জর্দানে চলছে জঙ্গি নিধন কার্যক্রম
জর্দানে চলছে জঙ্গি নিধন কার্যক্রম
টিভি শিয়া: আজ (বুধবার) সকালে আইএসআইএল-এর নারী সন্ত্রাসী সাজিদা আর-রিশাউই এবং আল-কায়েদার সিনিয়র সন্ত্রাসী জিয়াদ কারবোলি’র মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে জর্দান। দেশটির রাজধানী আম্মানের বেশ কয়েকটি হোটেলে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় রিশাউই’কে। ২০০৫ সালের ওই ধারাবাহিক হামলায় ৬০ ব্যক্তি নিহত হয়েছিল। এ ছাড়া, কারবোলি’র বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে জর্দানের এক নাগরিককে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এই দুই সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দিলে জর্দানের পাইলট কাসাসবে’কে ছেড়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল। কিন্তু মঙ্গলবার ওই পাইলটকে হত্যার ভিডিও প্রকাশ করে সন্ত্রাসীরা জানায় তাকে জানুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে হত্যা করা হয়।
২২ মিনিটের ভিডিওতে দেখা যায় কাসাসবে কমলা রঙের পোশাক পরে একটি লোহার খাঁচার মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন এবং তার শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে এক আইএসআইএল সন্ত্রাসী। মুহূর্তের মধ্যে আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যান জর্দানের ওই পাইলট এবং এ দৃশ্য কয়েকটি ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করে রাখে উগ্র সন্ত্রাসীরা। নিহত হওয়ার পর কয়লা হয়ে যাওয়া কাসাসবে'র দেহ'সহ লোহার খাঁচাটি বুলডোজার দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয় আইএসআইএল।
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আইএসআইএল বিরোধী বিমান হামলা চালাতে গিয়ে ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের হাতে ধরা পড়েন কাসাসবে। তার এফ-১৬ জঙ্গিবিমান বিধ্বস্ত হলে তিনি প্যারাস্যুটের সাহায্যে অক্ষত অবস্থায় নীচে নেমে আসলে তাকে ধরে ফেলে তাকফিরি সন্ত্রাসীরা। জর্দানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়, গত ৩ জানুয়ারি নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি।
জর্দান সরকার জঙ্গিদের ভবিষ্যত সম্পর্কে অবগত হয়েছে। আর যার কারণে তারাও শুরু করেছে নিজ দেশে জঙ্গি নিধনের কার্যক্রম। বিশ্লেষকদের মতে আর যদি এভাবে জঙ্গিরা তাদের পৃষ্ঠপোষক দেশ থেকে নিরাশ হয় তাহলে হয়তো তারা মৃত্যুর পূর্বে তাদের পৃষ্ঠপোষকদের জন্য হুমকি হয়ে দাড়াবে। আর তাই পৃষ্ঠপোষক দেশগুলো সে মূহুর্তের সম্মুখিন হওয়ার পূর্বেই নিজেদেরকে গুটিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে।
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন