আফগানিস্থানের বিলাসবহুল হোটেলে আত্মঘাতী হামলা

আফগানিস্থানের বিলাসবহুল হোটেলে আত্মঘাতী হামলা

Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী সাকিফা, বণী সায়াদা, সাহাবী, হিজবুল্লাহ, ইসরাইল, ড্রোন, বিমান, হাসান নাসরুল্লাহ , লেবানন, ইরান,  চীন, মালয়েশিয়া,  স্যাটেলাইট, কুয়ালালামপুর, বেইজিং, ভিয়েতনাম, মার্কিন, গোয়েন্দা, ইরাক, সিরিয়া, মিশর, আল কায়েদা, তাকফিরী, ইখওয়ানুল মুসলেমিন, বাংলাদেশ, ভারত, জিহাদ, ফিলিস্তিন, ইহুদি, গাজা, শহীদ, জিহাদ, ক্ষেপণাস্ত্র, দূতাবাস, সৌদি আরব , কুয়েত, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা, ভিয়েনা, পরমাণু, বাহারাইন, আফগানিস্থান, থাইল্যান্ড,
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি বিলাসবহুল হোটেলে আত্মঘাতী হামলাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ ১৩ নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কাবুলের হাই সিকিউরিটি জোনের পাঁচ তারা সেরিনা হোটেলে এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। এই হোটেল থেকে মাত্র ১০০ মিটারের মধ্যেই রয়েছে আফগান প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ।

আফগানিস্তানের উপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব সালাঙ্গি জানিয়েছেন, ১৮ বছরের কম বয়সী চার আত্মঘাতী হামলাকারী হোটেলে অতিথি হিসেবে এসেছিল। তারা নিজেদের মোজার ভেতরে ছোট্ট বন্দুক লুকিয়ে রেখে শৌচাগারে আশ্রয় নিয়েছিল। পরে হোটেলের রেস্টুরেন্টে বিক্ষিপ্তভাবে গুলিবষর্ণ শুরু করে। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা জবাব দেয়। দু’পক্ষের মধ্যে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে গুলি বিনিময় হয়। এ ঘটনায় তিনজন নারী, দু’জন শিশু ও চারজন বিদেশি নিহত হন। পরে নিরাপত্তায় বাহিনীর হামলায় চার আত্মঘাতী তরুণ মারা যায়।
হামলার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। তারা হোটেলটি চারপাশ থেকে ঘিরে রাখে। হামলার সময় হোটেলটিতে বহু বিদেশি অতিথি অবস্থান করছিলেন। হামলা চলাকালে হোটেলের আতঙ্কিত অতিথি এবং কর্মচারীরা বেসমেন্টে আশ্রয় নেন।

এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, ‘এই হামলা এটিই প্রমাণ করে যে, আমরা চাইলে যে কোনো জায়গায় হামলা চালাতে পারি।'
তিনি জানান, ভেতর থেকে সহযোগিতা নিয়ে বন্দুকধারীরা গোপন রাস্তা দিয়ে হোটেলে প্রবেশ করেছিল।

সেরেনা হোটেলটি কাবুলের অন্যতম নিরাপদ স্থান বলে পরিচিত। এটির প্রধান ফটকে রয়েছে মেটাল ডিটেকটর ব্যবস্থা। এছাড়া হোটেলে প্রবেশ করার সময় অতিথিদের নানাভাবে তল্লাশী করা হয়ে থাকে। তাই আফগানিস্তানে ভ্রমণকালে বিদেশিরা সাধারণতঃ এখানেই অবস্থান করে থাকেন।

এর আগে গতকাল আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশের জালালাবাদ শহরের একটি থানায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় দশ পুলিশ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে জেলা পুলিশের প্রধানও রয়েছেন।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন