি সেনাবাহিনী নিরিহ ও অত্যাচারীদের হক আদায়ের জন্য জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। দাম্ভীক শক্তিগুলোর আরামের ঘুম হারাম করে দিবে।

‘লব্বাইক ইয়ারাসুলল্লাহ’ এ শ্লোগান মুসলমানদের ইসলামি বিপ্লের মূল শ্লোগান ছিল ও থাকবে। আল্লাহর কৃপায় ইসলামি আদর্শ খুব তাড়াতাড়ি সারা বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করবে। মুসলিম বিশ্ব কখনোই ইউরোপ ও আমেরিকার সাথে আপোস করবে না। দাম্ভীক শক্তিগলো কখনোই যেন মনে না করে যে মুসলমানরা ‘লব্বাইক ইয়ারাসুলল্লাহ’ এ শ্লোগান কিছু দিন  পর ভুলে যাবে; বরং এ শ্লোগানে সারা বিশ্ব সর্বদা মুখরিত হতে থাকবে।

আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলোনের মাধ্যমে ইসলামি দেশগুলো হতে অপশক্তিকে বিতাড়িত করব। শয়তানি শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম সর্বদা অব্যাহত থকবে। দাম্ভীক শক্তিগুলোকে সুযোগ দেওয়া হবে না যে, তারা মুসলিম দেশগুলোর সম্পদ ব্যাবহারের মাধ্যমে মুসলমাদের ওপর আক্রমন করবে। এটা অত্যান্ত দুঃখ জনক বিষয় যে কিছু কিছু মুসলিম দেশের প্রধানরা পরাশক্তিগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছে এবং প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ করে দিয়েছে। আর এর মাধ্যমেই তারা বায়তুল্লাহিল হারামের হাজিদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

আমরা মুসলমানরা ভূয়া হুমকিকে কখনোই ভয় পাই না। দাম্ভীক শক্তিগুলোর রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি হচ্ছে মাকড়শার বাসার ন্যয় এবং ধবংশের পথে রয়েছে। আমরা মুসলিম দেশের আত্মভুলা প্রধানগুলোকে সংশোধন করতে চাই। তাদেরকে নসিহতের মাধ্যমে ঘুম থেকে জাগাতে চাই; যাতে করে তারা মুসলিম জাতির সম্পদগুলো ধবংশ না করে। আমরা মুনাফেক ও দালালদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে অবগত রয়েছি। আমরা চুপ করে বসে থেকে ইসলামের পরাজয় ও মুসলমানদের সম্পদের অচয় দেখব না; বরং এর উচিত ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।

আমরা পরা শক্তির প্রতি নির্ভরশীল শাসকগুলোকে স্বনির্ভর হওয়ার আহবান জানাই। যদি তারা আমাদের আহবানে সাড়া না দেয় তাহলে এর ফলাফলের জন্য তারা নিজেরাই দায়ি থাকবে।

এরা হয়তোবা কালের ব্যাধানে জয়নবাদ ইসরাইল, আমেরিকা, বৃটেন ও ফ্রান্সের অত্যাচার ভুলেগেছে এবং হিংস্র ইসরাইলের নীল থেকে ফুরাতের প্রগ্রাম সম্পর্কে তারা অবগত নয়।

আল্লাহর কৃপায় আমরা ইসলামের অনুসরীরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে মুসলিম দেশগলোর মাঝে বিদ্যমান সম্পদ ব্যাবহারের করে হিজবুল্লাহ গঠন করব এবং এর মাধ্যমে মজলুম জনতাকে মুক্তি দানের ব্যবস্থা করব।

আমরা পূর্বে উল্লখ করেছি এবং আবারো সাবধান করে দিচ্ছি যে জয়নবাদ ইসরাইল, ইসলাম ও মুসলমানদের ভয়ানক সত্রু। তারা সুযোগ পেলেই আবারো রাসুল ও কোরানের প্রতি অবমাননা করবে।

আমরা মুসলিম যুবকদেরকে শয়তানী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ার আহবান জানাচ্ছি। ইউরোপ, আফ্রিকা ও আমেরিকার যুবকরা মুসলিম উম্মাহকে সম্মান ও মর্যাদা সম্পন্ন করেছে। আমরা তাদের নিকট কৃতজ্ঞতা প্যকাশ করি। যারাই দাম্ভীক শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করে আমরা তাদের সকলের জন্য সফলতা কামনা করি। আমরা তাদেরকে নিশ্চয়তা দিতে চায় যে অন্যান্য দেশের মুসলমানরা অবশ্যই সহযোগিতা করবে।

আমরা আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে কাজ করব এবং মুসলমানদের মাঝে বিদ্যমান শক্তিসমূহ ব্যাবহার করে সামনে অগ্রসর হব। জন সভা ও মিছিলের মাধ্যমে ইসলামের পবিত্র বিষয়সমূহের প্রতি অবমাননার প্রতিবাদ করব ও নিন্দা জানাব।

          আমরা আমেরিকা ও তার সহযোগীদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করব। দাম্ভীক শক্তিগুলোর প্রভাব খাটানোর দিন শেষ হয়ে আসছে। তারা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য প্রচুর চেষ্টা করেছে। মুসলমানদের ওপর এত নির্যাতন করা সত্তেও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো চুপ করে রয়েছে। তারা মুসলমানদেরকে জংগী হিসেবে পরিচিত করাতে চায়, অথচ প্রতিনিয়ত নিরিহ মুসলমানদের নির্মমভাবে হত্যা করছে। মুসলমানরা  যাতে তাদের ষড়যন্ত্রের স্বীকার না হয়, এ জন্য মক্কায় হজ্জ পালনকারী হাজিগণকে সচেতন করতে হবে।

    দাম্ভীক শক্তিগুলো কখনোই মুসলমানদের সাথে ন্যায়পরায়নতার ভিত্তিতে ব্যাবহার করেনি। সর্বদা তাদের ওপর এমন হত্যা, নির্যাতন ও মানষিক চাপ অব্যাহত রেখেছে, যা ভাষায় পকাশ করা অসম্ভব।

    ফিলিস্তিনে কোন অপরাধের কারণে লাখ লাখ নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ, যুবক ও শিশুদেরকে হত্যা করা হচ্ছে এবং তাদেরকে তাদের নিজস্ব বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে সেগুলো জবর দখল করা হচ্ছে। কোন অপরধের কারণে মুসিলম সম্পদগলো ধংস করা হচ্ছে? আমাদের অপরাধ কি মুসলমান হওয়া?  আমাদের অপরাধ কি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি বিশ্বাস রাখা?  আমাদের অপরাধ কি মুসলিম বিশ্বে আমেরিকার নির্যাতন মেনে না নেয়া?

    আসলে আমাদের প্রকৃত অপরাধ হচ্ছে ইসলামকে ও আল্লাহর হুকুমতকে আল্লাহর জমিনে প্রতিষ্ঠিত করা। আমরা যদি আমাদের জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ঐশি গ্রন্থের পরিবর্তে মানব রচিত মতবাদ গ্রহণ করি তাহলে আমাদের সাথে তাদের কোন বিরোধ থাকবে না।

    আমাদের অপরাধ হচ্ছে হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সুন্নাতকে বাস্তবায়ন করা। কোরানের নিধান অনুযায়ী আমল করা ও মুসলমানদের মাঝে ঐক্য বজায় রাখা।

     দাম্ভীক শক্তিগুলোর নিকট বড় অপরাধ হচ্ছে ইসলাম ও তার শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে কথা বলা এবং মুসলমানদেরকে আত্মমর্যাদাবোধ, সম্মান ও স্বাধীনতার দিকে আহবান করা।

    আমরা জানি যে মহত উদ্দেশ্যকে সফল করতে হলে কঠিন ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। এক্ষেত্রে শহিদ দিতে হবে, কেননা অত্যাচারীরা আমাদেরকে আরামে থাকতে দিবে না। তারা সব ধরণের শক্তি ব্যবহার করে আমাদের ওপর আক্রমন করবে। মুসলমানরা যখন রাসুলে আকরাম (সাঃ)কে অবমাননা করে ফিল্ম তৈরীর বিরোধিরা করেছে তখন তাদের সাথে এ ধরণের ব্যবহার করা হয়েছে। আমেরিকা ইসলামের শক্তিকে অনুধাবন করেছে।

      মুসলমানরা স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করতে চায় ও ন্যায়পরায়নতার শাসন প্রতিষ্ঠা পরতে চায়। পশ্চিমারা চায় যে মুসলিম দেশগুলোতে ইসলামি শাসন ব্যবস্থা যেন প্রতিষ্ঠিত না হয়। এর জন্য তারা তাদের মদদপুষ্ট শাসকদের মাধ্যমে উদ্দেশ্য সফল করছে। তারা তাদের মদদপুষ্ট শাসকদের মাধ্যমে বিপ্লবী জুবকদেরকে কোন ঠাসা করে রাখার চেষ্টা করছে।

    পশ্চিমারা ইরাক ও আফগানিস্তানসহ ইউরোপ, আফ্রিকা ও আমেরিকার ‘লব্বাইক ইয়ারাসুলল্লাহ’ এ শ্লোগান দানকারী জুবকদের রক্ত দ্বারা রাজপথ রঙ্গিন করেছে। দাম্ভীক শক্তিগুলো একে অপরের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে বাক স্বাধীনতার নামে মহানবি (সাঃ) এর প্রতি অবমামাননা করেছে। মুসলমানদেরকে অনুন্নত বলে অভিহিত করেছে এবং ইসলামি আদর্শকে বাকস্বাধীনতার বিরোধী বলে ঘোষণা করেছে। তারা ইসলাম ও মুসলমানদেরকে তাদের অপশক্তির জন্য হুমকির কারণ হিসেবে মনে করে। তারা চায় ইসলামি দেশ ও মুসলিম উম্মাহকে পেছনে ফেলে রাখতে।

    আমরা স্বচোখে দেখছি যে আমেরিকা ও তার সহযোগি দেশগুলো মুসলিম দেশগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ করে ধবংস স্তুপে পরিণত করছে, আর আমাদের কবরস্থানগুলোকে আবাদ করছে। আমেরিকার মদদপুষ্ট সরকারগুলো মহানবি (সাঃ)কে অবমাননার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে বাধা দিচ্ছে। তারা ১৫০ কোটি মুসলমানের আত্মায় আঘাত করেছে, কিন্তু মুসলমানদের এ ব্যাথার কোন মূল্য নেই। তারা আমাদের অনেক যুবককে শহিদ করেছে। কিন্তু আমাদের নিকট হতে ইসলামি অনুভুতি নষ্ট করতে পারেনি।

    পশ্চিমারা সঠিক ইসলামকে ভয় পায়। তারা আতংকে আছে যে ইসলামি জাগরণ তাদের পতনের কারণ হতে পারে। সারা বিশ্বে আমেরিকান দূতাবাসের সামনে, আমেরিকা ও ইসরাইল বিরোধী শ্লোগানের ঝড় উঠেছে। এ বিষয়টি প্রমাণ করে যে আমেরিকা ও ইসরাইল সর্বসাধারণের নিকট ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে।

     পশ্চিমারা সঠিক ইসলামকে ভয় পায়। তারা অতংকে রয়েছে যে ইসলামি জাগরণ তাদের পতনের কারণ হতে পারে। সারা বিশ্বে আমেরিকান দূতাবাসের সামনে আমেরিকা ও ইসরাইল বিরোধি শ্লোগানের ঝড় উঠেছে। এ বিষয়টি প্রমাণ করে যে আমেরিকা ও ইসরাইল  সর্বসাধারণের ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে।

    পশ্চমারা চায় যে মুসলমানেরা পেছনে পড়ে থাক। কেননা তারা জানে যে মুসলমানেরা উন্নতি করলে তারা ক্ষতির স্বীকার হবে। মুসলমানদের সম্পদ লুটে নিয়ে গিয়ে সে সম্পদ দ্বারা গণবিধ্বংশী অস্ত্র তৈরী করে পরবর্তীতে ঐ অস্ত্র দ্বারা মুসলমাদের ওপরই আক্রমন করছে।

    মুসলমানরা যদি যে কোন পরা শক্তির সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় তাহলে তাদেরকে প্রথমে নিজেদের স্বাধীনতাকে বিষর্জন দিতে হবে এবং কোরানের বিধান বাস্তবায়ন হতে দূরে থাকতে হবে।

    আমরা হাজার হাজার শহিদ, বন্দী ও আহতদের বিনিময়ে ইসলাম পেয়েছি। আজ যদি ইসলাম ও রাসুলকে অবমাননার পর চুপ করে বসে থাকি তাহলে কিয়ামতের দিন রাসুলের সামনে কি জবাব দিব।

মুসলিম উম্মাহ ইসলামের পুরোপুরি বিজয়ের অপেক্ষায় রয়েছ। তারা রাসুল (সাঃ) ও ইসলামের প্রতি অবমাননা কোন অবস্থাতেই মেনে নিবে না। তারা এ পথে শহিদ দিয়েছ। আমরা জানি শহিদরাই ইসলামকে বিমা করেছ।

হাজিগণ হজ্জের মহা সম্মেলনে তাদের অভিজ্ঞতাকে একে অপরের নিকট বিনিময় করার মাধ্যমে নিজেদেরকে সুসজ্জিত করবে। সেখানে মুশরেকদের সাথে সম্পর্কছেদ করবে ও ইসলামের শ্লোগান দিবে। হাজিগণকে ইসলামের বিজয় ও তার আহকাম বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

পৃথিবীকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে ইসলামি বুদ্ধিজিবীদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। পুজিবাদ ও কমিউনিজমরা বঞ্চিত লোকদের অধিকার শোসন করেছে।

সকল মুসলমান জানে যে ইসলাম বিজয় হলে অত্যচারী শক্তিগুলো মাটির সাথে মিশে যাবে। ইসলাম সকল বাধা বিপত্তিকে ও সমস্যাকে উপেক্ষা করে পৃথিবীকে জয় করবে। হোয়াইট হাউজের সামনে মুসলমানদের অবস্থান এ বিষয়টিকেই প্রমাণ করে।

মুসলিম উম্মাহর নারী ও পুরুষরা রাসুল (সাঃ) এর প্র্তি অবমাননাকে কেন্দ্র করে যে কাজ আঞ্জাম দিয়েছে, তা নজির বিহীন। এ কাজ এত গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদা সম্পন্ন যে পৃথিবীর কোন কিছু এর সমতুল্য হতে পারে না। মুসলমানরা এর পরিবর্তে অবশ্যই আল্লাহর নিকট হতে উত্তম প্রতিদান গ্রহণ করবে।

আজ হক ও বাতিলের যুদ্ধ শুরু হয়েছ। মুসলমানরা তাদের সবকিছু দিয়ে ইসলামকে ও রাসুলের আদর্শকে রক্ষা করবে। বাতিল শক্তি পৃথিবী হতে বিদায় না নেওয়া পর্যন্ত আমরা সংগ্রাম চালিয়ে যাব। হয় বিজয় হব অথবা শহিদ হব। ইসলামি আদর্শ আল্লাহর জমিনে বাস্তবায়ন করার জন্য সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করব। যেভাবে আমরা মহানবি (সাঃ)কে অবমাননার বিরুদ্ধে দাম্ভীক শক্তিগুলোর মোকাবিলায় সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি, সেভাবে আগামীতেও আল্লাহর সাহায্যে সংগ্রাম চালিয়ে যাব। আমরা সকলে হয় ইসলামের বিজয়ের আনন্দ করব অথবা শহিদ হব।  আমরা বিশ্বাস করি যে আল্লাহর কৃপায় বিজয় হবই।

আমাদেরকে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে যে আমরা কেন আমেরিকা ও তার সহযোগী দেশগুলোর হামলার স্বীকার হয়েছি? কেন আমাদেরকে এ পবিত্র রাস্তায় শহিদ দিতে হয়েছ? দাম্ভীক শক্তিগুলোর মূল উদ্দেশ্য কি? কেন ওহাবীরা তাদের সহযোগিতা করছে?

দাম্ভীক শক্তিগুলো ইসলামের শত্রুদেরকে আধুনিক অস্র দ্বারা সুসজ্জিত করেছে; কিন্তু অপর দিকে ইসলামি দেশকে সর্বজন বিদিত হক প্রদান করতেও অস্বীকার করে। এর পরও আমারা বিশ্বাস করি যে মহান আল্লাহর প্রতি দৃড় ইমান ও ভরসা রাখার মাধ্যমে বিজয় হবই।

আমেরিকা; ইসলাম, কোরান ও রাসুলের প্রতি যে অবমাননা করেছে এবং এর মাধ্যমে ১৫০ কোটিরও বেশি মুসলমানের ধর্মিয় অনুভুতিতে আঘাত করেছে। এর জন্য তারা কি মুসলমানদের নিকট ক্ষমা চাবে?

আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে জ্ঞানী, রাজনীতিবিদ ও উত্তম আদর্শের দাবীদাররা আল্লাহর আয়াতে ও রাসুলের সুন্নাতে তাহরিফ করে সর্বশ্রষ্ঠ মহামানবকে অবমাননা করেছে। তাদের এ উদ্যোগ প্রমাণ করে যে ইসলামের সামনে তাদের বলার কোন কিছু নেই। তারা ইসলামি আদর্শকে নিজেদের ক্ষেত্রে হুমকির কারণ বলে মনে করছে বলেই এ ধরণের কাজ করেছে।

     কোন সচেতন মানুষ কি সব কিছু অনুকুলে থাকতেও ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে বিরত থাকতে পারে? তাদেরকে সুযোগ দিলে তারা আবারও ইসলামের পবিত্র বিষয়গুলোর প্রতি অবমাননা করবে। এত কিছু কুরবানি করার পর ইসলামের শত্রুদের আর সুযোগ দেয়া ঠিক হবে না। সীমিত সময়ের জন্য দুনিয়ার লাঞ্চিত ও সম্মানহীন পদমর্যদার কোন মূল্য রয়েছ?

   মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) কে অনমাননা করার মাধ্যমে ১৫০ কোটি মুসলমানের আত্মাকে ব্যথিত করা হয়েছে। আমরা এ ব্যথা জর্জরিত আত্মা নিয়ে পরনির্ভরশীল শাসকদেরকে, বিশেষ করে আরব দেশগুলোর বাদশাদেরকে জানিয়ে দিতে চায় যে আপনারা রাসুলে আকরাম (সাঃ) কে অবমাননা কারী দেশগুলোর সাথে বিশেষ করে আমেরিকা ও ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করুন। আমরা দাম্ভীক শক্তিগুলোকে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে অহেতুক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে সাবধান করে দিচ্ছি।

    আমরা আমেরিকার জনগণকে প্রশ্ন করতে চায় যে আপনারা কেন রজনৈতিক ও সামরিক নিষয়ের গুরুত্বপুর্ণ সিদ্ধান্ত ওবামার মত ব্যক্তির হাতে অর্পন করেছেন? কেন আপনারা রাজনৈতিক নিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে অপারোগ?

    মুসলমানরা পরনির্ভর সরকারগুলোকে নসিবহত করছে যে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে অবমাননা করে ফিল্ম নির্মণের ব্যাপারে আর যেন, নিরবতা পালন না করে। এ ধরণের নিরবতা তাদেরকে আরো অসম্মানিত করবে। তারা পরাশক্তির ওপর নির্ভরশীল হওয়ার মাধ্যমে নিজেদেরকে দূর্বল ও অসম্মানের পাত্রে পরিণত করবে।

    কেউ যেন খিয়ানকারীদেরকে নিজেদের হেফাজতকারী না বানায়। দাম্ভীক শক্তিগুলো ততক্ষণ সগযোগিতা করবে যতক্ষণ তাদের সার্থ বজায় থাকবে। স্বার্থ শেষ হলে তাদের নিকট বন্ধুত্বের কোন মূল্য থাকবে না। তারা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছে যে, যে কোন অবস্থায় তাদের নিজেদের স্বার্থ গুরুত্বপূর্ণ।

    মুসলিম দেশগুলোতে আমেরিকা ও ইউরোপের এমন কিছু স্বার্থ রয়েছে যে, তারা যে কোন মূল্যে সেখানে প্রভাব বিস্তার করে থাকতে চায়। কোন অবস্থাতেই তারা মুসলিম দেশগুলো থেকে সরে যেতে চায় না। তারা জানে যে মুসলিম দেশগুলোকে শোসন করা ব্যতিত চলতে পারবে না।

    মুসলিম বিশ্বের ক্ষেত্রে আমাদের নীতি একেবারে স্পষ্ট। আমরা মুসলিম বিশ্বে  শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকি। এ ক্ষেত্রে মোকাবিলার সবকিছু থাকার পরও আমারা ধৈর্য ধারণ করে যাচ্ছি। আমরা শুধুমাত্র জনসভা ও মিছিল করার মাধ্যমে প্রতিবাদ করে যাচ্ছি।

    দুনিয়া আজ বুঝতে পেরেছে যে ইসলামের পবিত্র বিষয়গুলোর প্রতি হস্তক্ষেপ করার মাধ্যমে শুধু মুসলমানরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না; বরং বলদর্পী শক্তিগুলো আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

 

 

    ইসলামের দুশমনেরা রাসুল (সাঃ) এর প্রতি অবমাননার উচিত ফলাফল অবশ্যই ভোগ করবে। তারা এর চুরাবালুতে ডুবে যাবে। পশ্চিমা প্রচার মাধ্যমগুলো আমেরিকা, বৃটেন ও ফ্রান্সের স্বার্থ বজায় রেখে খবর প্রচার করা সত্তেও আল্লাহর ইচ্ছায় তারা দুনিয়াতে ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে। ‘লাইলাহা ইলল্লাহ’ এর পতাকা শক্তিশালী হয়েছে। কাফের ও মুশরেকরা অতিতের চেয়ে দূর্বল ও ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে। তাদের অহংকার মাটির সাথে মিশে গেছে।

    দাম্ভীক শক্তিগুলো খুব তাড়াতাড়ি পরাভুত হবে। তাদের দালালরাও নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে। জেনে রাখুন ইসলামের পবিত্র বিষয়গুলোর প্রতি অবমাননার উচিত ফলাফল অতিসিঘ্রই ভোগ করবে।

এ ক্ষেত্রে আমরা যেন কখনোই দোয়া ভুলে না যায়। হে আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ কর। সকল মুসলমানদের বিপ্লবকে অত্যাচারের প্রাসাদ ধবংশের কারণ বানিয়ে দাও। সকল মজলুম জনতাকে অত্যাচারীদের ওপর বিজয় দান কর।

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন